যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
পোস্ট সূচিপত্রঃ যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
- ভূমিকা
- পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট
- বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা
- বিশুদ্ধ পানি কাকে বলে
- বিশুদ্ধ পানির ঘনমাত্রা কত
- যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
- শেষ কথা
ভূমিকা - যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
আপনারা সকলে জানেন যে আমাদের মানব দেহের জন্য পানি কতটা প্রয়োজন। পানির অপর নাম হচ্ছে জীবন। এর জন্য আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পানি খুবই জরুরী। তবে আমাদেরকে শুধু পানি পান করলে হবে না এই পানিতে লক্ষ্য রাখতে হবে যে পানিটি বিশুদ্ধ কিনা। অবশ্যই আপনাকে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে না হলে আমাদের শরীরে নানান ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। এমন কি পেটেও সমস্যা হতে পারে। এজন্য আমাদেরকে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে। তাই আমাদেরকে সবার আগে জানা উচিত পানি বিশুদ্ধ কিভাবে করা যায়।
এর জন্য আজ আমরা আপনাদের জন্য যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। শুধু তাই নয় কোন ট্যাবলেটের মাধ্যমে অর্থাৎ পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। এজন্য আপনারা যদি বিশুদ্ধ পানি করার উপায় গুলো জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট - যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
- পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট এর নাম হচ্ছে ক্লোরিন ট্যাবলেট। এছাড়াও আপনি আরো অন্য উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করতে পারেন। সেগুলো হচ্ছে
- ব্লিচিং পাউডারের মাধ্যমে আপনারা পানি বিশুদ্ধ করতে পারবেন।
- ফিটকিরি এবং পটাশের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করতে পারবেন।
- এছাড়াও পানির ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করতে পারবেন।
- আয়োডিন এর মাধ্যমেও পানি বিশুদ্ধ করা যায়।
বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা
আমরা সকলে জানি যে পানির অপর নাম জীবন। পানি আমাদের শরীরকে সুস্থ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। খাবার ছাড়া আমাদের জীবন ধারণ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে আর পানি ছাড়া জীবন যাপন করা অসম্ভব। কোন ব্যক্তি পানি ছাড়া তার জীবন যাপন পরিচালনা করতে পারবে না। তাই পানি আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পানি হলে হবে না আমাদেরকে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে তাহলে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ বন্যার সময় কিভাবে পানি বিশুদ্ধ করবেন
বিশুদ্ধ পানির অভাবে আমাদের শরীরে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পানি পান করার পরে আমারে শরীরের পানি পানি শূন্যতার অভাব দূর করে ফলে আমাদের শরীরের যত ক্লান্তি এবং নানান ধরনের সমস্যা থাকে সেগুলো দূর হতে একটি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং আমাদের শরীরের রক্ত কণিকাগুলো ও অক্সিজেন সরবরাহ করে এই বিশুদ্ধ পানি। যার ফলে আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে আমাদের জীবন যাপন করতে পারি।
আমাদের একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক বিশুদ্ধ পানি দুই থেকে তিন লিটার কম করে হলেও পান করতে হবে। যদি আমরা বিশুদ্ধ পানি পান না করি তাহলে আমাদের দেহে পানি বাহিত বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। এজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করব বিশুদ্ধ পানি পান করার।
বিশুদ্ধ পানি কাকে বলে - যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
বিশুদ্ধ পানি হচ্ছে যে পানিতে কোন গন্ধ থাকবে না যে পানি খুবই স্বচ্ছ এবং যাতে ্মান জৈব কিংবা অজৈব পদার্থ ও বন্যহীন অনুপস্থিত এবং কোন রোগ জীবাণু থাকেনা তাকেই বিশুদ্ধ পানি বলা হয়। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের উচিত প্রতিনিয়ত আমাদের বিশুদ্ধ পানি পান করা আর দূষিত পানি পরিহার করা। কারণ বিশুদ্ধ পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। দূষিত পানি পান করলে আমাদের শরীরে নানান ধরনের রোগ বালাই সৃষ্টি হয়।
বিশুদ্ধ পানির ঘনমাত্রা কত
বিশুদ্ধ পানির ঘনমাত্রা হচ্ছে ৫০.৫ থেকে ৫৫.৫ মোলার। প্রতি লিটার পানিতে ৫৫.৫ মোল অনু থাকে। তাই পানির ঘনত্ব এবং বিশুদ্ধ পানির ঘনত্ব ৫০.৫ থেকে ৫৫.৫ হিসেবে ধরা যায়। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির ঘনমাত্রা ৫৫.৫ হয়ে থাকে।
যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে আমাদের শরীরের জন্য পানি পানি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে আমরা যদি বিশুদ্ধ পানি পান না করে দূষিত পানি পান করি এবং নোংরা ও জীবাণুমুক্ত পানি পান করি তাহলে আমাদের শরীর এবং আমাদের পেটের নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া পানিবাহিত রোগ দেখা দিতে পারে। এজন্য আমরা সব সময় বিশুদ্ধ পানি পান করব কিন্তু হয়তো আপনারা জানেন না যে বিশুদ্ধ পানি কিভাবে তৈরি করতে হয়। এজন্য আমরা আজ আপনাদের জন্য যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায় সে উপায়গুলো আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। তাই চলুন দেরি না করে যে দশটি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায় সেই উপায় গুলো জেনে নিন।
ফিল্টার
ফুটানো পানি জীবাণু দূর করা সম্ভব হলেও পুরাপুরিভাবে জীবাণু দূর হওয়ার আশঙ্কা মুক্ত থাকে না। আমাদের শরীরে যাদের গ্যাস রয়েছে তাদের গরম পানি অর্থাৎ ফুটানো পানি খাওয়া যাবে না। এজন্য আপনারা চাইলে ফিল্টারের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করতে পারেন। এবং আপনারা সেগুলো পান করতে পারেন। বর্তমানে এখন বিভিন্ন আদালত অফিসে ফিল্টার ব্যবহার করা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির জন্য তাই আপনিও নির্ভয়ে বিশুদ্ধ পানির জন্য ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন।
ক্লোরিন ট্যাবলেট
এছাড়াও আপনারা যদি চান তাহলে ক্লোরিন ট্যাবলেট এর মাধ্যমে পানিকে দূষণ থেকে বিশুদ্ধ করে পানি পান করতে পারেন। ক্লোরিন ট্যাবলেট এর মাধ্যমে আপনি একেবারে বিশুদ্ধ পানি করে নিতে পারবেন এবং নির্ভয়ে সে পানিগুলো পান করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট কি কার্যকর
পানি ফুটিয়ে
এটি অনেক আগের একটি প্রচলিত পদ্ধতি আগে সেরকম আধুনিক কোন ব্যবস্থা ছিল না পানি বিশুদ্ধ করার সেজন্য মানুষ পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে পানি পান করত। সেভাবে ঠিক একই রূপ ভাবে আপনারা পানি ফুটিয়ে সম্পূর্ণভাবে বিশুদ্ধ করে পান করতে পারেন।
ব্লিচিং পাউডার
এছাড়াও আপনারা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করতে পারেন। তবে এই পানি খাওয়ার যোগ্যতা খুবই কম রাখে সবাই। কারণ এই পানিতে অনেক ব্লিচিং পাউডার এর গন্ধ লাগে সবাই এটা সহ্য করতে পারেনা। এজন্য আপনারা হয়তো ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করতে পারবেন কিন্তু তা খেতে পারবেন না।
পটাশ এবং ফিটকিরির মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ
আপনার যতটুকু পানি প্রয়োজন আপনি ওই পানিতে সামান্য পরিমাণে ফিটকিরি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেখে দিয়ে পানির ভেতরে ময়লা গুলো যখন মরে যায় এবং সেই ময়লাগুলো পানির তলানি স্তরে চলে যায়। তখন আপনি উপরের পানি গুলো পান করতে পারবেন এবং নিচের পানি গুলো ফেলে দিবেন।
সৌর পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে আপনি যদি পানি বিশুদ্ধ করতে চান তাহলে এটি খুবই একটি ভাল পদ্ধতি কারণ এই পদ্ধতিতে খুব ভালোভাবে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। দূষিত পানিকে থেকে তীব্র রোগের আলোতে রেখে দিতে হবে তাহলে আপনার পানির সকল ব্যাকটেরিয়া গুলো মরে নষ্ট হয়ে যাবে। এভাবে আপনি আপনার পানিকে বিশুদ্ধ করতে পারেন।
আয়োডিন
দুই লিটার পানিতে ৪ শতাংশ আয়োডিনের দ্রব্য মিশিয়ে কিছু সময় ঢেকে রাখলেই আপনার পানিটি বিশুদ্ধ হয়ে যায় তখন আপনি সেই পানিটি পান করতে পারবেন।
বিশুদ্ধ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ
বর্ষাকালে যে পানি হয় সেই পানিটি আপনি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন কারণ এটি হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া প্রাকৃতিক পানি। বিশুদ্ধ হয়ে থাকে। আপনি বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই কোন পাত্রে পানি সংরক্ষণ করতে পারেন। বৃষ্টির পানিটি আপনি কোন পত্রে নেওয়ার পরে সূর্যের আলো থেকে দূরে নিয়ে রাখবেন। এই প্রাণীটি আপনি রান্না করার এবং খাবার কাজে ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনাকে যে কোন কাজ করার পূর্বে এই পানিকে ছেকে নিতে হবে।
আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি এর সাহায্যে
আপনি চাইলে আল্ট্রাভায়োলেট এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পানিকে বিশুদ্ধ করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে আপনার পানির সকল ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে ফেলবে। এবং আপনাকে বিশুদ্ধ মুক্ত পানি উপহার দেবে।
পানি ফুটিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে বিশুদ্ধ করুন
পানির ফোটালেই সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আপনাকে পানি বিশুদ্ধভাবে তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম পানিকে ফুটিয়ে নিতে হবে তারপরে সেই পানিটিকে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। তাহলে আপনি বিশুদ্ধ একটি পানি পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা - যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়
প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে যে ১০টি উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায় সেই উপায় গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও কিভাবে পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট এর মাধ্যমে আপনি আপনার খাওয়ার পানিকে বিশুদ্ধ করতে পারবেন তাও বুঝতে পেরেছেন। কেননা আমাদের শরীরের জন্য বিশুদ্ধ পানি খুবই প্রয়োজনীয়। আপনি যদি নোংরা পানি পান করেন তাহলে আপনার শরীরে পানি বাহিত রোগ দেখা দিতে পারে। এজন্য নোংরা পানি থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ যেভাবে ফিল্টারের যত্ন নেবেন জানুন
প্রিয় বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে এখানে শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে ততক্ষণ ভালো থাকবেন এবং নিজের শরীরের যত্ন নেবেন। এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে করে আমরা আমাদের মূল্যকে পৌঁছাতে পারি। এবং আপনার জন্য নিত্য নতুন কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হতে পারি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url