পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে জেনে নিন

পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন

আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাবেন। তাহলে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন

ভূমিকা | পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এর পাশাপাশি পিরিয়ডের সময় করণীয় এবং পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবেন ইনশাল্লাহ। কাজেই আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রত্যেকটা মেয়ে মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রত্যেকেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। লোক লজ্জায় আমরা অনেকে এ বিষয়গুলো অন্যের কাছে শেয়ার করতে চায় না। এটা মোটেও ঠিক না। বিষয়টি সকলেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমাদের আজকের মূল আলোচনা শুরু করি।

পিরিয়ডের সময় করণীয়

পিরিয়ডের সময় করণীয় কি এখন আমাদের এই বিষয়ে জানতে হবে। পিরিয়ডের সময় আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে যে বিষয়গুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি এরিয়ডের সময় করণীয় কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। পিরিয়ডের সময় যে বিষয়টি একান্ত ভাবে পালন করতে হয় সেটি হল ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর স্যানিটারি বা প্যাড পরিবর্তন করতে হবে। কাপড় তোলা বা টিস্যু ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এখান থেকে নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। যা পরবর্তীতে ইনফেকশনের সৃষ্টি করবে। এর পরিবর্তে স্যানিটারী প্যাড ব্যবহার করা উত্তম। আবার অনেকে দেখা যায় একসঙ্গে দুটি স্যানিটারী প্যাড ব্যবহার করতে।


এটা মোটেও ঠিক না। একসঙ্গে দুটি স্যানেটারি প্যাড ব্যবহার করলে আরো নানা ধরনের ক্ষতি দেখা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত নানা রকমের সংক্রমণ এড়ানোর জন্য অবশ্যই পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে। আর অবশ্যই যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো প্রতিদিন পরিষ্কার ভাবে গোসল করা। কারণ পিরিয়ডের সময় শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে নানা রকম ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ করতে পারে। যেখান থেকে পরবর্তীতে আরো ক্ষতিকর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। 

পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত

পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত এখন আমরা এই সম্পর্কে জানব। আমরা অনেকেই পিরিয়ডের সময় খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করে থাকি। কি খেতে হবে বা কি খাওয়া যাবেনা এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। পিরিয়ডের সময় আমাদের চেষ্টা করতে হবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার জন্য। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয় তাই আয়রন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা একান্ত জরুরী। পিরিয়ডের সময় মাছ-মাংস, ডিম এবং কলিজা জাতীয় খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরী। কারণ পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত ক্ষরণ হয় তা পূরণ করার জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


তাছাড়া আপনি সবুজ শাক-সবজি যেমনঃ পুঁইশাক, ডাটা শাক এবং কচু শাক ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যা রক্তের ঘাটতিকে পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। পিরিয়ডের সময় এই খাবারগুলো খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিরিয়ডের সময় রক্তের সাথে শরীরের আরো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান গুলো চলে যায়। যার ফলে আমাদের শরীরে নানা রকম ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এই খাবারগুলো খেলে সেই ঘাটতি গুলো পূরণ করা সম্ভব হবে। 

পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন

পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন। পিরিয়ডের সময় মেয়েদের মেজাজের পরিবর্তন হয়ে থাকে। পিরিয়ডের ফলে ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা যেমন কমে যায় তেমনি সেরোটোনিন হরমোন এর মাত্রা কমে যায়। যার ফলে মন খারাপের মতো একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মেয়েদের পিরিয়ড একটি সাধারন পরিচিত ঘটনা। পিরিয়ডের সময় যেহেতু অতিরিক্ত ব্যথা অনুভূত হয় তাই মন খারাপ এবং মেজাজ কিছুটা বিঘ্ন ঘটাটা স্বাভাবিক। আর পিরিয়ডের সময় মেজাজ পরিবর্তন অধিকাংশ মেয়ের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়। কিছু কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে মেজাজটা অত্যন্ত তীব্র থেকে তীব্রতর হতে দেখা যায়। আবার কিছু কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে সেটা স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশ পায়।


বিশেষ করে যাদের প্রথম প্রথম পিরিয়ড শুরু হয় তাদের ক্ষেত্রে মেজাজটা অত্যন্ত তীব্রভাবে প্রকাশ পায়। তারা অল্পতেই খুব বেশি উদ্বিগ্ন এবং খিটখিটে মেজাজের হয়ে ওঠে। তারপর এই বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আস্তে আস্তে মেজাজ কন্ট্রোলে চলে আসে। এভাবেই মূলত চলতে থাকে। আর পিরিয়ডের সময় যে মেজাজ পরিবর্তন হবে এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। পিরিয়ডের সময় মেজাজ পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হলো এ সময় একজন মেয়েকে ঘরেই থাকতে হয়। কাজেই, সবসময় একাকী বসে থাকার জন্য মেজাজ একটু খারাপ হয়ে থাকে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা| পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার এতটুকু উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য। আর এরকম তথ্য নির্ভর আর্টিকেল পেতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। @25155

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url