বিদ্যুৎ চমকায় কেন - আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় কেন
বিদ্যুৎ চমকায় কেন? এ কারণ সম্পর্কে কতজনের জানা আছে? আমরা যদি বিষয়টি জানতে চাই তাহলে বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়গুলো জানে না। আজকের এই আর্টিকেলে বিদ্যুৎ চমকায় কেন? সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি বিদ্যুৎ চমকায় কেন? এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিদ্যুৎ চমকায় কেন? বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ বিদ্যুৎ চমকায় কেন - আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় কেন
বিদ্যুৎ চমকানো বিষয়টি কি
সাধারণত যখন আকাশে অনেক মেঘ থাকে তখন আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় এ বিষয়টি আমরা সকলে খেয়াল করেছি। কিন্তু এই বিদ্যুৎ চমকানোর আসল কারণ কি? বিদ্যুৎ চমকায় কেন? এ বিষয়ে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। তবে আপনি যদি বিদ্যুৎ চমকানোর আসল কারণ জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা প্রথমেই বিদ্যুৎ চমকানো বিষয়টি কি? তা জানব।
আরো পড়ুনঃ বৃষ্টির পানির প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা ও অপকারিতা
অনেক সময় শোনা যায় যে বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে সাধারণত এই বজ্রপাত এবং বিদ্যুৎ চমকানো এ দুইটি একই বিষয়। মেঘের ভেতরে যদি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চার্জ জমা হয় তাহলে মাঝখানের বাতাসের বাধা অতিক্রম করে সেগুলো মাটিতে চলে আসে সাধারণত এটিকেই বিদ্যুৎ চমকানো বা বজ্রপাত বলা হয়। আবার অনেক সময় মেঘে মেঘে ঘর্ষণের কারণে বিদ্যুৎ চমকাতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আমাদের এই সম্পূর্ণ পৃথিবীতে প্রায় সেকেন্ডে ৪০ থেকে ৫০ বার বিদ্যুৎ চমকায়। যা বছর শেষে অনেক বড় একটি সংখ্যায় দাঁড়ায়। বিশেষ করে আকাশে যখন প্রচন্ড পরিমাণে ম্যাপ থাকে তখন এই বিদ্যুৎ বেশি চমকায় কারণ মেঘে মেঘের সংঘর্ষ হয়।
বিদ্যুৎ চমকায় কেন?
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে বিদ্যুৎ চমকায় কেন? আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে বিদ্যুৎ চমকানো এ বিষয়টিকে কি বলা হয়? সাধারণত আকাশে যখন প্রচন্ড পরিমাণ মেঘ থাকে তখন আমরা এক ধরনের মেঘ ডাকার আওয়াজ শুনি এবং বিদ্যুৎ চমকায় এ বিষয়গুলো লক্ষ্য করে থাকি। কিন্তু এই বিদ্যুৎ চমকায় কেন? এর আসল কারণ কি? চলুন বিষয়গুলো জেনে নেই।
সাধারণত আমরা বাসা বাড়িতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি এবং আকাশে যে বিদ্যুৎ চমকায় সাধারণত এই বিদ্যুৎগুলো প্রায় একই। যখন আকাশে প্রচন্ড পরিমাণে মেঘ ডাকে তখন জলীয়বাষ্প অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় এরপরে সাধারণত এগুলো বরফের আকার ধারণ করে। এটি এত বেশি শক্ত হয়ে যায় যে এগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় এবং এই সংঘর্ষের কারণে ইলেকট্রিক চার্জ উৎপন্ন হয়।
সাধারণত মেঘের উপরের দিকে থাকে পজেটিভ চার্জ এবং নিচের দিকে থাকে নেগেটিভ চার্জ এবং আমরা জানি যে প্রতিটি বিপরীত ধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে তাই এই পজিটিভ এবং নেগেটিভ চার্জ পরস্পরের সংস্পর্শে আসলে এদের বিভব ও পার্থক্য এর কারণে উপর থেকে নিচের দিকে চার্জ নির্গমন হয়। সাধারণত এর ফলে শক্তি নিঃসরণ ঘটে যার ফলে শব্দ হয় এবং আমরা আলোর ঝলকানি দেখতে পাই।
আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় কেন
যখন বর্ষাকাল আসে সাধারণত তখন আমাদের দেশের আকাশের সব সময় মেঘের ঘনঘটা থাকে। আর এই সময় আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর পরিমাণ আরো বেশি বেড়ে যায়। যখন আকাশে অনেক বেশি কালো মেঘ থাকে তখন সব থেকে বেশি বিদ্যুৎ চমকায়। সাধারণত অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় কেন? আজকে তাদের এই প্রশ্নের উত্তর জানাবো।
আরো পড়ুনঃ ওহম সূত্র কাকে বলে - ওহমের সূত্র ব্যাখ্যা করার সহজ উপায়
আপনাদেরকে একটি বিষয় বলে রাখি যে বাতাস হল বিদ্যুৎ অপরিবাহী। সাধারণত অপরিবাহী হওয়ার পরেও যখন বর্জ্যপাত হয় তখন বাতাসের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে থাকে। সাধারণত মেঘের মধ্যে যে বিদ্যুৎ জমা থাকে এগুলো এত বেশি বিভব শক্তি উৎপন্ন করে যে তা বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার জন্য বাতাসের একটি শুরু চ্যানেলকে আয়নিত করে পরিবাহী পথ তৈরি করে ফেলে।
আকাশের মধ্যে যে মেঘ থাকে সাধারণত এগুলো জলীয় বাষ্প রূপে থাকে। একসময় দেখা যায় যে এগুলোর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তখন এগুলো বরফের আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় আমরা যদি একটি বরফ আরেকটি বরফের উপর বারি মারি তখন এক ধরনের শব্দ হয় এবং এক ধরনের আলো তৈরি হয় সাধারণত এটি ঘটে ওখানে।
যখন বরফে বরফে সংঘর্ষ হয় সাধারণত তখন আমরা মেঘ ডাকার আওয়াজ শুনতে পাই আর যখন ইলেকট্রিক চার্জের রূপান্তরিত হয় তখন আমরা বজ্রপাতের আলো দেখতে পাই। আশা করি আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় কেন? এর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।
বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয়
আকাশে যখন মেঘ ডাকে সাধারণত তখন বিদ্যুতের মত আমরা সেই রেখাগুলো দেখতে পাই এগুলোই হলো বর্জ্যপাত। সাধারণত আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখে না। সাধারণত আমরা জানি যে অতিরিক্ত গরমে পানি জলীয় বাষ্পর রূপে আকাশের দিকে উঠে যাই। সাধারণত এর কারণেই মেঘ তৈরি হয়।
এর মেঘে মেঘে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় যার কারণে ইলেকট্রন গুলো আলাদা হয়ে মেঘের নিচের দিকে এসে জমা হয়। তখন স্বাভাবিকভাবে উপরের মেঘের ইলেকট্রনের অভাবে পজিটিভ চার্চ এবং নিচের মেঘের নেগেটিভ চার্জ সৃষ্টি হয়। মেঘের ভেতরে যখন প্রচুর পরিমাণে চার্জ দেওয়া হয় তখন মেঘের ভেতরে বড় ধরনের বিদ্যুৎ চমকানোর বিষয়গুলো লক্ষ্য করা যায়।
মাঝেমধ্যে এই চার্জ গুলো এত বেশি হয়ে যায় যে এগুলো পৃথিবীর দিকে নেমে আসে। সাধারণত বজ্রপাত তৈরি হয় মেঘে মেঘে সংঘর্ষের কারণে। যখন অনেক বেশি জোরে সংঘর্ষ হয় সাধারণত তখন এই শব্দ আরো বেশি জোরে হয় এবং বিদ্যুৎ চমকানোর পরিমাণ আরো বেশি হয়ে থাকে।
বিদ্যুৎ চমকায় কেন - আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় কেনঃ শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে বিদ্যুৎ চমকানো বিষয়টি কি? বিদ্যুৎ চমকায় কেন? আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় কেন? বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয়? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমরা অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানি না তাই অবশ্যই আমাদেরকে প্রথমে এগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ Radiation বা বিকিরণ কি? বিকিরণ এর ক্ষতিকর দিক জেনে নিন
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারন আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।২৫৪২৭
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url