বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ
বর্তমানে বুক জ্বালাপোড়া জটিল সমস্যা। অনেকেই বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জানে না। কিন্তু আমাদের উচিত বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ জেনে রাখা। বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে আজকের আলোচনা।
বুক জ্বালাপোড়া করার আগে কিছু উপসর্গ ও লক্ষণ দেখা যায়। সেসব লক্ষণ ও উপসর্গের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। আজকের পোষ্টের মূল বিষয়বস্তু বুক জ্বালাপোড়া করার যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ আছে তা নিয়ে।
পোস্ট সূচীপত্র | বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ
- বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ কি
- বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ
- বুক জ্বালাপোড়া করার জটিলতা
- বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে যা করবেন
- শেষ কথা
বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ কি
বুক জ্বালাপোড়া একটা বিরক্তিকর সমস্যা যে সমস্যাটা আমরা প্রায় মাঝে মাঝেই ভোগ করে থাকি। বুক জ্বালাপোড়া করার প্রধান কারণ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক। এছাড়া বুক জ্বালাপোড়ার আরো অনেক কারণ আছে। নির্দিষ্ট কোনো কারণে বুক জ্বালাপোড়া করে না। বুক জ্বালা পোড়া হতে পারে লোয়ার ইসোফিজিয়াল স্ফিংটার এর অস্বাভাবিক সংকোচন এর মাধ্যমে। ধূমপান করলে, অতিরিক্ত মসলা জাতীয় ও চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে, দেহের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে খুব জ্বালাপোড়া করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বুক জ্বালাপোড়া কমাতে কি করবেন
বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো কি কি তা আমরা অনেকেই কিন্তু জানিনা। তবে এসব বিষয়ে আমাদের জেনে রাখাটা খুব ভালো। কারণ এই লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখলে যাতে সহজেই বুঝতে পারি এবং অতি তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারি। বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন তাহলে চলুন বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জেনে নেই।
বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ
বুক জ্বালাপোড়া করার জটিল এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত অনেক কিছুই করতে হয়। আমরা ঘরোয়া ভাবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতেও অনেক কিছু করে থাকি। কিন্তু এসব করার আগে আমাদের জানতে হবে বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে। যদি আমরা লক্ষণ ও অপসর্গগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারি তাহলে চিকিৎসা নিতে সুবিধা হবে। চলুন তাহলে আলোচনা করি বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে-
- বুক জ্বালাপোড়া করার প্রথম লক্ষণ হলো বুকের চারপাশে পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। এই সমস্যাটির মূলত রাত্রে বেশি হয়। এর কারণ হতে পারে রাত্রে খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া।
- দ্বিতীয় যে লক্ষণ বা উপসর্গ আছে তা হল পুড়ে যাওয়ার মত এই অনুভূতি আস্তে আস্তে বেড়ে যায়।
- মুখের মধ্যে হালকা হালকা টক স্বাদ চলে আসে।
- কোন কিছু গিলতে অসুবিধা হয়।
- কাশি হয় এবং গলার মধ্যে অস্বস্তি ভাব চলে আসে। মুখে অতিরিক্ত অম্লতার কারণে এই রকম হয়।
- পাকস্থলীতে অতিরিক্ত এসিডের কারণে গলায় অস্বস্তি চলে আসে।
বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে আমরা জানতে পারলাম। এই লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বুক জ্বালাপোড়া করলে অবহেলা না করে অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বুক জ্বালাপোড়া করার জটিলতা
কোন রোগকে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ সামান্য রোগ থেকে অনেক বড় জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই যেকোনো ধরনের রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। তেমনি বুক জ্বালাপোড়া করা সাধারণ সমস্যা হলেও তা কিন্তু অনেক বড় রোগ সৃষ্টি করতে পারে। বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে আমরা একটু আগে জানলাম। তো বুক জ্বালাপোড়া দিনের পর দিন চলতে থাকলে তার শরীরের ঘা এর সৃষ্টি করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গলা জ্বালা করে কেন
অনেক সময় দেখা যায় যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে বুক জ্বালাপোড়া শুরু হয়। তাই বুক জ্বালা পোড়া নিয়ে সাবধান হওয়া উচিত। বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা দীর্ঘদিন যদি শরীরে থেকে যায় তাহলে একসময় ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে। খাদ্যনালী চিকন অথবা খাদ্যনালী ফুটা হয়ে যেতে পারে। বুক জ্বালাপোড়া থেকে একসময় কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। লিভার ফেইলর হওয়ার মতো মারাত্মক পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে যা করবেন
বর্তমান সময়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা প্রায় প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। আসলে দিন দিন এই সমস্যাটা মানুষের মধ্যে বাড়তেছে। কারণ আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজতে পারেন। বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে আমরা উপরে জেনেছি। বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। কম করে খাওয়ার অভ্যাস করুন অর্থাৎ একবারে বেশি করে না খেয়ে কিছুক্ষণ পরপর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর উপায়
অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার কম পরিমাণে খান। কারণ অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাদ্য খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে। অতিরিক্ত পরিমাণে কোমল পানীয় পান করবেন না। নয়তো পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। বর্তমানে সাধারণ একটা বিষয় ধূমপান ও মদ্যপান। তো এই ধরনের অভ্যাস থাকলে পরিহার করুন। তাহলে আমরা আজকের পোস্ট এ জানলাম বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে এবং আরো বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে।
শেষ কথা | বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ
প্রিয় পাঠক, আমরা আমাদের পোস্টে আলোচনা করলাম বুক জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এই বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা গুরুত্ব সহকারে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিবো। স্বাস্থ্য বিষয়ক ও আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url