ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি

ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি না জানলে শরীরে বাড়তে পারে প্রাণঘাতী ভয়ানক রোগ। এই আর্টিকেল থেকে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কারণ ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি জেনে সতর্ক বার্তা নিতে পারেন। কোন কারণ ছাড়াই ঘন ঘন জ্বর খুবই গুরুতর।


অধিকাংশ মানুষজন ঘন ঘন জ্বর হওয়ার বিষয়ে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দিয়ে থাকে না। যার ফলে ধীরে ধীরে শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। কখনো হয়তোবা জ্বর শরীরে বাসা বাঁধা প্রাণঘাতী যেকোন রোগের ফলে নিয়মিত হয়ে থাকে। ঘনঘন জ্বর হলে আপনাকে খুব দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঘন ঘন জ্বর হয় কেন

অনেক রকমের ঘন ঘন জ্বর হয়। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি না জানলে অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। কিন্তু এই জ্বর যদি দীর্ঘস্থায়ী রোগ এর ফলে হয়, তাহলে খুবই খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে। যদিও জ্বর কখনোই রোগ নয় তবে এটি বিভিন্ন রোগকে প্রকাশ করে থাকে।

শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে যদি সেটি বৃদ্ধি পেয়ে অতিরিক্ত হয়ে যায়, তাহলে জ্বরের সাথে আরও কিছু সমস্যা প্রকাশ পেতে পারে। নিউমোনিয়া এর কারনে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যদি অল্প অল্প জ্বর দেখা দেয়, তাহলে সেই অবস্থায় যদি ঘাম দিয়ে জ্বর ভালো হয়।

অথবা কাশির সঙ্গে রক্ত যায়, তাহলে সেই অবস্থায় শরীরের ওজন কমে যেতে পারে। দীর্ঘদিনের জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যদি গ্লান্ড ফুলে যায়, জন্ডিস হয় তাহলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। যদি লিভার বড় হয়ে যায় অথবা লিভারে কোন ধরনের ফোড়া হয়।


কাঁপুনি দিয়ে যদি জ্বর আসে অথবা ঘাম দিয়ে যদি জ্বর কমে যায় তাহলে ফুসফুসে ফোঁড়া হওয়ার ফলে সমস্যা হতে পারে। যদি দুর্গন্ধযুক্ত কোন হলুদ রঙের কাশি হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবে ফুসফুসে ফোড়া হয়েছে ধরে নেওয়া যায়।

আপনার যদি রক্তশূন্যতার মত কোন ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। অনেক সময় যদি পেটের উপরিভাগে চাকা দেখা যায়, তাহলে কালা জ্বরও বলা হয়। দীর্ঘদিনের কোন ব্যথা যদি শরীরে থাকে অর্থাৎ গিঁটে গিটে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যার ফলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

বেশিরভাগ সময় ঘুম থেকে জেগে উঠার সাথে সাথে ব্যথা বাড়তে পারে। মুখে ঘা হলে অথবা গায়ে লাল লাল দাগ দেখা দিলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এসএলই সমস্যা হলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি

ঘন ঘন জ্বর আসা ভাইরাসের সংক্রমনে হতে পারে। হঠাৎ বৃষ্টিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন অথবা বছরের বিভিন্ন সময়ে যদি কেউ বারবার ঘন ঘন জ্বরে আক্রান্ত হয়, তাহলে অনেক সময় কিছুটা বিশ্রাম নিলে অথবা প্যারাসিটামল খেলে ঠিক হয়ে যায়।

আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই জ্বর আবার শরীরে দেখা দেয়। যা মূলত খুবই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

১। নিউমোনিয়া সংক্রমণঃ 
অনেক সময় নিউমোনিয়া হলে অনেক লোকই বুঝতে পারে না যে তার নিউমোনিয়া হয়েছে। এইক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করতে হবে। কারণ আপনি যদি নিউমোনিয়ার চিকিৎসা গ্রহণ না করেন, তাহলে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ নিউমোনিয়া একবার সংক্রমিত কাউকে করলে খুব সহজে যেতে চায় না।

২। ফুসফুসে পানি আসাঃ 
বিভিন্ন কারণেই ফুসফুসে পানি জমার আশঙ্কা রয়েছে। যদি আপনার নিউমোনিয়া, কিডনির মত জটিলতা কোন সমস্যা থেকে থাকে। তাহলে অপুষ্টিজনিত কারণে ফুসফুসে পানি আসতে পারে। 

ফুসফুসে পানি চলে আসলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। এই অবস্থায় ফুসফুসে পানি জমার চিকিৎসা করতে হবে। আর যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে কিছুদিন পর ঘন ঘন জ্বর হবে।

৩। ব্রংকাইটিস হওয়াঃ 
ব্রংকাইটিস হলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। কারণ ব্রঙ্কাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে সেই ব্যক্তির বারবার ঘন ঘন জ্বর হয়। এই সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যা ঘন ঘন জ্বর কমাতে সাহায্য করে।

৪। ঠান্ডা জাতীয় খাবারঃ 
ঠান্ডা জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে আপনার ঘন ঘন জ্বর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও যদি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বৃষ্টিতে ভিজে থাকেন, ঠান্ডা কোন পানিতে গোসল করলে অথবা ঠান্ডা কোন খাবার খেলে আপনার নিয়মিত ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

এছাড়াও ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি এর মধ্যে এলার্জি হলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। তাই এলার্জি জাতীয় যেই সকল খাবার রয়েছে, সেই সকল খাবার খেলে আপনার ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

৫। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমঃ 
যদি অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার কিছুদিন পর পর ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। কারণ অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলে আপনার শরীর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে। সহজেই বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে সংক্রমণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিশ্রম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করুন।

৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াঃ
যদি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ খুব সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এই অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে, রোগী অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। ঠিক তেমনি বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। সেই সাথে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

৭। মূত্র তন্ত্রের ত্রুটিঃ 
মূত্র তন্ত্রের ত্রুটি হলে অর্থাৎ আপনার যদি ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সংক্রমণ হয়, তাহলে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই মূত্র তন্ত্রের ত্রুটি অনেকের জন্মের পর থেকেই হয়ে যেতে পারে। তাই যদি আপনার প্রস্রাবের কোন ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

৮। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখাঃ 
যদি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন, তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। আপনার শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ খুব সহজেই আক্রমণ করতে পারে। তাই এই সময়ে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়।

৯। ক্যান্সার হওয়াঃ 
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি এর মধ্যে ক্যান্সার এমনই একটি অনুভূতি রোগ সেটি যদি আপনার শরীরে খুব বাসা বাঁধে, তাহলে খুব সহজেই আপনার মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। এই অবস্থায় আপনার ঘন ঘন জ্বর হবে যা খুব দ্রুত আপনাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে।

১০। কিডনি, লিভার ও হার্টের বিভিন্ন রোগঃ 
যদি আপনার কিডনি, লিভার ও হার্টের বিভিন্ন ধরনের রোগ এর সংক্রমণ শরীরে থাকে, তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। যদি এই ধরনের জটিল রোগ গুলোর চিকিৎসা আপনি সঠিকভাবে না করেন তাহলে কিছুদিন পরপর ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। 

ঘন ঘন জ্বর হলে শরীর কি ব্যথা করে

অনেকেই দেখা যায় শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসলে সাথে শরীর ব্যথা হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। অনেকেরই এসি চালিয়ে থাকার অভ্যাস থাকে আবার প্রতিনিয়ত ফ্যান চালিয়ে থাকার অভ্যাস রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়ে শরীর ঠান্ডা বা ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

এই অবস্থায় জ্বরের বেশিরভাগ লক্ষণ অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে যদি আপনার শরীরে প্লাটিলেট খুব দ্রুত কমে যায় এবং এই অবস্থায় শরীর খুবই মারাত্মক ঝুঁকির দিকে চলে যায়। খুব দ্রুত প্লাটিলেট কমে যেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
 

আপনাকে সব সময় জ্বর হওয়ার তিনদিন পরে পরীক্ষা করতে হবে। যদি এই অবস্থায় আপনার ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব শরীরে প্রকাশ পায়, তাহলে জ্বর বাড়তে পারে। জ্বর একটানা নাও হতে পারে। আবার ঘাম দিয়ে জ্বর মাঝে মাঝে ছেড়ে আসতে পারে।

এই অবস্থায় আপনার জ্বরের সাথে তীব্র মাথাব্যথা ও ঠান্ডা থাকতে পারে এবং সাথে শরীর প্রচন্ড ভাবে ব্যথা করতে পারে। চোখ লাল হয়ে চোখের পিছনে ব্যথা করতে পারে। অনেকেরই সেই সাথে গলা শুকিয়ে আসতে পারে অর্থাৎ প্রচন্ড পরিমাণে পানির পিপাসা লাগতে পারে।

ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি এর মধ্যে যদি শরীরে জ্বরের তীব্রতা খুবই বেড়ে যায় অথবা ঘন ঘন জ্বর আসতেই থাকে, তাহলে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই অবস্থায় দ্রুত আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

শিশুদের ঘন ঘন জ্বর আসলে কি হয়

শিশুরা যদি ভাইরাস বা অন্য কোন রোগের সংক্রমণের শিকার হয়, তাহলে তাদের ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। তবে জ্বর হলে অবশ্যই যদি সেই দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাহলে লড়াই করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কারণ জীবাণু শরীরের ভিতরে প্রবেশের পর যদি সেটি প্রতিরোধ করার কোন ধরনের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে ঘন ঘন জ্বর দেখা দিতে পারে। শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হলে যা হয় তা হলো -

১। যেই সকল শিশুদের অতিরিক্ত ঠান্ডা কাশির সমস্যা থাকে, তাদের বেশিরভাগই দেখা যায় কান পেকে যায় ও সাইনাস ইনফেকশন এর সংক্রমণ হয়।

২। মাঝে মাঝে কিছু কিছু সমস্যা থাকে, যেইগুলো দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। যেমন ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড এই সকল রোগে শিশুর ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

৩। জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি হলে বিশেষ করে মূত্রতন্ত্রের ত্রুটি থাকলে শিশুর প্রস্রাবে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

৪। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি এর মধ্যে যেই সকল শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হয়, সহজে একদমই যেতে চায় না সেই সকল শিশুদের কিডনি বা ক্যান্সার এর সমস্যা থাকতে পারে।

৫। অধিকাংশ সময় ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ যদিও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এর ফলে শিশুর শরীরে ঘন ঘন জ্বর এবং ব্যথা অনুভব হয়। সেই জ্বরের সাথে কাঁপুনিও থাকতে পারে। 

৬। ঘন ঘন জ্বর হলে শিশুকে সবসময় বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানীয় ও তরল খাবার দিতে হবে।

৭। মুখে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে। আপনি চাইলে শিশুকে হালকা গরম পানিতে গোসল করিয়ে দিতে পারেন।

৮। যদি এই সময় শিশুর জন্য কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাজ থেকে পরামর্শ নিয়ে দিতে পারেন।

ঘন ঘন জ্বরে প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে সতর্ক কেন

ঘন ঘন জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই রয়েছে। হালকা মাথাব্যথা এবং ঘন ঘন জ্বর এর প্রভাবে প্যারাসিটামল খেয়ে থাকেন। কিন্তু হালকা জ্বর এর কারণে প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলছেন, কিন্তু ডেঙ্গুর প্রভাবে যদি সংক্রমণ হয়।

তাহলে অনেক সময় চিকিৎসকরাও প্যারাসিটামল খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকে। কিন্তু যদি আপনি লাগাম ছাড়া প্যারাসিটামল খেতেই থাকেন, তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘন ঘন জ্বর হলে আপনাকে প্যারাসিটামল খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

যদি আপনাকে ঘন ঘন জ্বর হলে চিকিৎসক প্যারাসিটামল দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই অনুযায়ী খেতে পারেন। কিন্তু তাদের পরামর্শ ব্যতীত ঘন ঘন প্যারাসিটামল শরীরের ক্ষতিসাধন করতে পারে। অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে এবং মাথা ঘুরানোর মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


দীর্ঘ সময় ধরে আপনি যদি প্যারাসিটামল খেয়ে যান, তাহলে লিভারের উপর এর বিশেষ প্রভাব পড়তে পারে। ঘন হলুদ রঙের প্রস্রাব, তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা এবং হলুদ চোখ সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ঘন ঘন প্যারাসিটামল খাওয়ার ফলে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

অ্যানিমিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে আপনার শরীরের রক্ত কণিকা উৎপাদন ব্যাহত হয়। পর্যাপ্ত মাত্রায় অক্সিজেন আপনার শরীরে চলাচল করতে পারে না। যার ফলে শরীর সবসময় খুব ক্লান্ত থাকে। প্যারাসিটামল একটি নিরাপদ ঔষধ চিকিৎসকরা বলে থাকেন।

কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত নয়। ডেঙ্গুর প্রভাবে যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পানির ঘাটতি হয়, তখন বিভিন্ন অঙ্গের ওপর এর প্রভাব পড়তে থাকে।

এমনকি আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি এর জন্য অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাওয়ার ফলে লিভারের বেশ ক্ষতি হয়। প্রতি ছয় ঘণ্টা পরপর প্যারাসিটামল খাওয়া আপনার জন্য নিরাপদ হতে পারে।

ঘন ঘন জ্বর হলে প্রতিকারের উপায়

আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। তাই ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি এর মধ্যে প্রতিকারের উপায় জেনে আপনি খুব সহজেই এর প্রতিকার করতে পারেন যেমন,
  • সব সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার অভ্যাস করতে হবে।
  • যেই সকল খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, সেইগুলো ত্যাগ করতে হবে।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে সুস্থ থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
  • ধূমপান এবং মদ্যপান এর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
  • নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • ঘন ঘন জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • যেহেতু ঘন ঘন জ্বর যেকোন জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে তাই সতর্ক থাকতে হবে।

শেষকথা

আশা করছি এই পোস্ট থেকে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি, ঘন ঘন জ্বর হলে প্রতিকারের উপায় এবং অন্যান্য বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হয়েছেন। যদি বিস্তারিত জেনে আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url