গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন নেওয়ার সহজ উপাই ২০২৩
এখন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি যেমন সহজ নয়, তেমন কঠিনের কিছুও নয়। তবে অবশ্যই দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে ঋণ নেওয়ার জন্য। ব্যাংক কোন অদক্ষ ও অনভিক্ষ ব্যক্তিকে ঋণ দিয়ে তাদের তহবিল নষ্ট করবে না। তাই আপনি যদি গরুর খামার করার জন্য কোন ব্যাংক লোন বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে চান, তার আগে আপনাকে গবাদিপশু পালন করার উপর প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর আপনাকে নিজস্ব জায়গায় গবাদি পশু পালন করা শুরু করতে হবে। তারপর পরিকল্পনা করুন। যখন সবকিছু পরিকল্পনা করে ফেলবেন, শুধুমাত্র মূলধনের প্রয়োজন হবে, যার জন্য আপনি সামনে আগাতে পারছেন না তখন আপনার পরিকল্পনা উদ্দেশ্য ও ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। ঠিক কত টাকা হলে আপনি খামারের সব কিছু শুরু করতে পারবেন।
এরপর ব্যাংকে গেলে ব্যাংক আপনার কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রকল্পের লাভজনকতা বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনাকে ঋণ প্রদান করবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে যোগ্যতা থাকতে হবে এবং যোগ্যতার প্রমাণ ভিত্তিক বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আজ আপনাদেরকে আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন নেওয়ার বিস্তারিত সকল তথ্য। তাই আর দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন-
আত্মকর্মসংস্থান হিসেবে গরুর খামার
বর্তমানে চাকরির বাজারে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন একটা ব্যাপার। পড়াশোনা শেষ করার পরেও অনেকের বেকার বসে থাকতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি স্বাধীনচেতা হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য উপযুক্ত হলো নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করা।
আর যারা গ্রাম অঞ্চলে বা শহর অঞ্চলে বেকার বসে আছেন অথবা কর্মসংস্থানের কথা ভাবছেন তাদের জন্য গরুর খামার আত্মকর্মসংস্থান হিসেবে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বাড়ির মহিলা, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গের কেউ অর্থাৎ যে কোনো মানুষই।
গরুর খামারের জন্য প্রয়োজন হবে গবাদি পশু (গরু) পালনের জ্ঞান, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ও গরুর খামারের জন্য উপযুক্ত স্থান। আর এই সব কিছু সঠিকভাবে পালন করতে অবশ্যই শ্রম তো লাগবেই এর পাশাপাশি মূলধনও লাগবে। আর কে ই বা দিবে এই মূলধন?
বাংলাদেশের অনেক খামারি উদ্যোক্তরাই এই চিন্তাতেই হয়তো থেমে গেছে গবাদি পশু পালনের চিন্তা। আপনি যদি গবাদি পশু (গরু) পালনের দক্ষ হন, শুধুমাত্র মূলধনের অভাবেই থেমে থাকতে হবে না। আপনারা গবাদি পশু (গরু) পালনের জন্য অবশ্যই গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন নিতে পারবেন।
তবে, শহর চেয়ে গ্রামে পশুপালন বা গরুর খামার বেশি করা হয়। কারণ: গরুর খামার করার জন্য উপযুক্ত জায়গা, গো-খাদ্যের সহজলভ্যতা, গ্রামীন পরিবেশ ও লেবারদের ক্ষেত্রে শহরের চেয়ে কম টাকায় লেবার বা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিট রেট 2023 - সর্বশেষ আপডেট
এছাড়া শহর অঞ্চলের জায়গার দাম বেশি,তাই গবাদিপশু পালনের জন্য জায়গার সংস্থান করা অনেকটা ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে থাকে। আপনারা যারা বড় পরিকল্পনার মাধ্যমে গবাদি পশু পালন করতে চান তাদের জন্য অবশ্যই প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে মূলধনের ঘাটতি হতে পারে।
গরুর খামার পরিকল্পনা
গরুর খামার করার আগে অবশ্যই আপনাকে একটি সঠিক পরিকল্পনা করে নিতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজই সফল হয় না। নতুন খামারিদের সুবিধার্থে গরুর খামারের একটি সঠিক পরিকল্পনা তুলে ধরা হলো-
১. নতুন খামারী হিসেবে আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে ছোট খামার দিয়ে শুরু করা। শুরুতেই বড় তৈরি করলে আপনার অসুবিধা হতে পারে। কারণ বড় খামার পরিচর্যা করার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। তাই ছোট খামার থেকেই শুরু করুন। দুই তিনটা ভালো জাতের গরু কিনে খামার শুরু করতে পারেন।
২. শুরুতেই যদি আপনি বড় আকারের খামার দিয়ে শুরু করেন তাহলে দুধের বাজারে দুধ বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ভেবে নিবেন। না হলে দুধের দোকানে বা মিষ্টির দোকানে আপনার টাকা বাকি রাখতে হবে। কারণ এত দুধ আপনি কোথায় বিক্রি করবেন? তাই আগে থেকে ভেবে এগোবেন। যথেষ্ট লিংক তৈরি করে তারপর বড় খামার শুরু করবেন। না হয় পরবর্তীতে আপনার খামার নিয়ে হিমশিম খেতে হবে।
৩. গরু কেনার সময় অবশ্যই ভালো জাতের গরু কেনার চেষ্টা করবেন। সবচেয়ে ভালো হবে সাথে করে একজন অভিজ্ঞ লোক যদি আপনি নিয়ে যান। অনেক সময় নতুন খামারিরা অনলাইন থেকে গরু কেনে। এক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীরা আপনাকে ঠকিয়ে দিতে পারে। তাই সবচেয়ে উপযুক্ত হলো সামনে থেকে দেখে শুনে গরু কেনা।
৫. গরু কেনার সময় গরুটি সুস্থ কিনা তা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে নিবেন। কারণ অসুস্থ গরু বেশি দুধ দিতে সক্ষম হয় না।
৬. গরমে খামারে বেশি জায়গায় অল্প গরু রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে গরুরা সুস্থ থাকবে।
৭. খামারে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে রাখুন। হঠাৎ করে যদি রাতে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে আর তখন যদি আপনি ওষুধের দোকান খোলা না পান তাহলে বিপাকে পড়তে হবে। তাই সব সময় খামারে থার্মোমিটার, গ্যাসের ঔষধ, জ্বরের ঔষধ, বদ হজমের ও পাতলা পায়খানার ঔষধ, ঠান্ডার ঔষধ, আমাশয় এর ঔষধ, ভিটামিন বি ও এ ডি ই ঞ্জেকশন রাখার চেষ্টা করুন।
৮. প্রাণিসম্পদ হাসপাতালগুলোতে খামারি মিটিং ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়। এই ট্রেনিং গুলো করার মাধ্যমে আপনি খামার সম্পর্কিত পর্যাপ্ত ধারনা পাবেন। তাই এই ট্রেনিং গুলো করার চেষ্টা করুন।
৯. নিয়মিত গরুর যত্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে অলসতা করলে চলবে না তাহলে গরু অসুস্থ হয়ে যাবে। গরুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে, ঠিক সময়ে খাবার খাওয়াতে হবে, প্রতিদিন খামার পরিষ্কার করতে হবে, এবং প্রতিদিন গরুদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এতে করে গরুর মধ্যে কোন অসুস্থতা থাকলে আপনি তা বুঝতে পারবেন।
১০. ধৈর্য রেখে কাজ করতে হবে।
গরুর খামার ব্যাংক লোন
গরুর খামার করতে সহজ শর্তে লোন প্রদান করে থাকে -বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, এশিয়া ব্যাংক ও কর্মসংস্থান ব্যাংক ইত্যাদি। প্রতিটি ব্যাংকই কিছু শর্ত ও যোগ্যতা অনুযায়ী লোন প্রদান করে থাকে। লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকলে এবং ব্যাংকের নিকট গ্রহণযোগ্য গ্যারান্টার থাকলে ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখা সমূহ ঠিকানা ও নাম্বারসহ ২০২৩
আপনারা যারা গরুর খামার করতে আগ্রহী তারা ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে সম্প্রতি দেওয়া সার্কুলার অনুযায়ী গরুর খামারের জন্য আবেদন করতে পারেন। ব্যাংকগুলো বেশ সহজ শর্তেই ঋণ প্রদান করে থাকে এক থেকে তিন লক্ষ টাকা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক চায় তাদের তহবিল থেকে দেশের মানুষের আত্মকর্মসংস্থানে কাজে লাগুক।
গরুর খামার ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ব্যাংক থেকে যেকোনো লোন নেওয়ার জন্যই আপনার কিছু কাগজপত্র দেওয়ার প্রয়োজন হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরুর খামার ব্যাংক লোন নিতে হলে আপনার কি কি কাগজের প্রয়োজন হবে-
১. সার্টিফিকেট: গরুর খামার ব্যাংক লোন নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই আগে ট্রেনিং নিতে হবে। বর্তমানে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবক উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু পালনের ট্রেনিং দিয়ে থাকে। এমনকি ট্রেনিং শেষে একটি সার্টিফিকেট ও প্রদান করে। ব্যাংক লোন নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার এই সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। এতে করে ব্যাংক কর্মকর্তারা বুঝতে পারবে আপনি একজন দক্ষ খামারি।
২. ট্রেড লাইসেন্স: যেহেতু আপনি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে একটি আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করবেন এবং গবাদি পশু পালন করবেন সেক্ষেত্রে আপনার নিজের নামে অথবা আপনার কোম্পানির নাম দিয়ে একটি ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে নিতে হবে। এবং আপনার ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ কমপক্ষে তিন বছর রাখতে হবে।
৩. জাতীয় পরিচয় পত্র: গরুর খামার ব্যাংক লোন নিতে হলে আপনার অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে।
৪: টিন সার্টিফিকেট: আপনাকে আয়কর প্রদানের রশিদ ব্যাংকে দেখাতে হবে।
৫: গ্যারান্টার: ব্যাংক আপনাকে তখনই লোন দেবে যখন আপনার একজন গ্যারান্টার থাকবে। অর্থাৎ আপনার অবর্তমানে আপনার টাকার পরিশোধের দায়ভার থাকবে সেই ব্যক্তির উপর।
৬. গরু রাখার শেড: গরু রাখার জন্য আপনার পর্যাপ্ত জায়গা আছে তা আপনাকে দেখাতে হবে। আপনার যদি উপযুক্ত জায়গা না থাকে তাহলে ব্যাংক আপনাকে কখনোই গরু খামার ব্যাংক লোন দেবে না।
গরুর খামার ব্যাংক লোনের সীমা
২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করা আরো সহজ করে দিতে বাংলাদেশ সরকার গরুর খামার ব্যাংক লোন এর ব্যবস্থা করেছে। এমনকি ফ্রি ট্রেনিং এর ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। বর্তমানে অনেকেই নিজেদের খামার তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। গরুর খামার ব্যাংক লোনের সর্বোচ্চ সীমা হল ২-৫ লক্ষ টাকা। এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা।
গরুর খামার ব্যাংক লোনের মেয়াদ ও পরিশোধ সুচি
১. গরুর খামার ব্যাংক লোনের মেয়াদ সাধারণত দুই বছর। তবে ঋণের পরিমাণ, প্রকল্পের প্রকৃতি ও সম্ভাব্য মুনাফা ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনা করে লোনের মেয়াদের মাত্রা এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা - গ্রামীণ ব্যাংকের পেনশন হিসাব
২. লোনের কিস্তি মাসিক হতে পারে আবার ত্রৈমাসিক হতে পারে এমনকি এককালীনও হতে পারে।
৩. মেয়াদ পূর্তির আগেই যদি কেউ আবার লোন পরিশোধ করে নতুন করে লোন নিতে চায় সেক্ষেত্রে ফি প্রদান করতে হবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে গরুর খামারের জন্য ঋণ
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে গরুর খামার জন্য ঋণ নিতে হলে যেসব যোগ্যতা লাগবে তা নিচে দেয়া হল :
- প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- কর্মসংস্থান ব্যাংকের যেকোনো শাখার অন্তর্ভুক্ত স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। স্থায়ী বাসিন্দা না হলে ওই শাখার অন্তর্ভুক্ত একজন স্থায়ী বাসিন্দাকে গ্যারান্টার হতে হবে।
- ঋণ গ্রহীতা বা আবেদনকারীকে বেকার অথবা অর্ধ বেকার হতে হবে।
- ঋণ গ্রহীতার বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর হতে। এছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংকের পুরাতন ঋণ গ্রহিতাদের ক্ষেত্রে সময়সীমা শিথিলযোগ্য।
- আপনাকে গরুর খামার করার প্রকল্পটি পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকতে হবে।এবং প্রকল্পটি পরিচালনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- ঋণ গ্রহীতাকে ঋণ ব্যবহারের যোগ্যতা সহ ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ও আর্থিক আচরণে সুনামের অধিকারী হতে হবে।
- অন্য কোন ব্যাংক/এনজিও /আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণখেলাপী যোগ্য বিবেচিত হবে না।
- কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। (বি:দ্র:ঋণ গ্রহিতার প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে আপনাকে লোন দেওয়া হবে।)
গরুর খামার করার জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো
- পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া গরুর খামার করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই নতুন খামারীদের খামার করার পূর্বেই পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। সেই সাথে খামারীদের লাভ ও লোকসান দুটোই মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
- গরুর খামার করার জন্য উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। যাদের অল্প জায়গা তারা অল্প গরু পালন করবেন এবং যাদের বেঁচে থাকার তারা বেশি গরু পালন করবেন। তবে অল্প জায়গায় বেশি গরুর রাখলে গরুর সুস্থ রাখা এবং লালন পালন করা কঠিন হবে।
- একটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল উদ্যোগ হলো গরুর খামার। অন্তত কয়েক লাখ টাকা মূলধন নিয়ে খামারের কাজ শুরু করতে হবে। এবং টাকাগুলো ব্যয় করার সামর্থ্য খামারির থাকতে হবে।
- লাভের পরিমাণ বেশি করতে হলে আপনাকে প্রথমে খাবারের খরচ কমিয়ে আনতে হবে। আর খাবারের খরচ কমিয়ে আনার জন্য খামারের পাশেই কাঁচা ঘাস চাষ করতে পারেন। পাশাপাশি দানাদার খাবার দিতে হবে। প্রাকৃতিক খাবার দিলে গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং গরু বেশি রোগে আক্রান্ত হয় না।
- গরু পালন করতে হলে খামারিদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরী।প্রশিক্ষণ ছাড়া সঠিকভাবে গরু পালন বা যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আপনারা গবাদি পশু পালনের প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে।
- গরুর অসুখের ব্যাপারে জানতে ভালো একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এছাড়া গরুর প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন দেন, খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখুন ও গরুকে নিয়মিত গোসল করান। এতে গরুর অসুখ কম হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন নেওয়ার সহজ উপাই ২০২৩
আমরা এতক্ষণ জেনে নিলাম গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন বিস্তারিত সকল তথ্য। গরুর খামার যেহেতু বেশ বড় প্রজেক্ট তাই এতে মূলধন যোগাড়ের জন্য লোন আবশ্যক হতে পারে। আর গরুর খামারের জন্য ব্যাংক লোন নিতে গেলে কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন হবে। তাছাড়াও অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা এবং আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে তারপর গরুর খামার শুরু করা উচিত। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমাদের আজকের প্রতিবেদন ছিল। আশা করি নতুন খামারিদের জন্য আমাদের এই প্রতিদিনটি অনেক কাজে লাগবে।
গরুর খামার ব্যাংক লোন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
গরুর খামার ব্যাংক লোনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা কত?
সর্বোচ্চ সীমা দুই থেকে পাঁচ লক্ষ। এবং সর্বনিম্নসীমা পঞ্চাশ হাজার।
নতুন উদ্যোক্তাদের কি লোন দেওয়া হয়?
ব্যাংকের যাবতীয় সকল শর্ত পূরণ করলে নতুন উদ্যোক্তাদেরও লোন দেওয়া হয়।
ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কি গরুর খামার ব্যাংক লোন নেওয়া যাবে?
না। গরুর খামার ব্যাংক লোন নিতে হলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। এবং এখন ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া খুব সহজ বিষয় তাই কঠিন ভাবার কোন কারণ নেই।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url