দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম - কতক্ষণ দাঁত ব্রাশ করা উচিত

আপনার দাঁত ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি ভাল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে এবং দাঁতের সমস্যা যেমন গহ্বর এবং মাড়ির রোগ প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। আপনার মুখে আরামদায়ক মাপসই এবং  সঠিক আকৃতি সহ একটি নরম-ব্রিস্টল টুথব্রাশ নির্বাচন করুন। ফ্লোরাইড আপনার দাঁতকে গহ্বর থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আপনার টুথব্রাশে মটর-আকারের পরিমাণ ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার টুথব্রাশটি মাড়ির কাছে 45-ডিগ্রি কোণে ধরে দাত ব্রাশ করুন। প্রতিটি দাঁতের বাইরের পৃষ্ঠ, ভিতরের পৃষ্ঠ এবং চিবানো পৃষ্ঠগুলি ব্রাশ করুন। ব্যাকটেরিয়া অপসারণ এবং আপনার শ্বাস সতেজ করতে আপনার জিহ্বা এবং আপনার মুখের উপরের অংশ ব্রাশ করতে ভুলবেন না। অন্তত দুই মিনিট ব্রাশ করার লক্ষ্য রাখুন। আপনি একটি টাইমার ব্যবহার করতে পারেন বা সময় ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করতে একটি ছোট গান বাজাতে পারেন যতক্ষণ গান চলবে ততক্ষন ব্রাশ করবেন। এভাবে আপনি সঠিক পদ্ধতিতে  ব্রাশ করতে পারেন।

কতক্ষণ দাঁত ব্রাশ করা উচিত সে সম্পর্কে অবশ্যই প্রত্যেকের জানা উচিত। কেন না কেউ কেউ দীর্ঘ সময় ধরে দাত গ্রাস করে দাঁতের এনামেল নষ্ট করে ফেলে যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আবার দেখা যায় যে কেউ কেউ খুবই অল্প সময়ে ধরে দাঁত ব্রাশ করে ফলে দাঁতের ভেতরের ময়লা পরিষ্কার হয় না। তাই প্রত্যেকের জানা উচিত যে কতক্ষণ দাঁত ব্রাশ করলে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

সর্বনিম্ন দুই মিনিট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন মিনিট পর্যন্ত দাঁত ব্রাশ করা যায়। তবে দুই মিনিটের কম সময় যদি দাঁত ব্রাশ করে আপনি চলে যান তাহলে দেখা যাবে যে আপনার দাঁত ঠিকঠাক পরিস্কার হবে না। আবার যদি আপনি তিন মিনিটের বেশি দাঁত ব্রাশ করেন তাহলে দেখা যাবে আপনার দাঁত বেশি ঘষার ফলে এনামেল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দুই থেকে তিন মিনিট খুব সুন্দরভাবে দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়ম মেনে দিনে অন্তত দুবার দাঁত ব্রাশ করুন।

আমরা প্রত্যেকেই দাঁত ব্রাশ করি কিন্তু অনেকেই জানিনা যে কিভাবে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা যায়। সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হলে আপনাকে একটি সঠিক টুথব্রাশ নির্বাচন করতে হবে। টুথব্রাশটি হবে নরম আকৃতির এবং সহজে বাঁকানো যায়, মাড়ির এপাশ-ওপাশ ঘুরানো যায় ঠিক এমন। আপনার টুথব্রাশটি মাড়ির কাছে 45-ডিগ্রি কোণে ধরে ব্রাশ করুন।

দাঁত ব্রাশ করার সময় তাড়াহুড়া না করে ধীরে ধীরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। আপনি যদি খুব জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করেন তাহলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই হালকাভাবে ধীরে ধীরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁত ব্রাশ করার সময় দাঁতের এপাশ-ওপাশ মাড়ির নিচে এবং উপরে চারদিকে ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে। এভাবে ব্রাশ করলে আপনার মুখের দুর্গন্ধতা দূর হবে এবং দাঁত দেখতে ঝকঝক করবে এবং দাতের এনামেল ঠিক থাকবে। 

দাঁত ব্রাশের জন্য টুথপেস্ট নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যায় দাঁত ব্রাশের জন্য। তবে এর মধ্যে এক ধরনের টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো। যে ধরনের টুথপেস্ট এর মধ্যে রয়েছে ফ্লোরাইড। অর্থাৎ ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দাঁতের জন্য খুবই ভালো। দাঁতের বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ফ্লোরাইড। দাঁতের এনামেল কে রক্ষা করে দাঁত ভালো রাখে। তাই যে ধরনের টুথপেস্টই ক্রয় করবেন দেখে নিবেন যে ফ্লোরাইডযুক্ত কিনা।