শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন
সূচিপত্রঃ শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন
- শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন
- শীতকালে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও তার প্রতিকার
- শীতকালে সুস্থ থাকার কিছু উপায়
- শীতকালে ত্বকের যত্ন
- শেষ কথা
শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন
শীত আসার আগেই আমাদের শীত মোকাবেলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কেননা বছরের অন্যান্য দিনগুলোর মত শীতের দিনগুলো নয়। তাই আজকে আমরা শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করব। যারা শীতের আগেই কিভাবে শীতের প্রস্তুতি নিবেন এই নিয়ে চিন্তায় আছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি। আমাদের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়লে আশা করি শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ স্নায়ু রোগের লক্ষণ গুলো কি কি
এই সময় শীতের কাঁথা কম্বল, পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে ত্বকের পরিচর্যার উপাদান সহ অনেক কিছুরই দরকার পড়ে। শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি ঠিকভাবে নিতে পারলে শীতের সময়েও সুন্দর ও সুস্থ থাকা কঠিন কোন বিষয় নয়। বাংলা সনের পঞ্চম ঋতু হচ্ছে শীত। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে আসে শীতকাল। শীতকাল প্রধানত শুষ্ক হয় ও রাত দিনের তুলনায় দীর্ঘ হয়। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতকাল হলেও বাস্তবে কিন্তু নভেম্বর মাস থেকেই হালকা হালকা শীত অনুভব হতে থাকে।
শীতকালে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও তার প্রতিকার
শীতকালে মানুষ প্রায় অসুস্থ হতে থাকে। তাই এ সময় বিভিন্ন সর্তকতা সাথে থাকতে হয়। সেজন্য শীতকালে যেমন বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হতে থাকে তেমনি এর প্রতিকার সম্পর্কে ও সচেতন থাকা জরুরি। চলুন তাহলে শীতকালে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও তার প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
- শিশুরা শীতকালে ব্রঙ্কিউলাইটিস ও নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের রোগে খুব সহজেই আক্রান্ত হতে থাকে। তাই এ সময়টাতে তাদের শীত উপযোগী কাপড় পরিধান করাতে হবে। শিশুদের মাথা গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলে শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে। এছাড়াও প্রয়োজনে রুম হিটার কাজে লাগাতে পারেন। তবে বেশি সময় ধরে রুম হিটার ব্যবহার করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঘর থেকে কম বের হওয়া উত্তম।
- অ্যাজমা প্রতিরোধে শিশুদের অবশ্যই ধুলাবালি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে মুখে মা ব্যবহার করাতে পারেন। দৈনন্দিন ব্যবহৃত জামাকাপড় সাবান পানি দিয়ে নিয়মিত ধুতে হবে। শীতবস্ত্র ও লেপ তোষক দৈনিক রোদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন পানি খাওয়াতে হবে। শীত বলে ঠান্ডা লেগে যাবে আর ভয়ে শিশুদের এ সময় অনেকে স্যালাইন খাওয়াতে চায় না, যা মোটেও উচিত নয়। সে সাথে স্বাভাবিক খাবার ও খাওয়ানো লাগবে।
- বিশেষ করে বয়স্কদের শীতে আর্থাইটিস বাতের ব্যথার বেশি বাড়তে দেখা যায়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, স্পন্ডাইলো আর্থ্রাইটিস, এনকাইলোজিং স্পন্ডিওলাইটিস, রি অ্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিস রোগীদের শীতের সময় চলাফেরা কিংবা মুভমেন্ট কম হয় বলে ব্যথার প্রকোপ বাড়তে দেখা যায়। সেজন্য যতটুকু সম্ভব গরম উত্তাপে থাকা, ব্যাথার স্থানে হালকা গরম শেক দেয়া, মোজা পরিধান করা, যতটুকু সম্ভব ঘরেই হালকা হাঁটাচলা করা উচিত।
- শীতে বিশেষ করে ভরের দিকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি বাড়তে দেখা যায়। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকি। সেজন্য এই শীতে কুয়াশার ভেতর না হেঁটে, একটু রোদ উঠলে তখন হাটাহাটি কিংবা ব্যায়াম করা উচিত।
শীতকালে সুস্থ থাকার কিছু উপায়
- জলবায়ু রুক্ষ ও শুষ্ক হবার কারণে আমাদের ত্বক ফেটে যায়। সেজন্য ত্বক ভালো রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে দিনে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লিটার পানি পান করতে হবে।
-
বিভিন্ন কোমল পানীয় পরিহার করে ভেষজ চা পান করতে হবে। ভেষজ চা স্নায়ুকে
শান্ত রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে শিথিল করে তোলে। এর ফলে হতাশা ও উদ্যোগ
অনেকাংশে কমে যায় এবং রাতে ঘুম ভালো হয়।
- বেশি পরিমাণ ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। ওটস, আপেল এবং বাদাম হচ্ছে ফাইবার যুক্ত খাবার। এগুলো শরীরের ওজন ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে এবং এর পাশাপাশি ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে ও লড়াই করে থাকে।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, লেবু জাতীয় ফল এবং জিংক জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই খাবার গুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
-
শীতের সময় ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ ফল মূল ও শাকসবজি রাখতে হবে। এগুলোতে
থাকা পুষ্টি আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
শীতকালে ত্বকের যত্ন
এ সময়ে বিভিন্ন রকমের বিউটি অয়েল বা সৌন্দর্যবোধক তেল ব্যবহার করার ফলে ত্বকে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে করে লোমকূপ থেকে ময়রা দূর হয়ে থাকে, দাগ কমতে থাকে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বাদাম তেল ও অলিভ ওয়েলের মত বিভিন্ন তেলের পাশাপাশি ভালো মানের গ্লিসারিন ও ময়শ্চারাইজ সমৃদ্ধ লোশন বেছে নিতে পারেন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাঙ্গি চাষ পদ্ধতি - কিভাবে বাঙ্গি চাষ করবেন
ত্বক যতবার শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করতে পারেন। গোসল করার পর ও প্রত্যেকবার মুখ ধোয়ার পরে ভেজা অবস্থাতেই ময়েশ্চারাইজার ভালো লোশন ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও বিশেষজ্ঞরা শীতকালে অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মাথা ও মুখ ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রোদ উঠলে বাইরে বের হবার তিরিশ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫ - ৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
শেষ কথাঃ শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন
শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন শীতকালে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও তার প্রতিকার গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই শীতের আগেই শীতের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url