অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি?
আপনারা কি জানেন অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? অনেকেই জানেন না অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানবো অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি?
অ্যাপল কোম্পানি বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে থাকে। পণ্য গুলোর মান অনেক উন্নত। কিন্তু অনেকেই একটি বিষয় জানতে চান অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? আজকের আর্টিকেলে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি?
ভূমিকা
অ্যাপল কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত করেন স্টিভ জবস। ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস এবং তার দুই সহকারী একত্রে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেন। জবস অনেক পরিশ্রমী হওয়ার কারণে কোম্পানিটি বিশ্বের দরবারে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। অ্যাপল কোম্পানিটি উন্নত মানের ডিজিটাল পণ্য তৈরি এবং বাজারজাত করে থাকে। বেশিরভাগ পণ্য তারা আমেরিকার বাজারে বাজারজাত করে থাকে। তাদের পণ্যের মান ভালো এবং টেকসই হওয়ার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ অ্যাপল পণ্য অনেক পছন্দ করে।
এছাড়াও অ্যাপল কোম্পানি স্প্রেডশিট তৈরি করেছে। স্প্রেডশিট এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাব নিকাশ ডিজিটাল কাগজের মাধ্যমে রাখা হয়। আমরা অনেকেই জানিনা অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? আজকের পোস্টে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
অ্যাপল কোন দেশের কোম্পানি?
অ্যাপল কোম্পানিটি আমেরিকার একটি কোম্পানি যার সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া শহরে অবস্থিত। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এর সাথে তার দুই সহকর্মী স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন একসাথে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত করেন। অ্যাপল কোম্পানিটি স্মার্ট ফোন তৈরির পাশাপাশি আরো অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে থাকে। অ্যাপল কোম্পানি নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমের নাম আইওএস। ২০০৭ সালে তারা আইফোন বাজারে নিয়ে আসে।
আরো পড়ুন: কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব
তারা প্রথমে যে কম্পিউটারটি তৈরি করেছিল তা আকারে বেশ বড় ছিল। পরবর্তীতে তারা এই কম্পিউটারটি ছোট আকারে তৈরি করে। আমেরিকার প্রথম কোম্পানি হিসেবে এটি এক ট্রিলিয়ন মূল্য অতিক্রম করে। অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
অ্যাপল কোম্পানির মালিক কে?
অ্যাপল ব্যবহারকারীরা এতক্ষণ জানতে পারলেন অ্যাপল কোম্পানি কোন দেশের কোম্পানি সে সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন আপনারা জানবেন আপনার অ্যাপল কোম্পানির মালিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। ১৯৭৬ সালে তিনজন ব্যক্তি মিলে অ্যাপল কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেন। যার মধ্যে একজন হলেন স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যে রোনাল্ড ওয়েন ৮০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তার শেয়ার বিক্রি করে দেয়।
এরপর তিনি কোম্পানি ছেড়ে চলে যান। তখন স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক মিলে কোম্পানি পরিচালিত করতে থাকেন। জবস ছিলেন একজন ডিজাইনার এবং উদ্ভাবক। তার প্রচেষ্টায় কোম্পানি বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং জবস কোম্পানির মালিক এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। আপনার নিশ্চয়ই জানতে পারলেন অ্যাপল কোম্পানির মালিক কে এই বিষয়ে বিস্তারিত।
অ্যাপল কোম্পানির সিইও কে?
অ্যাপল কোম্পানির প্রধান এবং সিইও ছিলেন স্টিভ জবস। কিন্তু তিনি যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তারপর কোম্পানির হাল ধরেন টিম কুক। টিম কুক এখন কোম্পানির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অ্যাপল কোম্পানির বড় অংশের শেয়ার হোল্ডার হলেন টিম কুক। আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জ এন্ড কমিশন থেকে এ তথ্যটি জানানো হয়। তাই অ্যাপেল কোম্পানির বর্তমান সিইও হল টিম কুক।
অ্যাপল কোম্পানি কি কি তৈরি করে?
অ্যাপল কোম্পানি সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করে থাকেন অ্যাপল কোম্পানি শুধু স্মার্টফোন তৈরি করে। আসলে তথ্যটি সঠিক নয়। অ্যাপল কোম্পানি স্মার্টফোন তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে থাকে। এই পণ্যগুলো অনেক টেকসই এবং দামী হয়ে থাকে। এই পণ্যগুলোর দাম বেশি হওয়ার কারণ হলো পণ্যগুলো উন্নত মানের হয়ে থাকে। অ্যাপল এর তৈরি পণ্যগুলোর চাহিদা বিশ্বের বাজারে অনেক।
আরো পড়ুন: কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করবেন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এই পণ্যগুলো অনেক পছন্দ করেন এবং তাদের তালিকায় রাখেন। এছাড়াও অ্যাপল কোম্পানি স্প্রেডশিট তৈরি করেছে। অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? এ বিষয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব। অ্যাপল কোম্পানির পণ্যগুলো সম্পর্কে নিচে ধারণা দেওয়া হলো।
- অ্যাপল টিভি
- এয়ার ট্যাগ
- চার্জার
- ইয়ারফোন
- আইপড
- আইপ্যাড
- ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম
- আইফোন
- আইওএস
- অ্যাপল পেন্সিল
- হোম পড
উপরের পণ্যগুলো অ্যাপল কোম্পানির নিজস্ব পণ্য। এই পণ্যগুলোর চাহিদা এবং অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। পণ্যগুলো কেনার জন্য আপনাকে বেশি বাজেট রাখতে হবে। কারণ অ্যাপল পণ্যের দাম একটু বেশি। আপনি চাইলে পণ্যগুলো আপনার সংগ্রহে রাখতে পারবেন।
স্প্রেডশিট কি?
স্প্রেডশিট এর বাংলা হল ছড়ানো বড় মাপের কাগজ। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাব সংরক্ষণের জন্য স্প্রেডশিট ব্যবহার করা হয়। রো এবং কলাম এর মাধ্যমে একটি স্প্রেডশিটে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চিত্র তুলে ধরা হয়। সফটওয়্যার নির্ভর স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম গুলোর কারণে কাগজের স্প্রেডশিট এর ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। স্প্রেডশিট বলতে মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রাম কে বোঝানো হয়েছে।
যা মূলত হিসাব নিকাশের কাজে ব্যবহার করা হয়। স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম এ সারণি আকারে তথ্য উপস্থাপন করা হয় এবং গাণিতিক বিভিন্ন ফর্মুলার মাধ্যমে তার সমাধান করা হয়। স্প্রেডশিট সূত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকায় অনেক বেশি উপাত্ত নিয়ে সহজে কাজ করা যায়। গ্রাফ এবং চার্টের মাধ্যমে উপাত্ত গুলো সহজেই উপস্থাপন করা যায়।
অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি?
অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? এ বিষয় নিয়ে হয়তো অনেকে জানতে আগ্রহী। আবার অনেকেই জানেন না অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? তাহলে চলুন জেনে নেই অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট টির নাম সম্পর্কে। অ্যাপল কোম্পানি সর্বপ্রথম ভিসিক্যালক স্প্রেডশিট সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেন। অ্যাপল কোম্পানি এই স্প্রেডশিট উদ্বোধন করেন ৭০ দশকের শেষের দিকে। অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট এক্সেল, ওপেন অফিস, অর্গ ক্যাল্ক, অ্যাপল নাম্বার্স, নিউমেরিক, সুপার ক্যাল্ক ইত্যাদি। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত স্প্রেডশিট হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সেল।
শেষ কথা: অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি?
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? এ সম্পর্কে জানতে পারলেন। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে অ্যাপল কোম্পানির তৈরি স্প্রেডশিট এর নাম কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। অ্যাপেল কোম্পানি তাদের প্রথম বেডশীট প্রোগ্রাম চালু করেছিল যার নাম ছিল বেসিকাল। অ্যাপল কোম্পানি তৈরি পণ্যগুলো সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। যারা অ্যাপল প্রেমী তারা অ্যাপল পণ্য সব সময় নিজের পছন্দের তালিকায় রাখেন।
তারা ভালো করেই জানেন অ্যাপল পণ্যের দাম অনেক বেশি কিন্তু এই পণ্যগুলো অনেক উন্নত মানের এবং টেকসই হয়ে থাকে। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং পোস্টটি পরে যদি আপনার উপকার হয় তাহলে পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন। পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথেও পোস্টটি শেয়ার করবেন। আপনার প্রয়োজনীয় মতামত আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url