দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ওষুধ এর নাম কারন ও প্রতিকার
দ্রুত বীর্যপাত বর্তমানে সংসার জীবনে কলহ ও হতাশা সৃষ্টি করার অন্যতম একটি কারণ। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্কটা ভালোবাসার একটি অংশ। শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে স্ত্রীর যদি অসন্তুষ্ট থাকে তবে সেক্ষেত্রে সংসারে নানা ধরনের সমস্যার তৈরি হতে পারে। লোক লজ্জার ভয় আমরা অনেকেই এসব বিষয় কারো সামনে বলতে পারি না। যদি কোন ব্যক্তির শারীরিক সম্পর্কের সময় এক মিনিটের মধ্যে বা তার কম সময়ে বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে তার দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা রয়েছে।
সেক্ষেত্রে অনেকেই জানতে চাই দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ওষুধের নাম সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে নানা ধরনের যৌন সমস্যার চিকিৎসা রয়েছে। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা রোধ করা যায়। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা, দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট এর নাম। আশা করি দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ওষুধের নাম আপনাদের অনেক কাজে আসবে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন-
দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেট
বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কে অনেকেই পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা মনে করে। তবে এটা কোন ধরনের শারীরিক অক্ষমতা নয়। না না কারণে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা তৈরি হতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের কারণে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও কলহর সৃষ্টি হচ্ছে অহরহ। এমনকি সংসারে অশিক্ষিত হওয়ার কারণে ডিভোর্সের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত বীর্যপাত রোধের ট্যাবলেট এর নাম-
দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেটঃ
- Daxetin 30 MG (ACI)
- Depotin 30 MG (insepta)
- Susten 30 MG (Square)
- Ejalong 30 MG ( Drug)
- Depoxen 30 MG (Opsonin)
দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেট সেবন বিধিঃ
আপনাকে শারীরিক মিলনের এক থেকে তিন ঘন্টা পূর্বে একটা ক্যাপসুল খেতে হবে এবং তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আর সেবন করা যাবে না। যে সকল ব্যক্তিদের হার্টের সমস্যা আছে এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথবা যারা ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে তাদের এই ঔষধ বা ট্যাবলেট সেবন করা যাবে না।
দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট সেবন করলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে ।তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত বীর্যপাতের ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
দ্রুত বীর্য পাতের স্থায়ী চিকিৎসা
আপনাকে দ্রুত বীর্য পাত থেকে মুক্তি পেতে আগে মানসিক ভাবে শক্ত হতে হবে। এসকল ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন এবং কার্যকরী খাবার গ্রহন সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে। এর পাশাপাশি সহবাসের সময় কিছু টেকনিক অবলম্বন করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে ৯৫% রোগীই সুস্থ হয়ে যায়। নিচে এই রোগের স্থায়ী কিছু চিকিৎসা উল্লেখ করা হলোঃ
১। আপনার মিলন চলাকালে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিবেন। আপনি যখন চরম মুহূর্তে যাবেন,তার একটু আগে আপানর শ্বাস বন্ধ রাখুন। এটি করলে আপনার বীর্যপাতের রিফ্লেক্সটাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এভাবে কয়েকবার প্র্যাকটিস করুন, তাহলে আগের তুলনায় সময় কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে।
২। ২৪ ঘন্টার মধ্যে একের অধিকবার মিলন করতে হবে। এতে আপনার লিঙ্গের সেন্সিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বীর্য না থাকার কারণে বীর্যপাত হতে বেশ সময় লাগবে। যাদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা হয়,তারা গ্যাপে গ্যাপে মিলন করলে প্রথমবার খুব একটা বেশি সময় পাবেন না। কিন্তু নিয়মিত করলে আগের তুলোনায় সময় বাড়বে।
৩। ব্ল্যাক কফি বা তরমুজের জুস এই ধরনের উত্তেজক খাবার মিলনের আগে ও পরে খেলে শারীরিক উত্তেজনা বজায় থাকে। কফির মধ্যে ক্যাফেইন থাকে,যা মনকে সতেজ ও চাঙ্গা করে তুলে।
৪। লিঙ্গের মাথায় অবশকারক জেল বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাদের লিঙ্গের শীতলতার সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যবহার না করাটাই উত্তম।
৫। মিলনের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নেয়া উচিত। এতে বীর্যপাতের প্রবণতা অনেকটা কমে যায়। যদিও এই পদ্ধতিটা নারীদের জন্য একটু বিরক্তিকর হয়ে থাকে, তবে তা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। আপনি পুরোপুরি সুবিধা পাবেন কয়েকমাস অনুশীলন করতে পারলে৷ একটানা নিয়মমাফিক করতে থাকলে আপনার বীর্যপাত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৬। বিভিন্ন প্রকার আসন- যা সহবাসের সময়কে দীর্ঘায়িত করে। আ আপনার এটা মনে রাখা দরকার যে,এক এক দম্পতির জন্য এক এক আসন উত্তম। আপনার বেস্ট মিলনের আসনেটির জন্য আপনাকে দশেরও বেশি আসনে চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারেন।
৭। লিঙ্গ সঞ্চালনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শুরুতে ছোট ছোট গতিতে লিঙ্গ সঞ্চালন করতে হবে, তবে সেটা গভীর হতে হবে। এমনভাবে সঞ্চালন করা যাবে না যেন আপনার লিঙ্গের মাথায় সেনসেশন বেড়ে যায়৷ আপনাকে এই ক্ষেত্রে একটু সতর্কভাবে কোনাকুনি বা এঙ্গেলে লিঙ্গ সঞ্চালন করতে হবে।
৮। মনটাকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে ৷ বারবার যদি মনে করেন এই বুঝি বের হলো তবে আপনি বেশি সময় টিকতে পারবেন না৷ সত্যি বলছি, আপনি এটা থেকে মুক্তি পেতে হিমশিম খেয়ে যাবেন।
মিলোনের সময় মনে করবেন আপনি অবশ্যই দীর্ঘ সময় নিয়ে মিলন করছেন, প্রতিদিন কয়েকবার ভাববেন। তবে একদিন আপনার ইচ্ছে সত্যি হবে ইনশাআল্লাহ্। মিলনের সময় অনেকেই কঠিন হিসাব নিকাষ করে মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে মিলনের সময় বৃদ্ধি করে থাকে।
৯। আপনাকে ফোরপ্লে অধিক সময় নিয়ে করতে হবে সঠিক নিয়মে। এখানে মোটেও তাড়াহুড়ো করা যাবে না। আপনাকে কম উত্তেজিত জায়গা থেকে শুরু করে বেশি উত্তেজনাপূর্ণ জায়গার দিকে যেতে হবে। আপনাকে ক্লাইটোরিস,জি স্পট সম্পর্কে জানতে হবে। ফোরপ্লে স্বামী স্ত্রী দুইজনেই সমানভাবে করতে পারলে আপনারা উপকার বেশি পাবেন।
দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধ
কিছু কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক চিকিৎসা বেরিয়েছে- যেমন বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে। নিচে দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
চলুন যেনে নেয়া যাক দ্রুত বীর্যপাত এবং পাতলা বীর্য এর জন্য ব্যবহ্রত হোমিওপ্যাথি কিছু ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
- Caladium Seg
- Acid Phos
- Corbonium Sulph
- Titanium
- Nuphar Lut
যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো সেবন করার আগে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের কাছে সেবনবিধি জেনে নিতে হবে।
দ্রুত বীর্যপাতের সহজ সমাধান। Premature ejaculation
দ্রুত বীর্য পাতের কবিরাজি চিকিৎসা
অনেকেই দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা খোজেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে কবিরাজি চিকিৎসা। এই ধরণের চিকিৎসাতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার সমস্যার সমাধান হবে। তাই আপনার যদি দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যা থেকে থাকে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা না করে নিচের ওষুধ গুলো সংগ্রহ করতে পারেন,
১ ) পূর্ণচন্দ্র রস।
২ ) অষ্টাবক্র রস।
৩ ) শুত্রুবল্লব রস।
৪ ) মম্মথভ্র রস।
৫ ) মকরধ্বজ রস।
৬ ) কামিনী বিদ্রাবণ রস।
৭ ) মহেশ্বর রস।
৮ ) গন্ধমৃত রস।
৯ ) শ্রীকামদেব রস।
দ্রুত বীর্যপাতে রোধের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যেকোনো ওষুধ সেবনেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ওষুধ এর নাম নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। তবে সকল ওষুধ সবার জন্য মানানসই নয়। তাই সবচেয়ে উপযুক্ত হলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা। দ্রুত বীর্যপাত রোধের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হল:
- মাথা ঘোরা
- বমি বমি ভাব
- অনিদ্রা
- আমাশয়
- পেটে ব্যথা
- খাবারে অরুচি
- শরীরের জয়েন্টে ব্যথা
হঠাৎ করে ওষুধ সেবনের ফলে যে কারো এই সমস্যাটি হতে পারে। তবে সময়ের সাথে ওষুধটি আপনার শরীরের সাথে মানিয়ে যাবে। যদি গুরুতর কোন সমস্যা লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসায় খাবার
কি খাবার খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয় এই চিন্তা আমাদের মাথায় সবসময়েই চলতে থাকে। এটাও সত্যি যে এই ধরণের রোগের চিকিৎসায় খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলি শীর্ঘ্রপতন রোধ করতে সাহায্য করে। নিম্নে বর্ণিত খাবার গুলি নিয়মিত খেলে আপনি ভালো ফল পেতে পারেন ।
- প্রতিদিন সকালে ও রাতে খেজুর খান। খেজুর মানবদেহে শারীরিক ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
- প্রায়ই যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, যদি কোন ব্যাক্তি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ ও একটি করে ডিম খায় তাহলে তার কখনো যৌন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবেনা।
- আপনি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার গ্রহন করুন। যেমনঃ সূর্যমুখী ফুলের বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ ইত্যাদি।
- প্রতিদিন রসুন খান। সবচেয়ে ভালো হবে যদি কাচা রসুন ঘিয়ে ভেজে প্রতিদিন খেতে পারেন। এভাবে না পারলে আপনি তরকারি তে এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে রসুন খাওয়ার চেস্টা করুন। রসুন যৌন ও হৃদরোগে অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে থাকে।
- তাছাড়া তরমুজ, পেয়ারা, আঙ্গুর, কমলা লেবু, মাল্টা, ডালিম প্রচুর পরিমাণে আপনার যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- গরুর লাল মাংশ ও এক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার।
লেখকের মন্তব্যঃ দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ওষুধ এর নাম কারন ও প্রতিকার
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ওষুধ এর নাম ,দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেট, দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা,দ্রুত বীর্য পাতের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা এবং দ্রুত বীর্য পাত রোধের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এবং এর পাশাপাশি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে।
দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির উপায় কী?
নিজের মনোবল শক্ত করতে হবে। যেই ধরণের কাজ গুলো করলে মিলন ক্ষমতা কমে যায় সেগুলো বন্ধ করতে হবে তাহলে আস্তে আস্তে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
দ্রুত বীর্যপাত-এর জন্য ওষুধ কী?
এটা রোধ করার জন্য ন্যাচারাল কোন ওষুধ নেই। ন্যাচারাল ভাবে রোধ করার জন্য নিজের মনের সাহায্য নিতে হবে। সেটিই পারে একে সম্ভব করতে। ন্যাচারাল ছাড়া যা আছে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
মাসে মাসে বীর্যপাত করলে কি শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
না, এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে নিজের শরীরের যত্ন নিবেন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাবেন। আর বীর্য্যপাত বা হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কোনো গুজবে কান দিবেন না।
বীর্যের উপকারিতা কী?
বীর্য যখন ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়, তখন ভ্রুণ গঠিত হয় - যা থেকে পরে বাচ্চা জন্ম হয়। বীর্য না হলে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বাচ্চা হয়না।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url