বজ্রপাতের সময় করণীয়
পোষ্ট সূচিপত্রঃ বজ্রপাতের সময় করণীয়
- বজ্রপাতের সময় করণীয়
- বজ্রপাতের সময় কোথায় থাকা উচিত
- বজ্রপাতের সময় কি করা উচিত নয়
- বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত
- উপসংহার
বজ্রপাতের সময় করণীয়
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে বজ্রপাতের সময় করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলার ঋতু পরিবর্তনের প্রথমে আসে বৈশাখ মাস আর বৈশাখ মাসের শুরু হয় ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত। আর এই বজ্রপাত হলে মানুষের প্রাণহানি, জানমালের ক্ষতি, ফসলের ক্ষতি ইত্যাদি হয়। বজ্রপাতের সময় করণীয় কি তা জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। বজ্রপাতের সময় বাসার বাহিরে না বারানো ভালো।
আরো পড়ুনঃ প্রিডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকার ১০টি উপায়
বজ্র ঝড় সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট হয়ে থাকে। যখন বজ্রপাত হবে তখন আপনি ঘরের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন। বাইরে বের হলে নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করবেন। আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখলে বুঝতে হবে যে বজ্রপাতের লক্ষণ জরুরী প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতো পরে যাবেন। গ্রাম্য পরিবেশে থাকলে কিংবা মাঠে থাকলে পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ান এরপর কানে আঙ্গুল চেপে ধরে বসে পড়ুন বজ্রঝড়ের সময় নিজেকে সেফ রাখুন।
বজ্রপাতের সময় করণীয় কি আরো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বজ্রপাতে আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ মানুষই সাধারণত মারা যায় তাই অন্য কিছু না চিন্তা করে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কিনা সেদিকে নজর দিন। বজ্রপাতের সময় খোলা স্থানে না থেকে পাকা দালানের ভিতরে থাকুন। বড় গাছ বা খোলা স্থানে, ফাঁকা মাঠে, উঁচু গাছ ইত্যাদি এসব জায়গায় বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই এগুলোর নিচে আশ্রয় নিবেন না।
বাসায় থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হলে জানালার কাছে গ্রিলের কাছে না থেকে ঘরের ভিতরে থাকুন। বজ্রপাতের সময় গ্রিল, সিড়ির পাইপ, রেলিং, টেলিফোনের তার ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না বজ্রপাতের সময় এসব স্পর্শ করলে আপনি দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। বজ্রপাতের সময় পুকুরে সাঁতার কাটলে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি সরে যান। বজ্রপাতের সময় টিভির লাইন, ফ্রিজ, আইপিএস, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের লাইন বন্ধ করে রাখবেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বজ্রপাতের সময় করণীয় কি সে বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানতে পেরেছেন।
বজ্রপাতের সময় কোথায় থাকা উচিত
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে বজ্রপাতের সময় কোথায় থাকা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বজ্রঝড়ের সময় ঝড় বৃষ্টি সহ বজ্রপাত হয়ে থাকে এ সময় মানুষের প্রাণহানি হয় ফসলের ক্ষতি হয় জানমাল এমনকি গরু, ছাগল এদেরও জীবন যায় চলে যায়। বজ্রপাতের সময় যে স্থানে থাকা উচিত সেগুলো হল বজ্রপাতের সময় ঘরের মধ্যে কিংবা মাটির গুহার ভেতরে ফাঁকা থাকা স্থান নিরাপদ হয়ে থাকে। রাস্তাতে বা মাঠে কোন জায়গায় থাকলে পায়ের আঙ্গুল চেপে বসে কানে আঙ্গুল দিয়ে বসে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ মাউস কী রকম ডিভাইস - মাউস কী ধরনের ডিভাইস
ছাদে, জানালার গ্রিল, রেলিং, উঁচু গাছের নিচে অথবা খোলা জায়গায় থাকবেন না এসব জায়গায় বেশি ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় খালি পায়ে অথবা চামড়ার ভেজা জুতো পরা খুবই ঝুঁকি পূর্ণ। বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খেয়াল রাখুন যদি কোন মানুষ আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। উপরোক্ত আলোচনা থেকে বজ্রপাতের সময় কোথায় থাকা উচিত আশা করি এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
বজ্রপাতের সময় কি করা উচিত নয়
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে বজ্রপাতের সময় কি করা উচিত নয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করব। বজ্রপাতের সময় আমাদের সকলেরই সতর্ক থাকা উচিত একটু ভুলের কারণে অনেক বড় বিপদ চলে আসে বজ্রপাতের কারণে মানুষের জীবন নাশ হয়ে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেই বজ্রপাতের সময় কি করা উচিত নয় সে সম্পর্কে বজ্রপাতের সময় আমরা বাসার মধ্যে থাকার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুনঃ বাবাকে নিয়ে ১০০+ আবেগঘন স্ট্যাটাস - বাবাকে নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস
বাসার ইলেকট্রনিক লাইন, টিভি, ফ্রিজ, টেলিফোনের লাইন ইত্যাদি স্পর্শ করা উচিত নয়। বজ্রপাতের সময় জানালার সামনে বা জানালার গ্রিল স্পর্শ করা যাবে না। বড় গাছের নিচে, ফাঁকা জায়গায় থাকা যাবে না। বজ্রপাতের সময় ধান খেতে বা মাঠে থাকলে নিচু হয়ে যান, আবার বাড়ির ছাদে বা উচু জায়গায় থাকলে সেখান থেকে সরে যান, পুকুরে সাঁতার কাটলে সেখান থেকে সরে যান।
বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বজ্রপাতের সময় যে ঝড় সৃষ্টি হয় তাকে বজ্রঝড় বলে বজ্রঝড়ের কারণে প্রতিবছরই বহু মানুষ মারা যায় আবার ঘরবাড়ি গবাদি পশু এসবেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। বজ্রপাতের সময় আমরা কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে সাবধান রাখতে পারবো।
আরো পড়ুনঃ কিয়ামতের আলামত এবং লক্ষণ – এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন
বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। এই বজ্রপাত থেকে যে তাপমাত্রা তৈরি হয় সেটি হল ৩০ হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস যা সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা চাইতেও বেশি হয়। আর্টিকেলটি পড়ে বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত এবং বজ্রপাতের সময় করণীয় কি সে বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
উপসংহার
পরিশেষে একথা বলে শেষ করবো যে প্রকৃতির যে শক্তি তার কাছে আমরা বড়ই অসহায় তাই আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন এবং নিরাপত্তা জনিত সমস্ত কিছু মানতে হবে। আজ আমি এই আর্টিকেলে বজ্রপাতের সময় করণীয় কি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url