৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল - কোনগুলো তা জেনে নিন

আপনি কি ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন খুঁজছেন? কিন্তু আদৌ কি ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে আপনার কি ধারণা? যদিও ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া মুশকিল তারপরেও ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন এর একটি লিস্ট আপনার সামনে আজকে প্রদান করার চেষ্টা করব। আপনি চাইলে আপনার পছন্দ মোতাবেক কিনে নিতে পারবেন।

মানুষের ব্যবহারের জন্য প্রথম বাটন মোবাইল ফোন বাজারে আসে এবং সেই বাটন মোবাইল ফোনের দাম ছিল এক সময় পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা। এমনকি কোন সময় আরও বেশি দাম ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর দাম অনেক কমে এসেছে। কারণ বিভিন্ন কোম্পানি কাস্টমাইজেশন করে বাটন মোবাইল ফোন তৈরি করে বাজারে বিক্রয় করছে। তবে ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন অনেক কোম্পানি দিচ্ছে যা হয়তো আপনার নাগালের মধ্যে। তবে হ্যাঁ ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। 

পেজ সূচিপত্রঃ 

সর্ব প্রথম বাটন মোবাইল ফোন কে এবং কত সালে তৈরি করেন

সর্বপ্রথম বাটন মোবাইল ফোন তৈরি করেন "ডঃ মার্টিন কুপার" নামের এক ইঞ্জিনিয়ার।  মার্টিন কুপার প্রথম যে ফোন আবিষ্কার করেছিলেন সেটির সময় কাল ছিল "১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাস"। মার্টিন কুপার ছিলেন আমেরিকার একজন নাগরিক এবং নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তিনি চেয়েছিলেন যে অল্প সময়ে মানুষের সাথে ঘরে বসেই যেন যোগাযোগ করা যায় এমন কিছু তৈরি করতে। অবশেষে তিনি সক্ষম হয়েছেন এবং মোবাইল ফোন তৈরি করেছেন। তবে প্রথম বাটন মোবাইল ফোনের বেশ কিছু চমৎকার তথ্য রয়েছে। 


তবে মার্টিন কুপার এর মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ফলে মানুষ এর জীবন যাত্রার মান অনেক পরিবর্তন হয়েছে। প্রচুর সময় ব্যয় করে কিংবা চিঠি লিখে তা পোস্ট করার মাধ্যমে অনেক সময় নষ্ট না করে মানুষের সাথে যোগাযোগ করা তখন হাতের মুঠোয় চলে আসে, এই মার্টিন কুপারের মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ফলে। এতক্ষণ প্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কৃত বিজ্ঞানের নাম আপনি জানতে পারলেন।

প্রথম বাটন মোবাইল ফোন এর নাম কি

১৯৭৩ সালে মার্টিন কুপার যে মোবাইল ফোনটি আবিষ্কার করেছিলেন তার নাম ছিল "ডায়না টিএসি  (Dyna TAC)"। এই মোবাইটির ওজন ছিল ২ কেজি (৪.৪ পাউন্ড)। সে সময় মাটিন কুপার ছোট একটি টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করতেন কিন্তু মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ফলে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং তারপর থেকেই তাকে অর্থাৎ "মার্টিন কুপারকে মোবাইল ফোন আবিষ্কারের জনক হিসেবে ধরা হয়"। 

তিনি তার একটি অভিমত প্রকাশ করেছিলেন তার কোম্পানিতে। ''যে তার একটি নিজস্ব ফোন থাকবে এবং যে কোনো সময় তার সাথে যোগাযোগ করা যাবে'' কিন্তু তার কোম্পানির তাকে অবজ্ঞা করেছিল এবং বলেছিল এই কথাটি সাধারণ মানুষের কাছে কল্পকাহিনীর মত মনে হবে। কারণ এর আগে ১০০ বছর ধরে প্রচলিত ছিল টেলিফোন এবং টেলিফোন শুধু টেবিল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেটি নিয়ে কোথাও যাওয়া সম্ভব হতো না এবং কাছে রাখা যেত না। 

সবচেয়ে সেরা বাটন মোবাইল ফোনের কোম্পানি কি

সবচেয়ে সেরা বাটন মোবাইল ফোনের কোম্পানিগুলো আপনি কি জানেন? যদিও বাটন মোবাইল ফোনের সেবা কোম্পানি হিসেবে দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে নোকেয়া বিরাজ করে এসেছে কিন্তু বর্তমানে বাটন মোবাইল ফোনের ধারাকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে চলে গিয়েছে আরো অনেক কোম্পানিগুলো। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে দামে কম সেরা বাটন মোবাইল ফোনের কোম্পানির তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ 
  • Walton
  • Geo 
  • Symphony 
  • Vega 
  • Itel 
  • I Kall
  • Maximus
  • Rocktel
  • GPHONGP35 Folding Phone ইত্যাদি। 

৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন কোনগুলো

আদৌ কি মাত্র ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া সম্ভব? যদি পাওয়া যায় তাহলে সেই ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন কোনগুলো এর সম্পর্কে তো জানার আগ্রহ জাগছে তাই না? কিন্তু ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল বর্তমান বাজারে তেমন নেই বললেই চলে তবে আপনি যদি সামান্য বাজেট বৃদ্ধি করেন সে ক্ষেত্রে আপনি ভালো মানের মোবাইল ফোন পেতে পারেন। ৬৫০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে মোবাইল ফোন কিনলে বেশ কিছু ভালো মানের মোবাইল ফোন পাওয়া সম্ভব। 


বর্তমান সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে তাই পর্যায়ক্রমে মোবাইল ফোন গুলোর দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আগে ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া যেত কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির ফলে ৫০০ টাকায় বর্তমান বাটন মোবাইল পাওয়া কষ্টকর। 

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা যারা খুব কম মূল্যে (মাত্র ৫০০ টাকায়) একটি ভালো মানের বাটন মোবাইল ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি। বাংলাদেশে মাত্র ৫০০ টাকায় অনেক বাটন ফোন পাওয়া যায় কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনারা কে কোনটা কিনবেন বা কার কোনটা পছন্দ এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপরে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মাত্র ৫০০ টাকা মূল্য বাংলাদেশের সেরা বাটন মোবাইল ফোন। আশা করছি আপনাদের পছন্দ হবে। তাই চলুন ৫০০ টাকা বাজেটের মধ্যে নিন্মবর্ণিত ভাবে কয়েকটি মডেলের মোবাইল ফোনের বর্ণনা দেয়া হলঃ
  • ব্যান্ডের নামঃ 
  • মডেলঃ
  • ডিসপ্লেঃ
  • রেমঃ
  • রোমঃ
  • ক্যামেরাঃ
  • ব্যাটারিঃ
  • এফএম রেডিওঃ
  • টর্চঃ
  • সিম কয়টিঃ
  • ব্লুটুথঃ 
  • স্পিকারঃ
  • অন্যান্য (যদি পাঠক)ঃ
  • মূল্যঃ
মানুষের জীবনে মোবাইলের প্রভাব কেমন?

মোবাইল ফোনের উপকারিতা এবং সুবিধা


অতি প্রথম বিশ্বে এমন একটা সময় ছিল সেই সময় যোগাযোগ করার তেমন কোন মাধ্যম ছিল না।  এক পর্যায়ে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় "চিঠি এবং টেলিগ্রাম"। এই চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হতো এবং এক বা দুই সপ্তাহের মতো অপেক্ষা করতে হতো সেই চিঠির উত্তর পাওয়া বা নতুন চিঠির আশায়। 

১৯৭৩ সালে মার্টিন কুপার এর ২ কেজি (৪.৪ পাউন্ড) ওজনের ডায়না টিএসি  (Dyna TAC) মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন। মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ফলে আপনি বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিমিষেই যোগাযোগ করতে পারছেন। 

মানুষের জীবনে মোবাইল ফোন এর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে এক মাসেও শেষ হবে না। কেননা মোবাইল ফোন মানুষের জীবনকে অনেক বদলে দিয়েছে এবং আরো উন্নত করছে মানুষের জীবন যাত্রার মানকে।

এছাড়াও ইন্টারনেট দিয়ে আমরা যে কোনো খবর, সোশ্যাল মিডিয়া, গেমস, অনলাইন বিষয়বস্তু, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ব্যবসাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অতি অল্প সময়ে জানতে পারি। ইন্টারনেট ব্যবহার করে পুরা বিশ্বকে মানুষ বর্তমানে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে।  

ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের যে কোন জিনিস আপনি অতি সহজে হাত বাড়ালেই পেয়ে যাচ্ছেন এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে যে কোন তথ্য আপডেট জানতে পাচ্ছেন। ফলে পুরা বিশ্ব হয়ে গেছে এখন হাতের নাগালে। 


তবে বর্তমানে স্মার্টফোন মানুষের জীবন যাত্রাকে আরো উন্নত করেছে ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যবহার করে এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়কে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান করা যাচ্ছে। তবে বর্তমানে এই বিশ্বে এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে মোবাইল ফোন ছাড়া এক ধাপ চলাও সম্ভব নয়।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা আমাদের বন্ধু পরিবার এবং অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে কল, টেক্সট, ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি। এজন্য আমরা নিম্ন বর্ণিত অ্যাপস সমূহ ব্যবহার করে থাকিঃ 
  • ফেসবুক
  • মেসেঞ্জার
  • হোয়াটসঅ্যাপ
  • ইমো
  • ভাইবার
  • টুইটার
  • টেলিগ্রাম
  • ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি

মোবাইল ফোনের অপকারিতা

মোবাইল ফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন বেশি সময় ব্যবহারের ফলে প্রতিনিয়তই আমাদের বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আসুন জেনে নেই মোবাইল ফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন বেশি সময় ব্যবহারের ক্ষতির দিক সমূহঃ 
  • সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের সংস্পর্শে আসা প্রতি চারজন শিশুর মধ্যে একজন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। 
  • আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
  • স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। 
  • অধিক ফোন ব্যবহারের ফলে ঘাড়ে ব্যথা, এমনকি ঘাড় বাঁকা হয়ে যেতে পারে।
  • ক্যান্সার ও ব্রেনে সমস্যা এবং টিউমার হতে পারে।
  • মোবাইল হারানোর ভয় হতে পারে।
  • অধিক পরিমাণে মোবাইল টাওয়ার বৃদ্ধি পাওয়ায় আবাসিক জমি এবং ফসলের জমি কমে যাচ্ছে।
  • শুক্রানু কমে যেতে পারে।
  • শিশু কিশোরদের মধ্যে মা-বাবার উপদেশ না মানার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • অমনোযোগিতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • শিশু কিশোরদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হচ্ছে। 
  • দিন দিন আমাদের চোখে জ্যোতি কমে যাচ্ছে। 
  • মোবাইল ফোনে গেমস খেলে প্রতিদিন আমাদের অনেক ছেলে-মেয়েরা আসক্ত হও্যায় হওয়ায় লেখা-পড়া থেকে মনোযোগ উঠে যাচ্ছে। 
  • কানে কম শোনার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • হার্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • মানসিক সমস্যা ও মনের উদ্বিগ্নতা এবং বিষন্নতার হতে পারে।
  • আমাদের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। 
  • মাথা ব্যথা হচ্ছে। 
  • চিন্তা শক্তি কমে যেতে পারে।
  • আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
  • যোগাযোগ ব্যবস্থা মোবাইল ফোনে অতি সহজ হওয়ার কারণে অনেক অন্যায়, দুর্নীতি, মিথ্যাচার ইত্যাদি অনেক বেশি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 
  • মোবাইল ফোনের ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক আমাদের দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। 

সর্বশেষ মন্তব্য

আশা করছি, এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে মোবাইল ফোন সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। যদি এই পোষ্টটি পড়ে সামান্য কিছু জানতে পারেন বা ৫০০ টাকায় বাটন মোবাইল ফোন কিনা সম্পর্কে সামান্য কোন উপকৃত হতে পারেন তাহলে আমাদের এই ক্ষুদ্র  লেখা স্বার্থক।

সর্বশেষে সকলের মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের প্রিয়জনকে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url