নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন
নামাজ হচ্ছে আল্লাহ তালার কাছে সবচেয়ে প্রিয় একটি ইবাদত। আমাদের প্রত্যেকেই নামাজ নির্দিষ্ট সময় পড়া উচিত। আমাদের আজকের বিষয় হচ্ছে “নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন” আমি এই ব্যাপারে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করছি। আশা করছি আমাদের সঙ্গে থাকবেন। চলুন “নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন” আলোচনা করা যাক।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সহি ও শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করা। যাতে করে আমাদের পরকালীন জীবন সুখের ও শান্তিময় হয় এবং জান্নাতুল ফেরদৌস অর্জন করতে সক্ষম হই.
সূচিপত্র - নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন.
- ভূমিকা
- নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ
- সর্বশেষ - নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন
নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ
নামাজ ভঙ্গের কারণগুলো হচ্ছেঃ-
১। নামাজ আদায়রত অবস্থায় কথা বললে।
২। নামাজের মধ্যে স্বেচ্ছায় কিংবা ভুলে পানাহার করলে।
৩। নামাজে থাকা অবস্থায় কাউকে সালাম দিলে।
১। নামাজ আদায়রত অবস্থায় কথা বললে।
২। নামাজের মধ্যে স্বেচ্ছায় কিংবা ভুলে পানাহার করলে।
৩। নামাজে থাকা অবস্থায় কাউকে সালাম দিলে।
৪। কারো সালামের উত্তর দিলে।
৫। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাঁশি দিলে।
৬। অনর্থকভাবে নামাজের মধ্যে উহ আহ শব্দ করলে। নিষ্প্রায়োজনে কান্নাকাটি করা (শাস্তির ভয়ে যদি নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেলে তবে নামাজ ভঙ্গ হবে না)।
৭। দেখে কুরআন পড়লে।
৮। নামাজের মধ্যে উচ্চস্বরে হাসলে।
৯। নামাজের মধ্যে পার্থিব কোন কিছু প্রার্থনা করলে।
১০। নামাজের কোন ফরজ কাজ পরিত্যাগ করলে।
১১। সতরের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ খুলে গেলে।
১২। নামাজের মধ্যে কোন লেখা দেখে পাঠ করলে।
১৩। কিবলার দিক হতে অন্যদিকে ছিনা ঘুরে গেলে।
১৪। কারো সুসংবাদ শুনে সুবহানাল্লাহ বা আলহামদু লিল্লাহ বললে।
১৫। কারো দঃসংবাদ শুনে ইন্নালিল্লাহ বললে।
১৬। বিনা অজুতে নামাজ আদায় করলে।
১৭। কোন কাজ বেশি সময় ধরে করলে
১৮। কোন হাঁচি দাতার আল্লহামদুলিল্লাহর উত্তরে ইয়ার হামুকাল্লাহ বললে।
১৯। মুক্তাদি ব্যতীত অন্য লোকের লোকক্কা গ্রহন করলে
২০। ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজের মধ্যে কুরআন শরীফ ভুলে পড়লে।
২১। নাপাক জায়গায় সিজদা করলে।
২২। নামাজের মধ্যে নিদ্রায় ঢলে পড়লে।
২৩। সিজদা অবস্থায় দু'পা ভূমি হতে উঠিয়ে ফেললে।
২৪। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজ পড়লে।
২৫। নামাজের মধ্যে ছোট শিশুকে দুরে ঠেলে দিলে অথবা ছোট শিশুকে কোলে তুলে দুগ্ধ পান করলে।
২৬। নামাজের মধ্যে চুল বাঁধলে অথবা কোন কাজ করলে কিংবা তাসবীহ পরিমান দেরি করলে।
২৭। পকেটে নাপাক বস্ত্র থাকলে।
২৮। ইমামের নামাজ নষ্ট হলে যদি ইমাম না বলে বের হয়ে যায়, তাহলে মুক্তাদির নামাজ নষ্ট হবে।
২৯। কুরআন ভুল পড়লে
৩০। ইমামের আগে-পড়ে করলে মুক্তাদির নামাজ নষ্ট হবে।
৩১। ইমাম লোকমা গ্রহন না করলে ইমামও মুক্তাদির সকলের নামাজ নষ্ট হবে।
সর্বশেষ - নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন
আজকের আমাদের আর্টিকেলে মূল বিষয় ছিল “নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন” এই ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি সকলে উপকৃত হয়েছেন। আপনারা যদি আজকের আর্টিকেল পড়ে সামান্য পরিমাণে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই লেখা সার্থক।
এ ব্যাপারে আপনার প্রিয়জনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করছি। “নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিত জানুন” সংক্রান্ত আরো কিছু জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url