মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্পর্কে জানুন
কখনো কি ভেবেছেন হঠাৎ যদি আপনার মোবাইল হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনি কি করবেন। মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে আপনার কি কোন ধারণা আছে। মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে আপনার যদি কোন ধারণা না থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে।
তাহলে চলুন মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করে নেয়া যাক। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: মোবাইল হ্যাক হলে করণীয়
ভূমিকা
হ্যাকিং বলতে আমরা বুঝি তথ্য বা ফাইল চুরি বা পরিবর্তন করার জন্য একটি নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা।এই ধরনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি গুলোকে হ্যাকার বলা হয়। হ্যাকাররা কোন ব্যক্তির কোনো মোবাইল বা কম্পিউটার হ্যাকিং এর মাধ্যমে সে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য কপি করে নেয় এবং তার ক্ষতি সাধন করে। তাই আপনি যদি এমন কোন কাজে নিয়োজিত থাকেন যেটা ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত তাহলে আপনাকে ইন্টারনেট বিষয়ক প্রত্যেকটি বিষয়ের সমাধান রাখা আবশ্যক।
যেন কোন সমস্যা হলে সেই বিষয়টি আপনি চিহ্নিত করতে পারেন এবং তা সমাধান করতে পারেন। যেমন: আপনার মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় হিসেবে আপনি কি করবেন বা আপনার মোবাইল ট্র্যাক হচ্ছে কিনা বুঝার উপায় এই সমস্ত বিষয়গুলি সম্বন্ধে একটি সাধারণ ধারণা থাকা আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য। আবার অনেকের এমন প্রশ্ন থাকে যে বাটন ফোন কি হ্যাক করা যায়।
এ বিষয়ে অনেকে অনুসন্ধানও করে ইউটিউব অথবা গুগল সাইট থেকে। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে আপনার হাতে থাকা বাটন ফোনটিও হ্যাক হতে পারে। তাই শুধু এন্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রেই সতর্কতা অবলম্বন করলে হবে না আপনার হাতে থাকা মুঠোফোনটির ও বিশেষ সুরক্ষার প্রয়োজন।
মোবাইল হ্যাক হলে করণীয়
বর্তমান যুগে প্রযুক্তি এতটা উন্নত হয়েছে যে এর সুবিধা সমগ্র বিশ্বে প্রতিনিয়ত মানুষ ভোগ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই আধুনিক প্রযুক্তির কিছু অসুবিধা সমূহ আছে যা মানুষের জীবনে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর সে সমস্ত ক্ষতিকারক দিকগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথমে রয়েছে হ্যাকিং। আধুনিক বিশ্বে যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত ইউটিউব, গুগল, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সেখানে হ্যাকারদের সংখ্যাও দিন দিন বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে এটা যে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা বা আপনার মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে আপনি কি ভেবেছেন।
আরো পড়ুন: সাইবার ক্রাইম মামলা কোথায় করতে হয়?
আপনার মোবাইল সুরক্ষিত আছে কিনা তা আপনার ফোনের অ্যাক্টিভিটি খেয়াল করলেই আপনি বুঝতে পারবেন। যেমন: যেকোনো অ্যাপ বা ফোল্ডার যখন তখন ওপেন হয়ে যাওয়া, ক্যামেরা যখন তখন ওপেন হয়ে যাওয়া, যে কোনো ছবি বা ভিডিও হঠাৎ করে ডিলিট হয়ে যাওয়া এগুলো এক্টিভিটি হল ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায় বা মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে নিচে আলোচনা করা হলো:
- আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যদি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য থাকে তাহলে যেখানে সেখানে ওয়াইফাই সংযোগ না করাই ভালো।
- ফোন যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কোনো দোকানে রেখে আসবেন না।
- সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং ইমেইল, ড্রাইভ, ক্লাউড সবসময় ব্যবহারের পর লগ আউট করে রাখা সবচেয়ে ভালো হয়।
- মোবাইলের লক ১২৩৪ এর মত কমন পাসওয়ার্ড দিবেন না। একটু ভারী পাসওয়ার্ড দিলে ভালো হয়।
- ব্লুটুথ অন রাখবেন না। কাজ শেষে ব্লুটুথ অফ করা আবশ্যক।
- নিয়মিত ব্রাউসার হিস্টোরি কুকি ডিলিট করুন।
- প্লে স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর ব্যতীত অন্য কোথা থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।
- আপনার প্লে স্টোরে নেই এমন কোন অ্যাপ ইন্সটল করবেন না। প্লে স্টোরের ম্যালওয়্যার জাতীয় কোন অ্যাপ সমর্থন করে না।
- আপনার ফোনে কোন থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ইনস্টলেশনে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে পারেন।
- অপরিচিত কারো দেওয়া লিংকে যাচাই না করে প্রবেশ করবেন না।
যদি আপনার কোন ধরনের অসচেতনতার কারণে আপনার মোবাইল ফোন হ্যাক হয়েও যায় সে ক্ষেত্রে আপনার বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে। মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় গুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে মোবাইলের সকল ডাটা বা সব ফাইল মেমোরি কার্ডের সংরক্ষণ করে রাখুন। আর তারপরে সকল আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। তারপর আপনার মোবাইলে ফ্যাক্টরি রিসেট দিন।
মোবাইল ট্র্যাক হচ্ছে কিনা বুঝার উপায়
মোবাইল ট্রাকিং এই কথাটির সাথে আমরা কম বেশি অনেকেই পরিচিত। প্রয়োজন হলে আমাদের প্রত্যেকের ফোনে ট্র্যাক করা যায়। তাই মোবাইল ট্র্যাক হচ্ছে কিনা বুঝার উপায় ও খুব কঠিন কিছু না। কিন্তু মোবাইল ট্র্যাক হচ্ছে কি না বুঝার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে ট্রাকিং সিস্টেম কি? ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনের একটি জিপিএস আকারে আসে।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন চুরি হলে করণীয়
জিপিএস সিস্টেম বিভিন্ন ধরনের জিপিএস ডিভাইসের মধ্যে ট্র্যাকার ইনস্টল করা হয়। এটি প্রযুক্তির একটি বৈপ্লবিক রূপ যা উপগ্রহের একটি নেটওয়ার্ক এবং জটিল আলগারিদম ব্যবহার করে। এটি বস্তুর অবস্থান আরো নির্ভুলতার সাথে নির্ধারণ করে। আপনি কি জানেন পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে থাকে? কাউকে ট্র্যাক করার জন্য পুলিশ মোবাইল নাম্বার বা ফোনের আইএমইআই নাম্বার ব্যবহার করে।
এর জন্য টেলিকম সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে হয় পুলিশকে। ট্রাকিংয়ে দেওয়ার নাম্বার কোন সেল টাওয়ারের কাছে রয়েছে বা কতটা দূরে রয়েছে সে বিষয়ে টেলিকম সংস্থা পুলিশকে তথ্য দেয়। সমস্ত ট্রাকিং কার্যক্রম গুলো এভাবেই সম্পূর্ণ করা হয়। এবার আপনার মোবাইল ট্র্যাক হচ্ছে কিনা বুঝার উপায় বা কিভাবে বুঝবেন আপনার মোবাইল ট্র্যাক হচ্ছে কিনা এই সম্বন্ধে জেনে নিন।
আপনার ফোন ট্র্যাকিং করা হলে সম্ভাব্য কিছু প্রক্রিয়া দেখাবে যেমন: *#61# লিখে ডায়াল করলে ইনকামিং কল গুলো অন্য কোন নাম্বারে ফরওয়ার্ড করা হয় কিনা তা জানাবে। এভাবে *#62# দায়ে আপনি দেখতে পারবেন যে কোন ডাইভারশন সফ্টওয়্যার বিভিন্ন কল এবং টেক্সটকে আপনার কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় কিনা। তাহলে আপনার মোবাইল ট্র্যাক হচ্ছে কিনা বুঝতে পারবেন।
বাটন ফোন কি হ্যাক করা যায়
যদিও বাটন ফোন বর্তমান সময়ে কম মানুষ ব্যবহার করে। তবুও বাটন ফোন কি হ্যাক করা যায় এ বিষয়েও কিন্তু মানুষের কৌতুহল কম নয়। মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় কি এ বিষয়টার সম্বন্ধে অনুসন্ধানের সময় আমরা শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হ্যাকিং সম্বন্ধে তথ্য অনুসন্ধান করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের মাঝে যেহেতু এখনো এমন অনেক মানুষ আছে যারা বাটন ফোন ব্যবহার করে থাকে তাদের জন্য জানা খুব জরুরী যে বাটন ফোন কি হ্যাক করা যায় সেই সম্বন্ধে।
আরো পড়ুন: হারানো মোবাইল বন্ধ করার উপায়
আপনি যদি বাটন ফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সবচেয়ে বেশি প্রাইভেসি আপনি পাবেন। যদিও SS7 অ্যাটাক করে বাটন ফোন দিয়েও গোয়েন্দা গিরি করা যায়। তবে এসব ব্যয়বহুল অ্যাটাকিং সিস্টেম শুধুমাত্র গোয়েন্দারা ব্যবহার করে। যদি আপনি কখনো গোয়েন্দা খপ্পরে না পরেন তাহলে আপনার ইনফরমেশন বাটন ফোন থেকে সহজে হ্যাক করা যাবে না।
হ্যাক করার কোড
মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় হিসেবে আমাদের কি কি করা উচিত এ বিষয়ে গবেষণা করতে গেলে একটি বিষয় মাথায় এসেই যায় যে হ্যাক করার কোড কি কি বা কেমন। হ্যাক করার কোড সাধারণত PHP, C, C+, SQL, Python এবং Ruby হল মৌলিক প্রোগ্রামিং ভাষা যা নৈতিক হ্যাকাররা ব্যবহার করে থাকে। একজন হ্যাকার হ্যাক করার কোড হিসেবে এমন কোড তৈরি করে যা শুধুমাত্র কাজটি সম্পন্ন করে না বরং এটি একটি দক্ষ এবং অনন্য পদ্ধতিতে করে।
শেষ কথা
উপরিউক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল মোবাইল হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি বাটন ফোন কি হ্যাক করা যায় বা হ্যাক করার পদ্ধতি সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন আপনার মূল্যবান মতামত অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url