৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন “আমি তোমাদের জন্য দুটো জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যতদিন এ দুটি আঁকড়ে থাকবে, ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হচ্ছে মহান আল্লাহ পাকেড় পবিত্র কুরআন মাযিদ এবং অপরটি হচ্ছে হাদিস গ্রন্থ। এরই ধারাবাহিকত আজকে চল্লিশটি হাদিস নিয়ে আলোচনা করছি। আশা করছি এই হাদিসগুলো পড়ে আপনার সকলে উপকৃত হবেন। 




সূচিপত্রঃ-৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত।

  • ভুমিকা। ৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত।
  • ৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত।
  • শেষ কথা। ৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত।


ভূমিকা। ৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত।


হযরত সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে ৪০ খানা হাদিস সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এই ৪০ খানা হাদিস মোতাবেক আমল করে চলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ), কোন ৪০ খানা হাদিস। হুজুর (সাঃ) উত্তরে যা বললেন, তা হচ্ছেঃ

৪০ খানা হাদিস (৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত)।


১। আল্লাহর উপর ঈমান আনবে।
২। পরকালকে বিশ্বাস করবে।

আরও পড়ুনঃ কিয়ামতের আলামত এবং লক্ষণ – এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন

৩। ফেরেস্তাদের উপর বিশ্বাস করবে।
8। আল্লাহর কিতাব সমূহের উপর ঈমান আনবে।
৫। সকল নবী ও রাসুলগণের উপর ঈমান আনবে।
৬। মৃত্যুর পর পুণরুখ্যানের উপর ঈমান আনবে।
৭। ভাল ও মন্দ সব কিছুই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হয় এই তাকদীরের উপর বিশ্বাস রাখবে।
৮। আর এ কথা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত বান্দা ও রাসুল।
৯। যাকাত আদায় করবে।
১০। রমজানের রোজা রাখবে।
১১। সামর্থ্য হলে হজ্ব করবে।
১২। দিবা ও রাত্রিতে কমপক্ষে ১২ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করবে।
১৩। কোন রাত্রেই বেতের নামাজ ছাড়বেনা।
১৪। আল্লাহর সাথে কোন কিছুকেই শরীক করবেনা।
১৫। পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না।
১৬। অন্যায়ভাবে এতিমের মাল গ্রাস করবে না।
১৭। সরাব পান করবে না।
১৮। ব্যাভিচার করবে না।
১৯। আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম/শপথ করবে না।
২০। মিথ্যা সাক্ষ্য দিবে না।
২১। প্রবৃত্তির অনুস্বরণে কোন কাজ করবে না।
২২। কোন মুসলমান ভাইয়ের গিবত করবে না।
২৩। সতি নারীর প্রতি জেনার অপবাদ দিবে না।
২৪। মুসলমান ভাইয়ের প্রতি হিংসা পোষণ করবে না।
২৫। খেলাধুলায় লিপ্ত হবে না।
২৬। কৌতুক ও তামাশায় শরীক হবে না।
২৭। বামন ব্যক্তির দোষ প্রকাশের উদ্দেশ্যে তাকে হে বামন বলে ডাকবে না।
২৮। কোন মানুষের সাথে ঠাট্টা বিদ্রূপ করবে না।

আরও পড়ুনঃ মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম - ওমরা পালনের নিয়ম ও দোয়াসুমহ

২৯। দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাদের একের কথা অপরের কাছে বলবে না।
৩০। আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে।
৩১। বিপদ ও আপদের সময় ধৈর্য্য ধারণ করবে।
৩২। আল্লাহর আজাব থেকে নির্ভয় হয়ে থাকবে না।
৩৩। আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না।
৩৪। আত্মীয় সাথে উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখবে।
৩৫। আল্লাহর কোন সৃষ্ট জীবকে অভিশাপ দিবে না।
৩৬। বেশি করে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবর এবং লা ইলা হা ইল্লাহ পাঠ করবে।
৩৭। জুম্মা ও দুই ঈদের নামাজ পরিত্যাগ করবে না।
৩৮। তোমার জীবনে ভাল মন্দ যা কিছু এসেছে তা কখনো আসার নয় আর যা হাত ছাড়া হয়েছে তা কখনো
ধরা দেবার নয়।
৩৯। যে কোন অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত ছাড়বে না।

আরও পড়ুনঃ সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, পদ্ধতি ও ফজিলত

80। পরিপূর্ন ওযুসহ সময়মত ফরজ নামাজ আদায় করবে।


শেষ কথা। ৪০ খানা হাদিস পাঠের ফজীলত। 

সম্মানিত পাঠকগণ! আমরা প্রত্যেকে যদি উপরোক্ত হাদিসগুলি প্রত্যেকদিন মেনে চলি তাহলে আমাদের জীবন সঠিক এবং সুন্দর হবে। তাহলে আমরা পরকালে জান্নাত পাব বলে আশা করা যায় ইনশাল্লাহ। 

যদি আমাদের এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যকে শেয়ার করতে ভুল করবেন না। ধন্যবাদ সকলকে মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলের সহায় হোন (আমীন) ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url