এইচআইভি (HIV) ভাইরাস কি - বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন



এইচআইভি "(ইংরেজিতে HIV এবং পূর্ণরুপ হলোঃ H=Human, I=Immunodeficiency, V=Virus, যা বাংলায়ঃ মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস)" ভাইরাস কি? আমরা অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু আমাদের মাঝে এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রয়েছে। কারণ এটি হলো মারাত্মক একটি ভাইরাস। সাধারণ মানুষের এইচআইভি ভাইরাস কি এ বিষয়ে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। আজকের এই আর্টিকেলে "এইচআইভি (HIV) ভাইরাস কি - বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন" এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।


আরো পড়ুনঃ হেপাটাইটিস বি হলে কি বিদেশ যাওয়া যায় 

পেজ সূচিপত্রঃ এইচআইভি (HIV) ভাইরাস কি - বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন


ভূমিকা


আপনি যদি "এইচআইভি (HIV) ভাইরাস কি - বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন" এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এ আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে হলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "এইচআইভি (HIV) ভাইরাস কি - বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন" বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এইচআইভি ভাইরাস কি?

এইচআইভি একটি ভাইরাসের ছোট নাম। "হিউমেন ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস" থেকে নাম হয়েছে এইচআইভি। "(ইংরেজিতে HIV এবং পূর্ণরুপ হলোঃ H=Human, I=Immunodeficiency, V=Virus, যা বাংলায়ঃ মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস"। এ ভাইরাস মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে  অতি দ্রুত রোগাক্রান্ত হতে পারে। এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে সংক্রমণ হলেই রোগ হয়ে যায় না। সংক্রমণ হয়ে রোগ হতে অনেক বছর লাগে। ১০ থেকে ১৫ বছর বা ২০ বছর পর এই রোগ হতে পারে।

এ ভাইরাসের আক্রান্তের ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ সম্পর্কে জানেন না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিশেষ করে গ্রামে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা এই সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখেন না। কারণ গ্রামে এই ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে তেমন কোন ধারণা দেওয়া হয় না এবং গ্রামে এ ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা নাই বললেই চলে।

যেহেতু এটি একটি মারাত্মক ভাইরাস সংক্রামক মরন ব্যধী, তাই এ হতে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের সকলকেই "এইচআইভি (HIV) ভাইরাস কি - বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন"  এ বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান - চলুন ভ্রমণে যাই এবং স্বাদের খাবার খাই

এইচআইভি হলো এক ধরনের ভাইরাস। সাধারণত এটি বিভিন্ন ভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে। এইচআইভি মূলত কোন রোগ নয় সাধারণত এটি একটি ভাইরাস এবং এ ভাইরাসজনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে, এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এইডস (AIDS) রোগ।

এআইডিএস এইডস "(ইংরেজিতে AIDS, এর পূর্ণরুপ হলোঃ "A=Acquired, I=Immuno, D=Deficiency, S=Syndrome, যা বাংলায়ঃ অর্জিত প্রতিরক্ষার অভাবজনিত রোগলক্ষণসমষ্টি)"। এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সাধারণত এর ফলে ক্যান্সারসহ আরো মারাত্মক কিছু রোগ ধরা পড়ে। যেহেতু এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তাই নানান রকম সংক্রামক রোগ আমাদের দেহে সংক্রমিত হতে থাকে। এমনকি মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।

এইচআইভি ভাইরাস বিভিন্ন ভাবে আমাদের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনেকেই মনে করে থাকে এটি ছোঁয়াচে রোগ কিন্তু এইচআইভি ভাইরাস কোন ধরনের ছোঁয়াচে রোগ নয়। সাধারণত এইচআইভি ভাইরাস আমাদের সংবেদনশীল কোর্সগুলোর উপরে সংক্রমিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের অনেক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত। 


১৯৮১ সালে এ ভাইরাসটি (H=Human, I=Immunodeficiency, V=Virus) আবিষ্কার হয়। আবিষ্কারের পর থেকে এই পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত  "প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ মারা গেছেন" বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

এইচআইভি ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে

আপনাদের সকলের সুবিধার্থে বলে রাখি যে, এইচআইভি ভাইরাস কোন ধরনের ছোঁয়াচে রোগ নয়। সাধারণত এটি মানব দেহের মধ্যে প্রবেশ করে মানুষের শরীরের বীর্য, রক্ত এবং লালা থেকে। আমরা অনেকেই এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে জানি কিন্তু এইচআইভি ভাইরাস কি এবং এইচআইভি ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে, সাধারণত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখি না। এইচআইভি ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

অরক্ষিত যৌন মিলনের কারণে

এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো অরক্ষিত যৌন মিলন। বিশেষ করে যারা অনিরাপদ যৌন মিলন করে সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে এইচআইভি ভাইরাসটি ছড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়াও নিন্মবর্ণিত যৌন মিলনের কারণে এইচআইভি ভাইরাসটি ছড়িয়ে যেতে পারেঃ

  • একই লিঙ্গে (সমকামিতা) যৌন মিলন করলে। 
  • যেকোনো পশুর সাথে যৌন মিলন করলে। 
  • পায়ুপথে যৌন মিলন করলে।

রক্তের মাধ্যমে

কেউ যদি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত এমন কোনো রোগীর কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করে তাহলে যে এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত নয় সাধারণত তার ভেতরেও এ ভাইরাসটি প্রবেশ করবে।

ইনজেকশনের মাধ্যমে

যদি একই ইনজেকশন অনেক জনের ক্ষেত্রে ব্যবহার বা পুশ করা হয় তাহলে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এমন কোন ব্যক্তির শরীরে ইনজেকশন ব্যবহার বা পুশ করা হলো যার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে সেখান থেকে আবার অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করালে তার শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

মা থেকে সন্তানকে বুকের দুধ পাণ করানোর মাধ্যমে

যদি কোন গর্ভবতী মা এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং সে যদি তার বাচ্চাকে দুধ পান করায় তাহলে এক্ষেত্রে এ ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

সার্জিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট

সার্জারি করার জন্য যা ব্যবহার করা হয়, যদি এইচআইভি রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয় সেগুলি যদি ভালোভাব পরিষ্কার না করে (একই আইটেম) পুনরায় ব্যবহার করার ফলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

অন্যান্য মাধ্যমে

আমরা সবাই জানি,  বায়ু, পানি, খাদ্য বা অন্য কোন স্পর্শের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না। এ ব্যাপারে  আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।


এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

আপনার শরীরে যদি এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হয় তাহলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে। সাধারণত এই লক্ষণগুলো দেখে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার দেহ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যদি লক্ষণগুলো প্রাথমিক লক্ষণ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবুও সতর্কতা অনুযায়ী আমাদের এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই সাথে সাথে চিকিৎসকের সরণাপন্ন হয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিত। আসুন লক্ষণগুলো জেনে নিই। যদি কেউ এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হয় তাহলে তার নিন্মলিখিত  বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবেঃ  

১। যদি কোন ব্যক্তি একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন অথবা সব সময় তার শরীর ক্লান্ত অনুভব করে। সাধারণত তখন এইচআইভি ভাইরাস পরীক্ষা করা উচিত।

২। আমাদের শরীরে যে জায়গাগুলোতে জয়েন্ট করেছে সাধারণত সেই জায়গাগুলোতে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা এবং ফোলা ভাব অনুভূত হওয়া এইচআইভি ভাইরাসের অন্যতম একটি লক্ষণ।

আরো পড়ুনঃ মাঙ্কিপক্স (Monkey Pox Disease) কি? মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ গুল সম্পর্কে জানুন

৩। যদি কারো শরীরে এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমিত হয় তাহলে তার ওজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। যদি আপনার প্রচেষ্টা ছাড়া ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি এই রোগে আক্রান্ত।

৪। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সব সময় মাথা ব্যথা অনুভূত হয়। আবার মাঝে মধ্যে এই ব্যাথা বিশেষ করে সকালে গিয়ে কমে যায় কিন্তু রাতের বেলা প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা হয়।

৫। যদি আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন, তবুও আপনার গলা শুকিয়ে যায় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

৬। বিনা কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা করা, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কান্নাকাটি করাসহ অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ এইচআইভি ভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ।

৭। ফোটা ফোটা আকারে প্রসাব বের হওয়া এবং প্রসাব করার সময় জ্বালা, যন্ত্রণা এবং ব্যথা হলে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

৮। ঘন ঘন জ্বর হওয়া এবং একটানা এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত জ্বর থাকলে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। 

৯। শরীরের পাশাপাশি গলায় অস্বাভাবিক ব্যাথা থাকলে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। 

১০। খাবার খেতে এবং গিলতে সমস্যা হলে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। 

১১। একাধারে তিন সপ্তাহের মত গলায় ও মাথায় রেশ দেখা দিলে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। 

১২। অনেক সময় এইচআইভি ভাইরাসের কারণে শুকনো কাশি এবং বমি বমি ভাব দেখা যায়। আবার মাঝে মধ্যে কাশির সাথে সামান্য পরিমাণে রক্তও বের হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ দুর্বলতা কাটাতে চান? শরীর দুর্বল এর লক্ষন - শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়

১৩। এইচআইভি ভাইরাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল ঘুমের সময় প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম হওয়া। সাধারণত এটি এইচআইভি ভাইরাস আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ।

 

এইচআইভি ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়

এইচআইভি ভাইরাস হলো একটি মারাত্মক ভাইরাস। যদি এটি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এবং মারাত্মক কিছু রোগ আছে যেগুলো আমাদের শরীরে সহজেই সংক্রমিত করতে পারে। 


এখন যদি কেউ কোন কারণে এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত হয় তাহলে অবশ্যই এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আমাদের বাংলাদেশে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি। দেশের চিকিৎসার আওতায় রয়েছে মাত্র ৮ হাজার এবং এই পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫৮৮ জন। সনাক্ত করন ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সচেতনতা এবং বড় ওষুধ হচ্ছে কাউন্সেলিং। কাউন্সিলিং করে অনেকটা কন্ট্রোল করা যেতে পারে। 

আমাদের সকলের ভুল ধারণা আছে অনেকে মনে করেন এইডস হলে মৃত্যু নিশ্চিত।  কিন্তু যারা এ কথা বলেন তারা হয়ত জানেন না যে, নিয়মিত ওষুধ খেলে একজন রোগী এই রোগের কারণে মৃত্যুবরণ করে না। উল্লেখ্য যে, "বাংলাদেশের ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত করা হয়েছিল। তিনি এখনো বেঁচে আছেন বলে জানা গেছে"। এইচআইভি সংক্রমণের উপায়গুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

আরো পড়ুনঃ নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - নিউমোনিয়া রোগীর খাবার 

১। যেহেতু এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে যৌন মিলনের মাধ্যমে। তাই যদি কেউ এই রোগের আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাকে যৌন মিলন করার সময় অবশ্য সতর্ক থাকতে হবে। 

২। যৌন মিলন করার বিশেষ প্রয়োজন হলে যৌন মিলন করার সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে।

৩। অনিরাপদ যৌন মিলন বা যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪। যদি কোন ব্যক্তির রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই রক্ত ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিতে হবে। 

৫। পরীক্ষা ছাড়া যদি রক্ত শরীরে প্রবেশ করানো হয় তাহলে অনেক সময় এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৬। প্রতিবার ইনজেকশন নেওয়ার সময় নতুন সিরিজ বা সুইচ ব্যবহার করতে হবে। 

৭। শরীরে ইনজেকশন প্রবেশ করার সময় অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

৮। ইনজেকশন এর মাধ্যমেই আমাদের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৯। অন্যের ব্যবহার করা ব্লেড ব্যবহার করা হতে বিরত থাকতে হবে।

১০। কোন যৌন রোগ থাকলে বিলম্ব না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

১১। বিয়ের আগে ছেলে এবং মেয়ের উভয় রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে। 

১২। এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ বা সন্তানকে বুকের দুধ পাণ করার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ যক্ষা রোগীর খাবার তালিকা। যক্ষা রোগ হলে কী কী খাবার খেতে হবে

১৩। আমাদের সবাইকে ধর্মীয় অনুসাশন বা রীতিনীতি মেনে চলতে হবে। 


এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ওষধ (চিকিৎসা)

এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ওষধ (চিকিৎসা) নেই বললেই চলে। তবে আক্রান্ত রোগীকে অধিক পরিমাণের সচেতন হতে হবে এবং নিচের ওষুধগুলো নিয়মিত সেবন করা যেতে পারে। তবে কিছুটা হলে সুস্থ থাকবেন ইনশাল্লাহঃ 

✌নেভিরাপিন (এই ওষধ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়)।

✌নিউক্লিওসাইড রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ ইনহিবিট (এই ওষধ সংক্রমণকে বিলম্বিত করে)।

✌প্রোটিয়েজ ইনহিবিটর (এই ওষধ ভাইরাসের পুনরাবৃত্তিতে বাধা সৃষ্টি করে)।

✌প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস, প্রেপ (এইডস প্রতিরোধক ট্যাবলেট)।

 

শেষ কথাঃ এইচআইভি (HIV) ভাইরাস কি - বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে "এইচআইভি ভাইরাস কি, এইচআইভি ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে, এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ, এইচআইভি ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় এবং এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ওষধ (চিকিৎসা)" সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু অনেক সময় এটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম উপায়ে প্রবেশ করে তাই অবশ্যই আমাদেরকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আপনাদের  সকলের মঙ্গল ও উন্নতি কামনায় শেষ করছি। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের প্রিয়জনকে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url