সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় - কি এই সাইবার বুলিং

ডিজিটাল মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় এর কোন স্থায়ী সমাধান কি জানা আছে। এই পোস্টের মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় বিষয়ে হেনস্থাকারীকে আইনের আওতায় আনা যাবে।
উন্নত বিশ্বে যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে সারা বিশ্বের সাথে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান হয়ে থাকে। যদি কেউ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়, তাহলে ইমেইল বা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিকটিমকে হয়রানির শিকার হতে হয়। নারী এবং শিশুরা অর্থাৎ বিভিন্ন বয়সের লোকও সাইবার বুলিং এর শিকার হচ্ছে।

পেজ সূচিপত্র

কি এই সাইবার বুলিং

যদি আপনাকে কেউ ইন্টারনেট বা কোন মাধ্যমে বিরক্ত করে আপনার চারপাশে এমনভাব প্রকাশ করে যেন আপনার সম্মানহানি হয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই সাইবার বুলিং হতে পারে। যেহেতু এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক অপরাধমূলক কাজ ভয় দেখিয়ে এবং মানসিক নির্যাতন হয়েও সাইবার বুলিং এর শিকার হতে পারে।
এছাড়াও যৌন হয়রানি, অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, অশালীন আচরণ, ছবি এডিট করে অশ্লীলভাবে প্রচার কাজ চালানো এবং কাউকে ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া কি এই সাইবার বুলিং এর কাজ যা এর অন্তর্ভুক্ত হয়। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় বিষয়ে জেনে সাইবার বুলিং মোকাবেলা করতে পারেন।

কোন মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন

কি এই সাইবার বুলিং যা ধীরে ধীরে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। পৃথিবীতে এই সাইবার বুলিং এর শিকার কেউ না কেউ হয়েই যাচ্ছে। কি এই সাইবার বুলিং কোন মাধ্যম থেকে এর শিকার বেশি হচ্ছে চলুন সেই বিষয়ে জেনে নিই।

১। ফেসবুক এমন একটি মাধ্যম যেটি সাইবার বুলিং করার জন্য সবচাইতে উপযুক্ত স্থান বলে মনে করেন সাইবার বুলিং ব্যক্তি। এই ফেসবুক মাধ্যম সাইবার বুলিংকারীদের কাছে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

২। ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন না এইরকম খুব কম মানুষই রয়েছেন। যেহেতু ফেসবুকের মাধ্যমে সাইবার বুলিং করা খুবই সুবিধাজনক, তাই এটিকে বুলিং করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

৩। একজন ব্যক্তি তার নিজের ইচ্ছেমত ফেক আইডিও ব্যবহার করতে পারে। যার মাধ্যমে সেই ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে পারে।

৪। এছাড়াও অনেকেই সময় কাটানোর জন্য অন্য কাউকে বিরক্ত করতে পারেন যা সাইবার বুলিং এর মধ্যে পড়ে যায়। এই মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতাও অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

৫। এছাড়াও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় না জানলে ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেও সাইবার বুলিং করতে পারে। যার মাধ্যমে অন্য কাউকে খুব সহজেই হ্যারাসমেন্ট করতে পারে।

৬। আপনার ছবিকে বিকৃত করে শেয়ার করার মাধ্যমে যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার প্ররোচনা চালায়, তাহলে সেটি সাইবার বুলিং হিসেবে বিবেচিত হবে।

৭। কি এই সাইবার বুলিং না জানলে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এর শিকার হতে পারে। তাই সাইবার বুলিং কোন কোন মাধ্যমে হতে পারে, সেই বিষয়গুলো প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত।

৮। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপত্তিকর কোন যৌন হয়রানি করিয়ে আপনার সম্মানহানিও করতে পারে। এই অবস্থায় ভিকটিমকে ভয়ও দেখানো হয় এবং এই ধরনের সমস্যা সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত হয়।

৯। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও টুইটার এই প্রত্যেক মাধ্যমকে ব্যবহার করার সময় সিকিউরিটি মেইনটেইন করে আইডি চালাতে হবে। যেন আপনাকে খুব সহজে কেউ সাইবার বুলিং করতে না পারে।

১০। আপনার ডিভাইসে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে নিতে পারে, যার মাধ্যমে আপনার কাছে হুমকি দিয়ে টাকাও দাবি করতে পারে।

১১। কি এই সাইবার বুলিং না জানলে ম্যাসেজিং প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ক্ষতিকর যেকোনো ধরনের মেসেজ দিয়ে আপনাকে ভয় দেখাতে পারে।

১২। এছাড়াও যেকোন ধরনের ছদ্মবেশ ধারণ করে আপনাকে ফেক মেসেজ পাঠাতে পারে, যার মাধ্যমে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

১৩। সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে আপনার কাছ থেকে গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্য যেকোনভাবে ছড়িয়ে দিতে পারে। যার মাধ্যমে আপনি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন।

শিশু তারকা কিভাবে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়

ডিজিটাল বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং ইলেকট্রনিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে এই সাইবার বুলিং করে থাকে। যার মাধ্যমে ছোট থেকে বড় সবাইকেই কোন না কোন ভাবে এই সাইবার বুলিং এর কবলে পড়তে হয়। শিশু তারকা কিভাবে সাইবার বুলিং এর শিকার হতে পারে সেটি যেমন,

এই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় কি হতে পারে না জানার ফলে সাইবার বুলিং এর ধরনগুলো এইরকম অনেকটা হয়রানি করা, কাউকে লজ্জা দিয়ে কথা বলা, হঠাৎ করেই রাগিয়ে দেওয়া, অপদস্থ এবং অসম্মান করে কথা বলা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হুমকি দেখিয়ে ভয় দেখানো এই ধরনের কাজগুলো বুলিং বলে বিবেচিত হয়।

কারণ সাইবার বুলিং ব্যক্তি মনে করেন যে, এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং মজা করার উদ্দেশ্যে অনেকেই করতে পারেন। কিন্তু যিনি ভিকটিম তিনি যখনই এই হেনস্থার শিকার হন, তখন তার কাছে সেটি অপ্রত্যাশিত বলে মনে হয়। গবেষণার বিভিন্ন প্রতিবেদনে হয়রানির কথা উঠে এসেছে।

যারা শিশু তারকা রয়েছেন অনেকক্ষেত্রে তাদের সাইবার বুলিং এর শিকার হতে হয়। বিশেষ করে যখন তারা বিভিন্ন মডেলিং করে বা বিভিন্ন মাধ্যমে ছবি তুলতে দেখা যায়। এই ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে অনেক সময় ছবিকে বিকৃত করে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ সাইবার অপরাধের কারণগুলো কি

এইক্ষেত্রে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় বিষয় না জানলে শিশু তারকার জীবন অনেক বড় একটি হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। আর সেই হয়রানির ফলে শিশুর মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতিও হতে পারে। বিশেষ করে শিল্পী, তারকা সবাইকে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য শুনতে হয়।

তাদের বিষয়গুলো নিয়ে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের স্পর্শকাতর তথ্যগুলো এমনভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে সাইবার বুলিং ভুক্তভোগী খুবই করুন অবস্থায় পড়ে যায়। শিশু তারকা অন্য ব্যক্তির মতোই সমাজে সাইবার বুলিং এর শিকার হতে পারেন। কারণ তারা সমাজের আর অন্য দশজনের মতই বুলিং এর শিকার হয়।

বিভিন্ন দেশে এইরকমটিও হয় তারকাদের আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার মতো গণমাধ্যমে খবর দেখতে পাওয়া যায়। কারণ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় না জেনে তারকা ব্যক্তিরাও যখন সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়, তখন তাদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।

সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় কি তা জেনে সে যদি শিশু তারকা হয়, তাহলে তার চারপাশের মানুষগুলোর উচিত কি এই সাইবার বুলিং জেনে এর প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানো।

সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে কি করবেন

ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়রানির মাধ্যমে যেই সকল কাজ করে থাকে সেটিই মূলত সাইবার বুলিং। আপনি হঠাৎ করে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় কি এবং কি এই সাইবার বুলিং এবং এর শিকার হলে কি করবেন তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ,
  • সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে আপনাকে হুমকি দিয়ে রকম হয়রানি স্বীকার করতে পারে।
  • এই ধরনের সমস্যায় আপনাকে আইনের সাহায্য নেয়া লাগতে পারে।
  • ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অশালীন কথাবার্তা বলে আপনাকে বিব্রত করতে পারে।
  • এছাড়াও হ্যাকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।
  • বিশেষ করে আপনাকে টার্গেট করে ভয় দেখিয়ে টাকাও দাবি করতে পারেন।
  • এই ধরনের সাইবার বুলিং এর শিকার হওয়ার ফলে আপনি যদি চুপ করে বসে থাকেন তাহলে এর সমাধান করা সম্ভব নয়।
  • সাইবার বুলিং এর শিকার হওয়া মাত্রই একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আপনাকে সিআইডির সাইবার পুলিশে যেতে হবে।
  • আপনার সমস্যা কি উল্লেখ করে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে পারেন।

বুলিংয়ের শিকার ব্যক্তি কোথায় অভিযোগ করবে

বুলিংয়ের শিকার ব্যক্তি যদি অভিযোগ করতে চায় তাহলে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেটিভ ডিভিশনের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে অভিযোগ করতে পারে। এই সকল ব্রাঞ্চগুলোতে ভিকটিমকে পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া হয়। যেহেতু আইনগতভাবে অনলাইনে অভিযোগ দেয়ার কোন ধরনের নিয়ম নেই।

তাই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় জেনে বিভিন্ন ধরনের কি এই সাইবার বুলিং শিকার ব্যক্তি যেন খুব সহজেই তাদের হয়রানি এবং ভোগান্তির কথা জানাতে পারে তার জন্য অনলাইনে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ডিএমপি এর অধীনে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন, সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ডিটেকটিভ কিছু ব্রাঞ্চ রয়েছে।
এই দুইটি ব্রাঞ্চ ডিএমপির নিয়ন্ত্রণে হওয়ার কারণে পঞ্চাশটি থানার অধীনে ভিকটিমের অভিযোগ দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই যেই সকল ভিকটিম ব্যক্তি অর্থাৎ নারী অথবা শিশু যেই হোক যদি সাইবার ক্রাইম এর শিকার হয়, তাহলে সাইবার পুলিশ সেন্টার অর্থাৎ সিআইডি সহায়তা দিবে।

এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার বুলিং এর শিকার ভুক্তভোগী নারীদের জন্য পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন নামে একটি ফেসবুক পেজ চালু রয়েছে। এই মাধ্যম হতে আপনি সরাসরি অভিযোগ দিতে পারেন অথবা অনলাইনেও সাহায্য নিতে পারেন এবং ভিকটিম তার নিজের অভিযোগের কথা খুব সহজেই তুলে ধরতে পারে।

সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় কি

সাইবার বুলিং এর শিকার হওয়ার পিছনে আপনার অবহেলাও নির্ভর করে। যদি আপনি সঠিকভাবে সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে অবগত থাকেন, তাহলে এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করে খুব সহজেই চলতে পারবেন। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় কি হতে পারে সেই সম্পর্কে যেমন,
  • সাইবার বুলিং এর শিকার হলে আপনি যে দায়ী নন সেই বিষয়টি আপনার নিজেকে বোঝাতে হবে।
  • ডিজিটাল ভাবে যদি সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে যান তাহলে ভয় পাওয়া যাবে না।
  • সব সময়ই মাথা ঠান্ডা রেখে সাইবার বুলিং এর মোকাবেলা করতে হবে।
  • সাইবার বুলিং এর শিকার হলে আপনি নিজে কখনো পাল্টা আক্রমণ করবেন না।
  • সাইবার আক্রমণের শিকার হলে প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখুন।
  • প্রাথমিকভাবে যারা বুলিং শিকার হয়েছেন তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
  • যদি আপনি নিজে তাদের কাছে না যান তাহলে আপনার কোন বন্ধু বা ব্যক্তির মাধ্যমে আলোচনা করার জন্য বলতে পারেন।
  • সাইবার বুলিং এর শিকার হিসেবে নারীরাই অনেক বেশি বুলিং হয়ে থাকে।
  • এই অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে সাইবার বুলিং এর বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
  • সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাইবার বুলিং এর শিকার হলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে রাখতে পারেন।
  • কি এই সাইবার বুলিং জেনে আপনার সাথে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ কথা বললে আইডি ব্লক করে দিতে পারেন।
  • প্রতিনিয়ত চলার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে চলতে হবে যেন সহজে আপনি সাইবার বুলিং এর কবলে না পড়েন।

শেষকথা

এই পোস্টের মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয় কি হতে পারে সেই সম্পর্কে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। যদি সাইবার বুলিং সম্পর্কিত পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে, তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url