এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি

এইচআইভি কেন হয় বা এইচআইভির কারন কি এই সম্পর্কে বর্তমানে আমাদের সমাজে অনেকেই অজানা। এর ফলে দেখা যাচ্ছে দিন দিন এইডস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সচেতনতার অভাবে অতি সহজেই মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এইডস রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে। এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি তা সম্পর্কে আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।

যখন অবৈধভাবে যৌন মিলন করা হয় অথবা যৌন মিলনের সময় যখন কনডম ব্যবহার করা হয় না তখন এইডস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এক্ষেত্রে যদি দুজনের মধ্যে একজনের এইচআইভি ভাইরাস থাকে তাহলে এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। আবার অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন জনের রক্ত গ্রহণ করার সময় পরীক্ষা করা হয় না। এর ফলে রক্তদাতার শরীরে যদি ভাইরাস থাকে তাহলে তার রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

প্রাথমিকভাবে এইডস রোগ হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে অতি সহজেই বোঝা যায় যে শরীরে এইচআইভি ভাইরাস আছে কিনা বা আমরা এইডস রোগে আক্রান্ত কিনা। এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি এই সম্পর্কে এখন আপনারা জানতে পারবেন।

এইডস রোগ একটি মারাত্মক রোগ। এইচআইভি ভাইরাস মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে এবং আস্তে আস্তে এইডস রোগের দিকে ধাবিত করে। এছাড়া প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের দেহ বিভিন্ন ধরনের বড় বড় রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। মূলত এইডস রোগ একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ এবং এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না। উপরে আমরা আলোচনা করলাম এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি তা সম্পর্কে।

প্রাথমিক অবস্থায় এইডস রোগ হলে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। লক্ষণ প্রকাশ পায় তখনই যখন এইডস রোগ দেহে শক্তভাবে বাসা বাঁধে। এইডস রোগ হলে লক্ষণ প্রকাশ পেতে কারো কারো ক্ষেত্রে দুই মাস লাগতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৬ মাস পরে লক্ষণ গুলো বেশি ভালোভাবে প্রকাশ পায় এবং টেস্ট করলে সহজেই বোঝা যায়। 

এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদেরকে কি করা উচিত এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আমরা যারা জানি না তাদেরকে জানতে হবে কারণ এইচআইভি ভাইরাস আমাদের শরীরে একবার প্রবেশ করলে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ এইচআইভি ভাইরাস সহজে দূর করা সম্ভব হয় না। উপরের আলোচনায় আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি। শরীরে এইচআইভি যেন বাসা না বাঁধে সেজন্য আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সর্বপ্রথম যা করতে হবে তাহলো সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। অপারেশন যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন রাখতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। 

প্রিয় পাঠক, আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি তা সম্পর্কে। আশা করি আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোন কিছু বুঝতে আপনাদের অসুবিধা হলে অথবা যদি আমাদের কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন বিষয় জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। জব আইডি ২৫৫৯১.