বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় জেনে নিন

বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়

আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বাচ্চাদের দাঁত তোলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে যাচ্ছেন। তাহলে চলুন শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়

ভূমিকা | বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়

আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়। এর সাথে সাথে বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। কাজেই আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জেনে রাখা প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো আপনি তখনই জানতে পারবেন যখন এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। অনেকের দেখা যায় খুব তাড়াতাড়ি দাঁত উঠে আবার অনেকের দাঁত উঠতে অনেক সময় লেগে যায়। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিছু জেনেটিক সমস্যা জনিত কারণে মূলত বা তাদের দাঁত উঠতে একটু দেরি হয়। এই জেনেটিক সমস্যাকে অ্যামেলোজেনেসিস ইম্পারফেক্টা বলা হয়ে থাকে। মূলত বংশগত এই সমস্যার কারণে বাচ্চাদের দাঁত ওঠে না কিংবা দাঁত উঠতে দেরি হয়। আবার রিজিওনাল ওডন্টোডিসপ্লাসিয়ার এর জন্য দাঁত উঠতে অনেক দেরি হতে পারে। তাছাড়া অপুষ্টি এবং ভিটামিন এর অভাবেও দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে। মোট কথা নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার কারণে শিশুর দাঁত দেরিতে উঠতে পারে।

.
দাঁত যেহেতু ক্যালসিয়ামের গঠন তাই দেহে ক্যালসিয়াম খনিজ লবণ এবং ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শিশুর দাঁত উঠতে অনেক দেরি হতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখা প্রয়োজন। আবার শিশুর অকাল জন্ম এবং শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম হওয়া তাছাড়া দুর্বল এই সমস্যাগুলোর কারনেও শিশুর দাঁত উঠতে অনেক দেরি হতে পারে। এছাড়াও নানারকম সিনড্রোম এবং ব্যাধির কারণেও দাঁত উঠতে অনেক দেরি হতে পারে। এতক্ষন আপনাদের সাথে বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে এখন আমরা কি শুনতে হবে। বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ রয়েছে। যে লক্ষণগুলো দেখলে বোঝা যাবে যে বাচ্চার দাঁত উঠতে পারে। এরকম বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পেটের মধ্যে গন্ডগোল এবং জ্বর বা বমি বমি ভাব হওয়া। একটি বাচ্চার মধ্যে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে তার দাঁত উঠতে পারে। আবার শিশুদের দাঁত ওঠার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে তাদের মাড়ি আগের চেয়ে কিছু শক্ত হয়ে যাওয়া এবং যে কোন কিছু দেখলেই কামড় দেওয়ার চেষ্টা করা। এটাও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ। বাচ্চা যখন আগের চেয়ে কম খাবে অথবা খেতে চাইবেনা তখন বুঝতে পারবেন যে বাচ্চার দাঁত উঠবে এটিও কিন্তু একটি দাঁত উঠার লক্ষণ।


আবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লালা ক্ষরণ হওয়া দাঁত ওঠার একটি লক্ষণ। যখন বাচ্চা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লালা ক্ষরণ করবে তখন বুঝতে পারবেন যে বাচ্চার দাঁত উঠতে পারে। দাঁত উঠার পূর্ব মুহূর্তগুলোতে বাচ্চা বেশি বেশি কান্না করবে এবং জেদ করবে যেটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে। এটিও দাঁত ওঠার একটি লক্ষণ। আবার বারবার রাতে ঘুম থেকে উঠে যাওয়াও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এতক্ষন আপনাদের বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম। 

বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়

বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। এখন আমরা বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। কিছু বাচ্চাদের দাঁত খুব তাড়াতাড়ি উঠে যায় আবার কিছু বাচ্চার দাঁত তুলতে অনেক দেরি হয়। সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের দাঁত কিভাবে তাড়াতাড়ি তোলা যায় সেই সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় হচ্ছে জিহ্বার সাহায্যে দাঁতের মাড়িতে সবসময় ঠেলতে থাকা। এতে করে দাঁতের মাড়ি নরম হবে এবং বাচ্চাদের দাঁত তাড়াতাড়ি উঠে যাবে। এটি হলো প্রথম পদক্ষেপ। আবার আমাদের অনেককে দেখা যায় বাচ্চাদের দাঁত উঠছে না বলে দাঁতের মাড়িতে সরাসরি হাত দিয়ে স্পর্শ করে।


মোটেও এ কাজটি করবেন না সরাসরি দাঁতের মাড়িতে স্পর্শ করলে দাঁত উঠতে আরো কষ্ট হতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি দাঁত তোলার ক্ষেত্রে সরাসরি দাঁতের মাড়িতে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আবার আপনি ফ্লাই বল পদ্ধতি ব্যবহার করে তাড়াতাড়ি দাঁত তুলতে পারেন। ফ্লাইবল পদ্ধতিতেও খুব তাড়াতাড়ি দাঁত তোলা যায়। এতে বাচ্চার খুব বেশি কষ্ট হয় না। আবার দাঁত তোলার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ডোরকনব পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেও আপনি বাচ্চার দাঁত তুলতে পারেন। যদি এতেও অনেক কষ্ট হয়ে যায় তবে অবশ্যই একজন দাঁতের চিকিৎসকের থেকে শিশুর দাঁত তুলে নিবেন। এটি সবচেয়ে ভালো হবে। আশা করছি বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা | বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার মনে হয় এতটুকুও উপকার হয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করবেন। তাদেরও বিষয়টি জেনে রাখা প্রয়োজন। আর এরকম নিত্য নতুন সব আপডেট খবর সবার আগে জানতে হলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। @25155

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url