ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে জানুন
ভুমিকা - ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে জানুন
ঈমান আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে বিশ্বাস। ইসলামের মূল ভিত্তি হল ঈমান। প্রত্যেক নবী-রাসূলের প্রথম দাওয়াত ছিল ঈমানের দাওয়াত। ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। যারা ঈমান আনবে তাদের জন্য রয়েছে হেদায়েত ও দুনিয়া এবং আখেরাতে সফলতা যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্মক্রমে করে তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাকের তরফ থেকে রয়েছে বিশাল পুরস্কার।
আমাদের আজকের বিষয় হচ্ছে “ভুমিকা - ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে জানুন”। আমরা এই ব্যাপারে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করব। আশা করছি আপনারা সকলে আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং “ভুমিকা - ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে জানুন” নেনে নিবেন।
- ভূমিকা - ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে জানুন।
- ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে আলচনা।
- লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য - ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে জানুন।
ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে আলোচনা।
১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়েছে যেই ব্যক্তি, কেবলমাত্র সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেহই বেহেস্তে প্রবেশ করিতে পারিবেনা।
আর পড়ুনঃ সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের - পুরুষ সাহাবীদের নামের তালিকা অর্থসহ
২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- আল্লাহর শপথ করে বলেছেন, মুমিন না হওয়া পর্যন্ত তোমরা কেহই বেহেস্তে প্রবেশ করিতে পারিবেনা।
৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক এবং তাহাই বেহেস্তের পথ প্রদর্শন করে।
৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- যদিও তোমাকে কেউ হত্যা করে অথবা দন্ধির্ভূত করে তথাপি আল্লাহর সাথে শিরক করিবেনা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- ঈমানদার ব্যক্তি পবিত্র কাবা শরীফ হতেও অধিকতর সম্মানের পাত্র।
৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- এবং তাহাদিগকে কষ্ট না দেয়। যেই ঈমানের বাঁচিয়ে রাখতে চায় সে যেন পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করে।
۹। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- লজ্জা, ছবর এবং সরলতা ঈমানের অর্ধেক।
৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- আমানতদারী যার মধ্যে নাই, তার ঈমান নাই (অথাৎ, ঈমান পূর্ণাঙ্গ না)।
৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- ঈমানদার অনেক ফেরেস্তা হতে আল্লাহর কাছে অধিকতর সম্মানিত।
১০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- ঈমানদারের জন্য দুনিয়া কারাগার স্বরুপ এবং কাফেরের জন্য স্বর্গ তুল্য।
১১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- ঈমান আনিয়াছে। যে আমাকে দেখিয়াছে সে ধন্য, আর সাতবার ধন্য ঐ ব্যক্তি, যে আমাকে না দেখে।
১২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে ভয় দেখাবে না।
১৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- তাস ও পাশা খেলা কবিরা গুনাহ।
১৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- হত্যা করা কুফরী।
আর পড়ুনঃ জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম - জান্নাতের সুসংবাদ পেলেন যারা
১৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- যেই ব্যক্তি অন্য জাতিকে অনুস্বরণ করে সে তাহাদের দলভূক্ত।
লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য - ঈমান আনার গুরুত্ব ও জীলত সম্পর্কে জানুন।
আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা করেছি “ঈমান আনার গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে জানুন’’ আশা করছি সকলেই এই ব্যাপার বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমরা পরবর্তীতে চেষ্টা করব এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপনাদের প্রিয়জনদেরকে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url