কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা - কলার বিভিন্ন তথ্যাদি
ভূমিকা। কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা - কলার বিভিন্ন তথ্যাদি
কলার বিজ্ঞানসম্মত বা ল্যাটিন নাম কি?
কলা কত প্রকার?
আমাদের দেশের কলার নাম।
কলার কোন দেশে বেশি উৎপাদন হয়?
কলার বৈশিষ্ট্য কি কি?
- কলাকে বলা হয় ফলের রাণী।
- কলা চাষ করতে কম জায়জা, স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে কলা চাষ করা যায়। কলা একটি লাভজনক ও অর্থকরী ফল/ফসল হিসেবে বেশ পরিচিত।
- কলা এমনই একটি ফল, যা যে কোন সময় যে কোন জায়গায় একই হারে সারা বছর পাওয়া যায়।
- কলাতে আছে প্রচুর পরিমানে আমিষ, শর্করা (সহজে হজমযোগ্য), আয়রন জাতীয় পুষ্টি উপাদান, রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপাদান (ক্যালরি, খনিজ এবং পানি)। আরও আছে ভিটামিন (এ, বি, বি-৬ ও সি), ক্যালসিয়াম, পর্যাপ্ত খাদ্যশক্তি, প্রাকৃতিক সুগার ইত্যাদি।
- কলা একটি মিষ্টি স্বাদ যুক্ত ফল এবং যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- এই ফলটির আকার এবং রঙ পরিবর্তনশীল। তবে সাধারণত লম্বাটে এবং বাঁকা হয় হয়ে থাকে। এটি পাকলে বিভিন্ন রঙের হতে পারে। বিশেষ করে হলুদ রঙয়ের বেশি হয়ে থাকে।
- অন্য কোন ফলের তুলনায় কলা কঠিন খাদ্য উপাদান সমন্বয়ে হওয়ায় যে কোনো তাজা ফলের তুলনায় বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
- একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
- ফলগুলি গাছের শীর্ষের কাছে গুচ্ছ আকারে উপরের দিকে বৃদ্ধি পায়।
- কলা গাছ পরিবেশের জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত বিশ্লেষণ
কলার পিঠা।
কলার চিপ্স।
কলার তরকারি।
কলার ভর্তা।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা - কেন কাঁচা মরিচে এত উপকার!
কলার থোড় বা মোচা খাওয়া।
কলার থোড় বা মোচা রান্না করে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। যা শরীর ঠাণ্ডা রাখে। এছাড়াও কলা গাছের কাণ্ডের ভেতরের অংশ (ভাদাল) এর রান্না করে তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। কলার থোড়ের রস কলেরা রোগীর তৃষ্ণা নিবারণে ও রক্ত বমি রোধের জন্য উপকারী। কলার থোড় খাওয়ালে কলেরা রোগী ভাল হয়। কলার মোচায় মিথানল এক্সট্র্যাক্ট নামের একটি উপাদান থাকে। যা খুব শক্তিশালী এবং আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন অভাব পূরণে সহায়তা করে থাকে।
কাঁচা কলা খাওয়া যায়।
নানাভাবে কলাকে খাওয়া যায়। এর মধ্যে কাঁচা কলা অন্যতম। যে ভাবেই কলা খাই না কেন সবভাবেই এর খাদ্যগুণ ঠিক থাকে। কাঁচা কলা শরীরের ক্ষয় পূরণে, স্নায়ু ভালো রাখতে, কর্মক্ষমতা বাড়াতে, মাংশপেশির কর্মক্ষমতাকে সচল রাখতে ইত্যাদি হিসেবে কাঁচা কলা কার্যকর সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। আপনি যদি একজন সচেতন ব্যক্তি হন তাহলে আপনার বাড়তি ওজন কমাতে পথ্য হিসেবে পরিচিত স্বাস্থ্যকর এই সবজিটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
কাঁচা কলা আমাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে, পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করাসহ নানা কাজে কাঁচকলা বেশ কার্যকরী।
কাঁচা কলার কাবাব।
আপনি কি কখন কাঁচা কলার কাবাব খেয়েছেন? যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে কোন সমস্যা নাই। আজই বাসায় ঝটপট বানাতে পারেন এই কাঁচা কলার কাবাব। যা বেশ মজাদার এবং সু-স্বাদের হয়ে থাকে। এর জন্য প্রয়োজন হবেঃ কাঁচা কলা, আলু, বিভিন্ন মসলা, লবণ, পেয়াজ, রসুন, টোষ্ট, ডিম, তেল ইত্যাদি উপকরণ। এই সকল আইটেম অতি সহজেই হাতের কাছেই পাওয়া যায়। তাই বলছি একদিন বানিয়ে খেতে পারেন।
কলা কাঁচা এবং পাকা উভয় হিসেবে খাওয়া যায়।
কলা এমনই একটি ফল, যা কাঁচা এবং পাকা হিসেবে উভয় খাওয়া যায়। বিভিন্ন ভাবেই কলা খাওয়া যায়। কলা পছন্দ করেননা এমন মানুষ আমাদের দেশে পাওয়াটাই মুশকিল। শিশু, কিশোর, যুবক এমনকি বয়স্ক সবাই কলা পছন্দ করে থাকেন। কলা নিশ্চয়ই আমাদের সকলের প্রিয় একটি বার মাসি ফল। কলা খেলে খুব তাড়াতাড়ি পেট ভরে এবং এর পাশাপাশি খুব কম সময়ে শক্তি পাওয়া যায়। সাধারণতঃ আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ সদ্যপাকা কলা খেতে পছন্দ করেন। কলা অতিরিক্ত পেকে গেলে এর চামড়ায় কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। তাতে করে কলার কালার পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত পাকা কলার চাহিদা কমে যায়।
কলা খোসার ব্যবহার।
আমরা সাধারণত কলা খাওয়ার পর এর খোসা অকেজো মনে করে ফেলে দিয়ে থাকি কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন, এর চমৎকার সব ফলাফল সম্পর্কে জানলে। আসুন আমরা জেনে নিই কলার খোসা ব্যবহারের কয়েকটি সংক্ষিপ্ত ফলাফলঃ
- পশুদের খাদ্য হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- জমির সার হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- সুন্দর/মসৃণ ত্বকের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- ব্যথা ও চুলকানি সারাতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- চামড়ার জুতায় দাগ ঝকঝকে করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- রুপার চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- গাছ দ্রুত বাড়াতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- মাংস রান্না করার সময় নরম করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- ত্বক উজ্জল করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- চুলের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- চোখের সুরক্ষায় কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- বলিরেখা দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
- দাদ এবং খোসপাঁচড়ার ওষুধ হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
কলা খাওয়ার উপকারিতা।
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কলা ভিটামিন সি এর ভালো উৎস, যা প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে সক্ষম করে ভাইরাস ও অন্যান্য রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে। যার ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে। শরীরের শক্তি বাড়ায়।
২। হালকা খাবার। কলা একটি হালকা ও পরিপূর্ণ খাবার হিসেবে খেতে সহজ, সুস্বাদু ও সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায়।
৩। ত্বক ও মুখের স্বাস্থ্য উন্নতি এবং সুন্দরতা। কলায় থাকে প্রচুর পরিমানের ভিটামিন সি। যা ত্বক ও মুখের সুন্দরতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি ত্বকে চমক এবং ঝুঁকিতে সংযোজন করে। ত্বকের স্বাস্থ্যকর ও চমকপ্রদ, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রক্তের গতিকে বৃদ্ধি করে। কলার আরোগ্যকর উপকারী প্রক্রিয়া মাধুর্য বিকাশে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
৪। হেল্থি হার্ট: কলা হার্টের জন্য স্বাস্থ্য বান্ধব হিসেবে ভাল কাজ করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
৫। মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি: কলা মিনারেল এবং ভিটামিনের সমন্বয়ে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করে এবং মনোবল বাড়ায়। কলার মাধুর্য প্রক্রিয়াতে অনুপ্রাণিত হওয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্ক বাড়ায়।
৬। কোলাস্ট্রল নিয়ন্ত্রণ: কলা খাবারে নিউট্রিটিভ সারা বিষয়ে ভরপুর হয়, যা কোলেস্ট্রলের স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এতে আছে প্রিবায়োটিক, যা কলেরা এবং অন্যান্য পাচন সমস্যার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ আপেল সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য
৭। হিমোগ্লোবিন উন্নতি: কলা হিমোগ্লোবিনের উন্নতি করে এবং অ্যানেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কলা আয়রন যুক্ত, যা রক্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করে।
৮। ডিপ্রেশন প্রতিরোধ: কলায় থাকা ভিটামিন বি-৬, ডিপ্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৯। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে: কলায় অনেক কম ক্যালোরি ধারণ করে ও উচ্চ ফাইবারের সূত্র, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি খুব পরিপূর্ণ ও কম ফ্যাট হওয়ায় বুড়ি প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। কলায় অন্যান্য মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কমিয়ে তুলে ধরে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
১০। মস্তিষ্ক স্বাস্থ্য উন্নতিতে কাজ করে: কলায় থাকা ভিটামিন বি-৬ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতিতে কাজ করে, মেমরি ও মনোবিশ্রাম স্থিতি উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের কাজ-কর্মে সাহায্য করে।
১১। কোষ ক্ষতিকে প্রতিষ্ঠান করা: কলাতে বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য কোষ ক্ষতির ঝুঁকি নির্মূল করে এবং পুষ্টি তত্ত্বকে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাখে। কলা প্রোটিন, খনিজ এবং পুষ্টি যুক্ত। যা কোষের নির্মাণ ও পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
১২। প্রেসার নিয়ন্ত্রণ: কলা হাই ব্লাড প্রেশার কমানোর জন্য ভাল কাজ করে এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কলায় থাকা পটাসিয়াম ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১৩। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: কলা মিষ্টি এবং প্রাকৃতিক সুগারসহ অনেক ফাইবার রয়েছে। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। কলাতে ক্যালরি এবং প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার থাকায় রক্তের চিন্তামুক্ত লেভেল বজায় রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, কলা রক্তশুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
১৪। অতি উচ্চ মানের পুষ্টি: কলা একটি উচ্চ পুষ্টিশীল ফল। কলায় ভরপুর ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়ামসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। যা আমাদের শরীরের পুষ্টি উন্নত করে এবং সুস্থতা বজায় রাখে।
১৫। হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি নিরাময়: কলায় পটাসিয়াম ও ফাইবার থাকায় এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং হৃদয়ের সুস্থতা বজায় রাখে ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পটাশিয়াম ও ফাইবারের সম্মিলিত মাত্রার কারণে কলা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। কলায় পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকিকে নিরাময় করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
১৬। কোষ্ঠকণ্ঠ স্বাস্থ্যের উন্নতি: কলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে, যা কোষ্ঠকণ্ঠের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
১৭। হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতি: কলায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম থাকায় এটি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্যেও কলা খুব ভাল কাজ করে।
১৮। অস্থি ও মাংস পেশি স্বাস্থ্য: কলাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের উচ্চ উৎস। যা অস্থি এবং মাংসপেশি স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে কাজ করে।
১৯। ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সমর্থন করে: কলা ফাইবারের প্রায় ২.৬ গ্রাম। যা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের স্বাস্থ্য বান্ধব ও এর সহায়ক হিসেবে কাজ করে এবং পেটের সমস্যাগুলি মিটায়। কলা ফাইবারের উৎস হিসেবে কাজ করে।
২০। শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালোঃ স্ত্রীলোকের জন্য গর্ভধারণ সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কলা ফোলেটিক এসিড সরবরাহ করে এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
আরো পড়ুনঃ বাদামের কয়েকটি পুষ্টিগুণ
২১। ক্যান্সার প্রতিরোধ কলা: কলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কলায় পাওয়া ফোলেট অ্যাসিড ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। কলা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং প্রতিরোধ করে। সম্প্রতি আরও এক তথ্যে জানা গেছে, কলা অন্ত্রের, মুখের ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে দেহকে রক্ষা করে।
২২। স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে কলা: কলা স্বাস্থ্যকর ফলের মধ্যে একটি শক্তিশালী ফল। যার মধ্যে খনিজ, অন্যান্য পুষ্টি পূর্ণ, উচ্চ ফাইবার, ভিটামিন এ ও সি এবং মিনারেল রয়েছে। যা পেটের সমস্যা ঠিক করে। কলায় যা চোখের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফোলেটিক এসিডের উপস্থিতি থাকায় স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রসারণ সমৃদ্ধ হয়। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি’র উপস্থিতি কারণে হাড়, দাঁত এবং চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
২৩। পুষ্টিকর ও পুষ্টিকর তত্ত্ব: কলাতে অনেক পুষ্টিকর, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ। যা শারীরিক অবস্থাকে বৃদ্ধি করে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। কলায় ভরপুর পুষ্টি থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি তত্ত্বকে পূরণ করে।
২৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলা: কলাতে প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের প্রাচুর্য আছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কলার মিষ্টি স্বাদ এবং ক্যালিয়ামের সঠিক মাত্রার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কলার মধ্যে আছে আয়রন। এই আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে।
২৫। মাংস পেশীর স্বাস্থ্য উন্নতি: কলাতে ভিটামিন এ ও সি, পটাশিয়াম এবং মিনারেল বেশি পরিমাণে থাকে, যা মাংস পেশীর স্বাস্থ্য উন্নতি করে।
২৬। ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণে সাহায্য করেঃ কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানের ক্যালসিয়াম। যা ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণে সাহায্য করে।
২৭। ভাল কোন স্বাস্থ্য এবং মনোবল উন্নত করতে সাহায্য করে: কলাতে রয়েছে অনেক আঁশ। যা রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলাতে আছে সিরোটোনিনের উৎস, যা মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোবল উন্নত করতে সাহায্য করে।
২৮। কলা মিষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর: কলার মিষ্টি স্বাদ এবং এটি স্বাস্থ্যকর স্নায়ুগুলি যেমন পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি সরবরাহ করে।
২৯। রক্ত শূন্যতায় কলা। কলায় আছে প্রচুর পরিমান আয়রণ। যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য কলা খুবই উপকারী।
৩০। ওষুধি গুণ। কলায় আছে প্রচুর পরিমানের ওষুধি গুণ এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি মাথাব্যথার প্রাকৃতিক নিরামক হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ বাঙ্গির উপকারিতা ও অপকারিতা
কলা খাওয়ার অপকারিতা।
১। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা। কলা বেশি খেলে পেটে গ্যাস জমতে পারে। ফলে যে কোন সময় পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাসহ অনন্য অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
২। ডায়াবেটিস বা শর্তব্যথা সংক্রান্ত সমস্যা। কলা অধিক পরিমানে খেলে ডায়াবেটিস হতে পারে।
৩। উচ্চ রক্তচাপ বা হার্ট সমস্যা। বেশি কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা হতে পারে।
৪। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা। কলা খাওয়ার পর কিছু মানুষের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে, যেমন পেটে গ্যাস, পেটের ব্যথার সমস্যা ইত্যাদি।
৫। শুক্রাণুরর ক্ষতি। কলা বেশি খাওয়া কিছু মানুষের শুক্রাণুর ক্ষতি করতে পারে এবং স্ত্রীদের গর্ভধারণের সমস্যা হতে পারে।
৬। প্রজনন সমস্যা। বেশি কলা খাওয়া পুরুষের শুক্রাণু গতিতে কমার কারণে প্রজনন সমস্যা হতে পারে।
৭। প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সমস্যা। বেশি কলা খাওয়া ব্যক্তিদের রক্তচাপ বা প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
৮। পেটে ব্যাথা। অধিক পরিমাণে কলা খাওয়া হলে পেটে ব্যাথা হতে পারে। কলা যদি পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে অসুস্থতা হতে পারে।
৯। মস্তিষ্কের সমস্যা। কলা যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তাহলে মস্তিষ্কের তেলের মাত্রা বাড়ে এবং চিন্তামুক্ত অবস্থা অনুভব করা যেতে পারে।
১০। হাড় ও মাংসপেশী সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়ায়। কলা যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তাহলে হাড় ও মাংসপেশী সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়তে পারে।
১১। মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। অধিক পরিমাণে কলা খাওয়ার পর মুখ পরিস্কার করা না হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
১২। ডায়াবেটিস হতে পারে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে অতিরিক্ত কলা খাওয়া বেশি সময় ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কলা খাওয়ার প্রভাবে ডায়াবেটিস হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কেন মিষ্টি কুমড়া খাবেন
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url