বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাস – FIFA World Cup History
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাস – FIFA World Cup History
ভূমিকা:
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাস – FIFA World Cup History এর পেজ কনটেন্ট সূচিপত্রঃ
ফুটবলের ইতিহাস
FIFA world cup 1930 - Football |
১৮৪৮ সালে কেমব্রিজে একটি সভায় গেমের জন্য সঠিক নিয়ম তৈরি করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু সে সময়ে নিয়মের সব প্রশ্নের চূড়ান্ত সমাধান অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ফুটবলের ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে ১৮৬৩ সালে লন্ডনে, যখন ইংল্যান্ডে প্রথম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ফুটবল দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিটিশ খেলা ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে এটি ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পরে। ইউরোপের বাইরে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলাটি ১৮৬৭ সালে আর্জেন্টিনায় হয়েছিল।
ফিফা (FIFA) কি
আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা হচ্ছে (ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন - Federation International de Football Association, FIFA), আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান। FIFA এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত এবং ফিফাকে বলা যায় ফুটবলের জাতিসংঘ। FIFA প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০৪ সালে এবং ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিরা একটি ফাউন্ডেশন অ্যাক্টে সই করেছিল।
First World Cup Prize Giving Ceremony |
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান - চলুন ভ্রমণে যাই এবং স্বাদের খাবার খাই
ফুটবলের জন্ম কোন দেশে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের প্রথমেই বলতে হয়, ফুটবলের জন্ম হয়েছে কোন দেশে? আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনি ফুটবলের জন্ম কোন দেশে এই প্রশ্নের উত্তরে বলবেদ ইংল্যান্ডে কথা। কারন, ফুটবল খেলা ১৮৬৩ সালে ইংল্যান্ডে আবিষ্কার করেন। তাই ফুটবলের জন্ম কোন দেশে এমন প্রশ্ন আপনার কাছে এলে আপনি নির্দিধায় বলে দিতে পারেন ইংল্যান্ডে দেশের নাম। সুতরাং, ফুটবলের জন্ম হয় ইংল্যান্ডে দেশে। আধুনিক ফুটবলের পয়দা হয়েছে ইংল্যান্ডে।
Football for all |
বিশ্বের প্রথম স্টেডিয়াম নির্মাণ
১৯ শতকের শেষের দিকে, ফুটবল খেলা আয়োজনের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে গুডিসন পার্ক তৈরি করা হয়। ১৮৯৪ সালে, নটস কাউন্টি এবং বোল্টন ওয়ান্ডারার্সের মধ্যে এফএ (FA) কাপের ফাইনালে ৩৭ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিল। ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোর উন্নয়নে একটি মাইলফলক হলো মারাকানা স্টেডিয়াম নির্মাণ। ১৯৫০ সালে রিও ডি জেনেরিওর আকর্ষণীয় স্টেডিয়ামটি প্রায় দুই লাখ লোকের জন্য প্রস্তুত ছিল। অন্য কোনো খেলা হোস্ট করার জন্য নির্মিত এই ক্ষমতার স্টেডিয়াম এর আগে কেউ কখনো দেখেনি।
Football Stadium |
বিশ্বের প্রথম ফুটবল ক্লাব
ফুটবল ক্লাবগুলো ১৫ শতক থেকে বিদ্যমান কিন্তু তা ছিল অসংগঠিত এবং অফিশিয়াল মর্যাদা ছাড়াই। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম ফুটবল ক্লাব কোনটি তা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। কারন, ইতিহাসবিদ মনে করেন যে ১৮২৪ সালে এডিনবার্গে একটি ফুটবল ক্লাব গঠিত হয়েছিল। প্রারম্ভিক ক্লাবগুলো প্রায়ই প্রাক্তন স্কুলছাত্রদের দ্বারা গঠিত হয়েছিল এবং এ ধরনের প্রথমটি ১৮৫৫ সালে শেফিল্ডে (একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম) গঠিত হয়েছিল। পেশাদার ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম হলো ইংলিশ ক্লাব নটস কাউন্টি (Notts County), যা ১৮৬২ সালে গঠিত হয়েছিল এবং আজও বিদ্যমান।
Notts Country Football Club - 1862 |
আরো পড়ুনঃ লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত - লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস
সর্বপ্রথম কোন দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় এবং কত সালে
1930 World Cup |
ফুটবল বিশ্বকাপ কোন কোন সালে অনুষ্ঠিত হয়নি এবং কেন
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম একটি ঘটনা হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুুটবল শুরু হয় এবং যা এখন পর্যন্ত ৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। যা এখনও বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম একটি সাক্ষী।
অলিম্পিক গেমসে অফিশিয়াল খেলা হিসেবে ফুটবলকে অন্তর্ভূক্ত করন
১৯০৮ সালে ফুটবল প্রথমবারের মতো অলিম্পিক গেমসে অফিশিয়াল খেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৩০ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ খেলার পূর্ব পর্যন্ত, অলিম্পিক গেমস ফুটবল টুর্নামেন্ট একটি জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে স্থান পায়। যা এখনও বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম একটি সাক্ষী।
ম্যাচের প্রথম টিকিট বিক্রি
খেলোয়াড়দের অর্থ প্রদানের পেছনে যে অনুপ্রেরণা, তা শুধু বেশি ম্যাচ জেতা ছিল না। ১৮৮০ দশকে খেলাটির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ এমন পর্যায়ে চলে যায়, যে ম্যাচের টিকিট বিক্রি করা শুরু হয় এবং ১৮৮৫ সালে পেশাদার ফুটবল বৈধতা পায়। প্রথম মৌসুমে ১২টি ক্লাব লিগে যোগ দিয়েছিল। পরে আরও ক্লাব আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং এর ফলে প্রতিযোগিতা আরও বিভাগীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথম বিশ্বকাপে কয়টি দল অংশগ্রহণ করেন
বিশ্বের প্রথম বিশ্বকাপে মোট ১৩টি দেশ অংশ নেয়। এই ১৩টি দেশের মধ্যে আমেরিকা অঞ্চলের ছিল ৯টি বাকি ৪টি ছিল ইউরোপের। দলগুলো হলোঃ আয়োজক উরুগুয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, চিলি, মেক্সিকো, পেরু, ফ্রান্স, যুগোস্লোভিয়া, রোমানিয়া এবং বেলজিয়াম। যা এখনও বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম একটি সাক্ষী।
Uruguay First(1930) World Cup Team |
আরো পড়ুনঃ বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস বাংলা - বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করবেন যেভাবে
প্রথম বিশ্বকাপে কোন দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়
বিশ্বের প্রথম এই বিশ্বকাপে মোট ১৩টি দেশ অংশ নেয়। ফাইনালে ৯৩ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বের প্রথম বিশ্বকাপ বিজয়ের গৌরব অর্জন করে এবং আর্জেন্টিনা রানারআপ হয়। যা এখনও বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম একটি সাক্ষী।
1930 World Cup Champion Team |
বিশ্বকাপ ফুটবলে ইতিহাসে প্রথম গোলদাতা কে
১৩ জুলাই ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী তথা বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও মেক্সিকো। সেই ম্যাচের ১৯ মিনিটে ফ্রান্সের হয়ে গোলটি করেন লুসিয়ান লরেন্ট। সে ম্যাচে ৪-১ গোলে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল মেক্সিকো। যা এখনও বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম।
ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এসিস্টদাতা কে
ব্রাজিলিয়ান পেলে হচ্ছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এসিস্টের মালিক। পেলে বিশ্বকাপে সর্বোমোট ৯টি এসিস্ট করেছেন। এর ভেতর ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ৬টি এসিস্ট করেছেন যা এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। উল্লেখ্য যে, আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা এক বিশ্বকাপে ৫টি এসিস্ট করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন এবং ম্যারাডোনা ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপে মোট ৭টি এসিস্ট করেছেন।
Pele (Highest Assist Scorer-1970) |
চ্যাম্পিয়ন দলকে নকল বিশ্বকাপ ট্রফি দেওয়া হয় কেন
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম একটি সাক্ষী হচ্ছে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন দলকে নকল বিশ্বকাপ ট্রফি দিয়ে অরিজিনাল সেই ট্রফিটা ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়। আসল ট্রফি নিয়ে তাঁরা দেশে ফিরতে পারে না। ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে বিজয়ী দল শুধুমাত্র অরিজিনাল ট্রফি নিয়ে সাময়িক আনন্দ উদযাপন করতে পারেন। তার বদলে তাদের একটি ডুপ্লিকেট ট্রফি দেওয়া হয়। এই ডুপ্লিকেট ট্রফিটা ব্রোঞ্জের হয়ে থাকে। এর উপর সোনার প্রলেপ করে দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। তাই আসল জুলে রিমে ট্রফিটা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল পেলেদের।
FIFA World Cup Trophy |
আরো পড়ুনঃ ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল
কেন প্রতি ৪ বছর পর পর ফিফা (FIFA) বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা
বিশ্বকাপের মতো বড় মাপের প্রতিযোগিতার পরিকাঠামো তৈরিতে পর্যাপ্ত সময়, জড়িয়ে আছে বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগানের বিষয়, অন্যান্য বড় বড় প্রতিযোগিতার সঙ্গে যাতে বিশ্বকাপ ফুটবল একই সময়ে না হয় ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করার জন্য ন্যূনতম চার বছর সময় দরকার বলে মনে করেন ক্রীড়া সংগঠকেরা। এই সকল কারণেই মূলত প্রতি ৪ বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ী কে ছিলেন
ফাইনালে বিশ্বকাপের ইতিহাসে অনেক রেকর্ড তৈরি হয়েছে যা ২০২২ সাল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে। ১৭ বছর বয়সে, পেলের একই সাথে বিশ্বকাপের ফাইনালে অংশ নেওয়া, স্কোর করা এবং জেতার সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিলেন। যা এখনও বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম।
Pele at 17 (in 1958) |
বিশ্বকাপের দ্রুততম গোলদাতা কে
তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ২০০২ বিশ্বকাপের যখন মুখোমুখি আসরের দুই দল তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া। রেফারির খেলা শুরুর করার বাঁশি দেওয়ার সাথে সাথে গোল! তুরস্কের স্ট্রাইকার হাকান সুকুর খেলা শুরুর মাত্র ১১ সেকেন্ডের মাথায় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে জড়িয়েছিলেন বল। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে দ্রুততম গোলের সেই রেকর্ডটি এখনও হাকান সুকুর ধড়ে রেখেছেন।
Hakan Sukur |
লাল কার্ড পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় কে
চিলির কার্লোস ক্যাসেলি ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের পর লাল কার্ড প্রাপ্ত হয়েছিলেন বার্টি ভোগটস। ১৯৭০ সালে চালু করা হয়েছিল লাল কার্ড, কিন্তু কাউকে দেয়া হয়নি।
Carlos Caszely - 1974 |
আরো পড়ুনঃ জাজাকাল্লাহ খাইরান অর্থ কি - জাজাকাল্লাহ খাইরান এর জবাব কি
বিশ্বকাপ ট্রফিতে কত কেজি সোনা আছে
সোনা এবং রুপা ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি তৈরি করতে। যার ওজন মোট ১১ কেজি। ট্রফিটি উচ্চতা ৬০ সেন্টিমিটার। বিশ্বকাপ ট্রফিতে বলটির ওজন প্রায় ৪ কেজি।
World Cup Trophy |
গোল্ডেন বল কি আসল সোনার
সোনার বলটি প্রকৃতপক্ষে ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে আচ্ছাদিত। হলুদ ধাতুর সাথে মিশ্রিত গণনাযোগ্য অন্যান্য উপকরণ যেমন পিতল, পাইরাইট এবং মোমের মতো উপাদান রয়েছে। ৩১ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়ে এবং প্রায় ৭ কিলোগ্রাম ওজনের।
World Cup Golden Ball |
গোল্ডেন বুট বা গোল্ডেন শু এর ইতিহাস
গোল্ডেন বুট বা গোল্ডেন শু হচ্ছে সে সব পুরস্কারের মধ্যে অন্যতম একটি সম্মানজনক পুরস্কার। বিশ্বকাপ ফুটবল এর প্রতিটি আসরেই থাকে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। গোল্ডেন বুট বা গোল্ডেন শু পুরস্কারটি ফিফা বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে প্রদান করা হয়। ১৯৮২ সালে প্রথমবার এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছিল। এটি ২০১০ সালে গোল্ডেন বুটের নামকরণ করা হয়।
Golden Boot |
গোল্ডেন বল কি
বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই হচ্ছে পুরস্কারের ছড়িছড়ি। এর মধ্যে অন্যতম ‘’গোল্ডেন বল’’। এই পুরস্কারটি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে যে বিবেচিত হন তাকে দেয়া হয়।
FIFA Golden Ball |
আরো পড়ুনঃ ১০ উপায়ে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম সম্পূর্ণ নতুন সাইট ২০২4
গোল্ডেন গ্লাভ কি
ব্রাজিল এ পর্যন্ত কয়টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, এই দেশটি সর্বোচ্চ ৫ বারের বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে। একমাত্র ব্রাজিলই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে অংশগ্রহণ করেছে।
Brazil National Team (1970) |
বিশ্বকাপ শিরোপা কোন দেশ কতবার জিতেছে
ব্রাজিলই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে অংশগ্রহণ করে মোট ৫ (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২) বারের শিরোপা জিতেছে। এছাড়াও ইতালি ৪ (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২ এবং ২০০৬), জার্মানি ৪ (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ এবং ২০১৪), আর্জেন্টিনা ৩ (১৯৭৮, ১৯৮৬ এবং ২০২২), উরুগুয়ে ২ (১৯৩০ এবং ১৯৫০), ফ্রান্স ২ (১৯৯৮ এবং ২০১৮), ইংল্যান্ড ১ (১৯৬৬) এবং স্পেন ১ (২০১০) বার করে শিরোপা জিতেছে।
4th Time World Cup Winner Germany |
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা কে
জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা মিরোস্লোভার ক্লোজে টুর্নামেন্টের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০০২, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪ চারটি বিশ্বকাপে ২৪ ম্যাচে ১৬টি গোল করেছেন ক্লোজে। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে মোট ১৬৯টি গোল করেছিল ৩২ দল মিলে, যা টুর্নামেন্টের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ব্রাজিলের কিংবদন্তী গোল স্কোরার পেলে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
Miroslav Klose |
বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা ফুটবলার কে
বিশ্বকাপের একটি টুর্নামেন্টে একজন খেলোয়াড়ের সর্বাধিক গোল করার রেকর্ডটি এখনও কিংবদন্তি ফরাসি ফরোয়ার্ড জাস্ট ফন্টেইনের দখলে রয়েছে। তিনি ১৯৫৮ সালে সুইডেনে মাত্র ছয়টি ম্যাচে অসাধারণভাবে ১৩টি গোল করতে সক্ষম হন। অন্যদিকে, চার বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ১৬ গোল করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড করেছেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে মোট ১৬৯টি গোল করেছিল ৩২ দল মিলে, যা টুর্নামেন্টের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
Just Fontaine - 1958 |
আরো পড়ুনঃ সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ যা আপনার শেখা উচিৎ
বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলদাতা কে
১৯৯৪ বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় এক ম্যাচে একক খেলোয়াড় হিসেবে রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কো সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। ২৫ বছর বয়সী সালেঙ্কো ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে ক্যামেরুনকে ৬-১ গোলে হারায়। যার ৫টি গোল ১৫, ৪১, ৪৪, ৭২ এবং ৭৫ মিনিটে করে বিশ্বকাপ আসরের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি আয়ত্ত করেন।
Oleg Salenko - 1994 |
২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার কে
বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২২ কাতারে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনা শিরোপা অর্জন করে এবং লিওনেল মেসি হন টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার।
Lionel Messi - Best player in WC 2022 |
সর্বশেষ মন্তব্য
ফুটবল খেলা খুবই আনন্দের এবং অনেক মজার একটি খেলা। ফুটবল প্রেমীরা এই খেলা থেকে বেশি আনন্দ যেন অন্য কোন কিছুতেই খুঁজে পান না। খেলা শুরুর হওয়ার পূর্বেই টিভির সামনে এবং কোথায় কোথায়ও আলাদাভাবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় দর্শকদের পছন্দের টিমের খেলা দেখার জন্য রাত জেগে অধির আগ্রহ নিয়ে আপেক্ষায় থাকে কখন আমাদের টিম জয়ী হবে।
Boy playing football |
আমাদের শরীরকে ফিট রাখার জন্য এবং মনকে ভালো এবং প্রফুল্ল রাখার জন্য ফুটবল খেলার কোন বিকল্প নেই। বলতে হয়, শৈশবে ফুটবল খেলার মত আনন্দটা এখন কোন কিছুতেই খুঁজে পাইনা। তাই সর্বশেষ ফুটবল প্রেমি (টটেনহাম এবং দক্ষিণ কোরিয়া) সন হিউয়্যাং মিন এর একটি বানি দিয়ে শেষ করছি, তিনি বলেছিলেন, আমি ঠিক ততদিন পর্যন্ত ফুটবল খেলতে চাই, যতদিন না আমার পুত্র আমাকে বলে, বাবা তুমি আর দৌড়াতে পারবেনা, তুমি মৃত।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url