নামাজের বিবরণ – ফরজ এবং ওয়াজিবসমূহ
নামাজের আরবি শব্দ হলো সালাত। ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ হচ্ছে দোয়া করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, রহমত চাওয়া ইত্যাদি। নামাজকে বলা হয় বেহেস্তের চাবি। হাশরের ময়দানে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। আমি আপনাদের সামনে আজকে “নামাজের বিবরণ – ফরজ এবং ওয়াজিবসমূহ” নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের সঙ্গে থেকে এই ব্যাপারে আপনারা বিস্তারিত জেনে নেবেন। আমাদের আজকের বিষয় হচ্ছে “নামাজের বিবরণ – ফরজ এবং ওয়াজিবসমূহ”। চলুন আর দেরি না করে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাক।
সূচিপত্রঃ নামাজের বিবরণ – ফরজ এবং ওয়াজিবসমূহ।
- ভূমিকা।
- নামাজের ফরজসমূহ।
- নামাজের ওয়াজিবসমূহ।
- সর্বশেষ মন্তব্যঃ নামাজের বিবরণ – ফরজ এবং ওয়াজিবসমূহ।
নামাজের ফরজসমূহ।
নামাজের ফরজগুলো হচ্ছেঃ-
১। তাকবীরে তাহরীমা বলা (অর্থাৎ নিয়াতের সাথে সাথে "আল্লাহু আকবার" বলা)।
২। কেরাম (দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা)।
৩। কিরায়াত (কালামে পাক থেকে একটি লম্বা আয়াত বা ছোট তিনটি আয়াত অথবা সূরা পাঠ করা)।
৪। রুকু করা
আর পড়ুনঃ নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ - যে ৩ শ্রেণির ব্যক্তির নামাজ কবুল হয় না
৫। দু'বৈঠকে সেজদা দেয়া।
৬। নামাজের শেষ বৈঠকে আল্লাহর সামনে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পরিমাণ সময় বসা।
নামাজের ওয়াজিবসমূহ।
নামাজের ফরজের পর যে কাজগুলো আবশ্যক হিসেবে আদায় করতে হয়, সেগুলোকে নামাজের ওয়াজিব বলা হয়। ওয়াজিবগুলো হচ্ছেঃ-
১। তাকবীরে তাহরীমা কেবলমাত্র আল্লাহু আকবার শব্দের দ্বারা বলা।
২। সকল নামাজের প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা।
৩। সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যে কোন একটি সূরা অথবা যে কোন একটি বড় আয়াত কিংবা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা।
৪। নামাজের মধ্যে ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা অর্থাৎ সূরা ফাতিহার পরে অন্য কোন সূরা মিলাবে এরপর রুকু করবে। অতঃপর সিজদা করবে।
৫। যে সকল নামাজে চুপে চুপে কিরায়াত পাঠ করার বিধান রয়েছে সে সমস্ত নামাজে চুপে চুপে কিরায়াত পাঠ করা।
৬। যে সমস্ত নামাজে উচ্চস্বরে কিরায়াত পাঠ করার নিয়ম রয়েছে ঐ সকল সামাজে উচ্চস্বরে কিরায়াত পাঠ করা।
৭। নামাজের ভিতরের প্রতিটি কার্যাদি ধীরে সুস্থে নিয়ম মাফিক আদায় করা, তাড়াতাড়ি না করা। যেমন রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দু'সিজদার মাঝখানে এক তাছবীর অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ পড়ার সময় পরিমান স্থির থাকা।
৮। রুকু করার পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
আর পড়ুনঃ কাজা নামাজের নিয়ত - কাজা নামাজের নিয়ম বাংলায় ও আরবিতে
৯। বেতরের নামাজে দোয়া কুনুত পাঠ করা।
১০। তিন অথবা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে দু'রাকআতের শেষে তাশাহুদের জন্য বসা।
১১। প্রথম এবং শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করা।
১২। সিজদার সময় দু'হাতের তালু এবং দু'হাঁটু মাটিতে রাখা।
১৩। দু'ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা।
১৪। সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসা।
১৫। বেতরের নামাজের শেষে রাকাআতে কিরায়াত শেষ করে তাকবীরে তাহরীমা বলে দু'হাত উত্তোলন করা।
১৬। মুক্তাদিগণ সম্পূর্ণভাবে ইমামের অনুস্বরণ করা।
১৭। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে নামাজ শেষ করা।
সর্বশেষ মন্তব্যঃ নামাজের বিবরণ – ফরজ এবং ওয়াজিবসমূহ।
আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয় ছিল “নামাজের বিবরণ – ফরজ এবং ওয়াজিবসমূহ”। আমরা এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা এখান থেকে সামান্য পরিমাণ হলো উপকৃত হয়েছেন এবং ভালো লেগেছে। আমাদের এই লেখা হতে সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের আজকের এই আর্টিকেল সার্থক।
আর পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত । তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা
মহান আল্লাহ পাকের নিকট বিশেষভাবে প্রার্থনা করছি তিনি যেন, আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার তৌফিক দান করুন (আমিন)।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url