মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ কিসে হতে পারে। এই পোস্টে মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই বিস্তারিত জানতে মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
অনেক সময় মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে বুঝা খুবই কঠিন হয়ে যায়। বেশিরভাগ সময়ই এই ব্যথা গ্যাসের কারণে হতে পারে। তবে ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে এই ব্যথা ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে খুব বেশি গুরুতর ব্যথা হয়ে গেলে সুস্থতার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পেজ সূচিপত্র
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হয় কেন
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা অনেক কারণেই হতে পারে। যেহেতু মেয়েদের প্রতি মাসে মাসিক হলে শরীরের অতিরিক্ত দূষিত রক্ত বের হয়ে যায়। এই অবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা করতে পারে। এছাড়াও অ্যাপেনডিক্স এর মত সমস্যা হলেও পেটের বাম পাশে ব্যথা করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর উপায়
কিডনির সমস্যা, অর্থাৎ কিডনিতে পাথর হলে অথবা প্রস্রাবের ইনফেকশন হলেও পেটের বাম পাশে ব্যথা করতে পারে। অনেক সময় পেশীতে টান লেগে পেশী ছিঁড়ে যেতে পারে। সেইক্ষেত্রে জীবন হুমকির দিকে যাওয়ার ফলে অ্যানিউরিজম এর কারণে পেটে ব্যথা করতে পারে। তবে প্রথমে ব্যথার ধরণকে নির্ণয় করে তারপর চিকিৎসা নিতে হবে।
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
মেয়েদের পেটে অনেক কারণেই ব্যথা হতে পারে। যদি শরীরকে সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করতে হবে। শরীরের শক্তি অর্জিত হয় ঠিক এই ধরনের খাবারগুলোই খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। খাবার থেকে পেটে অনেক সময় গ্যাস তৈরি হয়ে যায়।
যার ফলে মেয়েদের পেটে বাম পাশে ব্যথা হতে পারে। মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণগুলো হলো -
১। পেট ফেঁপে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিলে পেটে ব্যথা হয়। বিশেষ করে পেটের বাম পাশে ব্যথা করতে থাকে। এইক্ষেত্রে আপনি কার্বোহাইড্রেট যত কম খেতে পারবেন ততই আপনার জন্য ভালো হবে।
২। খাবারের তালিকায় এমন ধরনের খাবার রাখতে হবে যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনাকে দূর করে দিতে পারে। আপনি যদি এইরকম ধরনের খাবার খেতে থাকেন, যে আপনার খাবারগুলো সহজেই হজম শক্তি হবে না। তাহলে খুবই সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার ফলে তীব্র পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
৩। পটাশিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে পারেন যা আপনার হজম শক্তির জন্য খুবই ভালো হয়ে থাকে। বিশেষ করে চালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে অর্থাৎ লাল চাল যা আপনার শরীরের জন্য খুবই ভালো।
৪। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি জাতীয় খাবার খেতে পারেন, কোলেস্টেরলের কারণে যেহেতু পেটে ব্যথা হয়, তাই অতিরিক্ত কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৫। পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হলে অনেক অস্বস্তি অনুভব হয় এবং পেটের বাম পাশে তীব্র ব্যথাও শুরু হয়ে যায়। সচেতন না হলে এই ধরনের সমস্যাও খুবই গুরুতর হয়ে যেতে পারে।
৬। তেল, মশলা এবং চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আপনার পেটে অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা করতে পারে।
৭। যদি আপনার পেটের উপরে ও মাঝের দিকে জ্বালা করতে থাকে, কামড়ে ধরে কিংবা মাঝে মাঝে টক ঢেঁকুর উঠে তাহলে আপনাকে সাবধান হতে হবে। কারণ এটি আলসার সমস্যার ফলে হতে পারে এবং সেই সাথে ধীরে ধীরে মেয়েদের পেটের বাম পাশের দিকে ব্যথাও উঠে যায়।
৮। পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ এর ফলে আপনার বিশেষ করে নারীদের সংক্রমণ হওয়ার ফলে পেটের বাম পাশে ব্যথা করতে পারে। যেহেতু এই সমস্যাটি মেয়েদের জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা গর্ভনালী, ডিম্বাশয় এবং সারভিক্স পেলভিক অর্গানের অন্তর্ভুক্ত হয় যার ফলে পেটের বাম পাশে ব্যথা করে।
৯। মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ না জানলে যদি স্ফীতি বা লাম্প কোন ধরনের সমস্যা হয় অর্থাৎ হার্নিয়া হয়। তাহলে পেটের অন্ত্রে কুচকি ভেদ করে বাহিরে বের হয়ে আসে। যার ফলে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং পেটে ব্যথা অনুভব হতে থাকে।
১০। মেয়েদের শরীরে বিশেষ করে আন্ত্রিক কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে, যা হজম শক্তিকে বাধাগ্রস্ত করে। এই ধরনের সমস্যা হলে ক্ষুধা হ্রাস পায়, যার ফলে পেটে ব্যথা করতে পারে। অনেক সময় অন্ত্র ছিঁড়ে যেয়ে প্রাণনাশের কারণও হতে পারে। যার ফলে মেয়েদের পেটের দুইপাশে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টিউমারের ফলে কি পেটের বাম পাশে ব্যথা
পেটে টিউমারের কোন সমস্যা দেখা দিলে, পেটে ব্যথা করতে পারে যেহেতু প্রতিনিয়ত নতুন কোষ তৈরি হয়। সেইক্ষেত্রে যদি অস্বাভাবিকভাবে কোন কোষ গঠন শুরু করে সেটি পরবর্তীতে টিউমারের রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে যখন নতুন ধরনের কোষ তৈরি হয়, তখন পুরাতন যেই কোষগুলো রয়েছে সেইগুলো মরে যায়।
আরও পড়ুনঃ দাঁতে ব্যথা দূর করার সহজ ১০টি ঘরোয়া উপায়
যার ফলে অস্বাভাবিকভাবে তৈরি হয় এক ধরনের নতুন কোষ, যেটি পেটে ধীরে ধীরে টিউমার তৈরি করে। এই টিউমার একবার তৈরি হয়ে গেলে ধীরে ধীরে সারা শরীরে বিস্তার লাভ করতে থাকে, যার ফলে বিভিন্ন সময় পেটের বাম পাশে ব্যথা অনুভব হয়। যদি খুব বেশি ব্যথা অনুভব হয় তাহলে খুব শীঘ্রই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
এছাড়াও মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ জেনে আপনি খাদ্য তালিকায় খাবার খাওয়ার সময় তাজা ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে পেটে টিউমার হওয়া থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে পারেন এবং মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা কমে যেতে পারে।
পেটের বাম পাশে ব্যথাজনিত সমস্যা কি কোষ্ঠকাঠিন্য
পেটের বাম পাশে মাঝে মাঝে ব্যথা করতে পারে। অনেক সময় হজমের গন্ডগোলের কারণে এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হয়ে যায়। অনেকেরই দেখা যায় এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেককে দীর্ঘ সময় এই পেটে ব্যথা বহন করেও বেড়াতে হয়।
এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগটিকে অন্য আরেকটি নামেও ডাকা হয় যেমন ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস। সাধারণত বেশিরভাগই দেখা যায় মেয়েদের মধ্যে চল্লিশ বয়সের ঊর্ধ্বে যারা রয়েছে তাদের এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। তবে বর্তমানে অল্পবয়সী যারা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই রোগ দেখা দিচ্ছে।
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ না জানলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সম্পূর্ণ কারণ বুঝে উঠাটা খুবই কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় অ্যালকোহল বা ক্যাফিন জাতীয় পানীয় পান করলে অথবা অত্যাধিক মশলাদার খাবার খাওয়ার ফলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের বিস্তার লাভ করে থাকে বলে অনেকে মনে করে।
যারা এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে নিয়মিত ভোগে থাকে অনেক সময় তাদের মলের প্রকৃতিও পাল্টে যেতে থাকে। যার ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হতেই থাকে। এই সমস্যা থেকে মেয়েরা যদি মুক্তি পেতে চায় তাহলে কিছু বিষয়ের প্রতি খুবই গুরুত্ব দিতে হবে যেমন,
১। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। এই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সমস্যাকে একদম সারিয়ে তুলতে পারে। প্রতিদিন নিয়ম করে বিশ থেকে ত্রিশ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
২। নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ জেনে নিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আইবিএস বা কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা কমে যেতে পারে এবং চাইলে আপনি যোগব্যায়ামও করতে পারেন।
৩। কম ফোডম্যাপের ডায়েট করাঃ
নিয়মিত আপনার কম ফোডম্যাপের খাবার খাওয়া উচিত, যা আপনার শরীরের জন্য কোন ক্ষতি সাধন করবে না। যখনই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ধীরে ধীরে সেরে যাবে, তখন আপনি ধীরে ধীরে চাইলে ফোডম্যাপকে বাড়াতে পারেন। এই অবস্থায় আপনি কলা, লেবু ও আঙ্গুর ইত্যাদি ফল খেতে পারেন।
৪। প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার বৃদ্ধি করাঃ
নিয়মিত খাবারের রুটিনে প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। এই খাবারের তালিকায় রয়েছে দই, বাটারমিল্ক, চিজ ও ইয়োগার্ট যা মেয়েদের প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের চাহিদা পূরণ করে।
৫। ফল ও শাকসবজি খাওয়াঃ
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার ফলমূল ও শাকসবজি রয়েছে যেটি খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। আম, আপেল, তরমুজ ও দুগ্ধজাত বিভিন্ন দ্রব্য রয়েছে যা আপনি বেশি পরিমাণে খেতে পারেন। যদি আপনার এই ধরনের খাবারে সমস্যা হয়, তাহলে আপনি কলা লেবু এবং আঙ্গুর খেতে পারেন।
৬। ইসবগুলের ভুসিঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে পাশাপাশি ইসবগুল খেলে খুবই উপকার হয়। কারণ ঘরোয়া ওষুধ হিসেবেও এই ইসুবগুল ভুষি অনেক ভালো কাজ করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান থাকে। এই ইসবগুল ভুষি পানি যদি আপনি পান করেন।
তাহলে আপনার দেহের পানির শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে পায়খানা নরম হয়ে যায়। মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ জানার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। দিনে যদি আপনি দুইবার ইসবগুল ভুষি খেতে পারেন, তাহলে খুবই ভালো কাজ করে।
৭। পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে পায়খানা নরম হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে এবং এর সাথে ফাইবার জাতীয় খাবার যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে থাকে। তাই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ফাইবার বাড়ানোর সাথে সাথে পানি পান করার পরিমাণও বাড়াতে হবে।
যদি যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার ও পানি নিয়মিত খেয়ে যান, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়ে যাবে। যার ফলে আপনার পেটের বাম পাশের ব্যথাও কমে যাবে। প্রতিদিন নিয়মিত অন্তত দুই লিটার করে পানি পান করা উচিত, যা আপনার শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয়
পেটের বাম পাশে ব্যথা হলে অনেকেই দেখা যায় এটিকে অবহেলা করে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দিতে চায় না। এইক্ষেত্রে মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ জেনে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। জটিল পর্যায়ে যাওয়ার পূর্বেই মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে যেমন,
- ঘরোয়া উপায়ে পেটে ব্যথা ভালো না হলে খুব শীঘ্রই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেটে যেই ব্যথা হয় সেটির জন্য পর্যাপ্ত ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
- নিয়মিত শরীর চর্চা করে যেতে হবে।
- রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসকের পরামর্শে সেবা নিতে হবে।
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথার ওষুধ
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা অনেক ধরনের কারণেই হতে পারে। কিন্তু যদি এটি মাসিকের ব্যথার কারণেই হয়ে থাকে। তাহলে অনেক সময় নরমাল নাপা একটি খেলে পেটব্যথা অনেক কমে যায়। এইক্ষেত্রে যদি মাসিকের সমস্যা ছাড়া অন্য কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। অনেক সময় রোগীর পেট শক্ত হয়ে থাকে হজম শক্তি হয় না। সেইক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসক যা দিবেন সেই অনুযায়ী ওষুধ খাবেন।
আরও পড়ুনঃ বুক জ্বালাপোড়া কমাতে কি করবেন
এছাড়াও প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে খেজুর রয়েছে খেজুর খেতে পারেন বেশি করে। যার ফলে আপনার শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংকের ঘাটতি পূরণ করবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি খেজুর রাখতে পারেন।
মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ এর ফলে যদি প্রতিদিন নিয়ম করে আপনি খেজুর খেতে পারেন, তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে মেয়েদের পেটে বাম পাশে ব্যথার সমস্যাও অনেক কমে যায়।
শেষকথা
আশা করছি মেয়েদের পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা নিতে পেরেছেন। এই পোস্টের বিস্তারিত যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url