পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই। পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম

আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ এই আর্টিকেলে আপনি পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম

ভূমিকা | পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। এর পাশাপাশি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আপনি এই সকল বিষয় তখনই জানতে পারবেন যখন এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আর আমাদের প্রত্যেকেরই এই বিষয়টি জেনে রাখা প্রয়োজন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করি।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশের পাসপোর্ট করবেন এবং কত দিন মেয়াদি পাসপোর্ট করবেন তার ওপর। বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট এর খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে পাসপোর্ট অফিসে যে খরচটি হয় সেই সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেবো। মূলত পাসপোর্টের খরচ নির্ভর করে আপনি রেগুলার ডেলিভারিতে নিবেন নাকি এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে নিবেন তার ওপর। যদি পাঁচ বছর মেয়াদী রেগুলার ডেলিভারিতে পাসপোর্ট করেন তবে অফিসে আপনার খরচ হবে ৪,০২৫.০০ (চার হাজার পঁচিশ) টাকা মাত্র।


আবার যদি এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করেন তাহলে আপনার খরচ হবে ৬,৩২৫.০০ (ছয় হাজার তিনশত পঁচিশ) টাকা মাত্র। আবার আপনি যদি ই পাসপোর্ট রেগুলার ডেলিভারিতে করেন তাহলে ৫,৭৫০.০০ (পাঁচ হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা মাত্র খরচ হবে এবং এ পাসপোর্ট এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে করতে চাইলে ৮,০৫০.০০ (আট হাজার পঞ্চাশ) টাকা মাত্র খরচ হবে। বাংলাদেশে পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে গেলে আপনার সর্বনিম্ন ৪,০২৫.০০ (চার হাজার পঁচিশ) টাকা মাত্র থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৩,৮০০.০০ (তের হাজার আটশত) টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এই হল বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসের খরচ। এই টাকা খরচ করেই আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে। এখন আপনি কিভাবে পাসপোর্ট করবেন এটা একান্ত আপনার উপর নির্ভর করছে। আশা করছি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম

আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমাদের জানার বিষয়। আমাদের অনেকেরই খুব জরুরী মুহূর্তে পাসপোর্ট করার প্রয়োজন হয়। তাহলে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার ই পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম লাগবে। আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তারপর আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখাতে হবে। সেটাও খুবই প্রয়োজন আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে। তারপর আপনার ঠিকানাও প্রয়োজন হবে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য।


আপনার যদি পূর্ববর্তী কোনো পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সে পাসপোর্ট এর ফটোকপিও দিতে হবে। যেহেতু এটা আর্জেন্ট পাসপোর্ট তাই অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অবশ্যই পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। আপনার পেশাগত সনদ লাগবে আর্জেন্ট পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে। পরিশেষে আপনার চারিত্রিক সনদপত্র বা নাগরিকত্বের সনদপত্র লাগবে আর্জেন্ট পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে। এতক্ষণ আপনাদের আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করছি আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম

পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম। তাহলে চলুন আমরা পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। পাসপোর্ট বানানোর জন্য আপনার যে জিনিস গুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। আর এগুলোই হল পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম। কারণ এই তথ্যগুলো ছাড়া আপনি কখনোই পাসপোর্ট বানাতে পারবেন না। তাহলে চলুন সেই নিয়ম গুলো কি তা জেনে নেওয়া যাক। পাসপোর্ট বানাতে হলে অবশ্যই আপনাকে ই পাসপোর্ট এর যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। কারণ এই আবেদনপত্রে অনেক তথ্য রয়েছে যা আপনার পাসপোর্ট বানাতে কাজে লাগবে।


তারপর যে বিষয়টি প্রয়োজন হবে তার সেটি হল পাসপোর্ট এর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করা। অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করার পরে আপনাকে পাসপোর্ট এর ফি জমা দিতে হবে। তারপর আপনাকে আবেদন ফরমটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে এবং আপনার বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাসপোর্ট বানানোর জন্য। তারপর যে কাজটি হবে সেটি হল পুলিশ ভেরিফিকেশন। উপরোক্ত সকল কাজ সম্পন্ন হলে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন করবে। তারপর একবার আপনাকে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে হবে যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। সর্বশেষ ধাপে কাজ হল আপনার পাসপোর্টটি সংগ্রহ করা। একটি পাসপোর্ট বানাতে হলে অবশ্যই এই নিয়মগুলো আপনাকে ফলো করতে হবে এবং স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করতে হবে। আশা করছি পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা | পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম

আজকেরে আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন এবং আপনার অনেক উপকারে এসেছে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোথাও বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি মনে হয় একটি বিষয়ও শিখতে পেরেছেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদেরও বিষয়টি জেনে রাখা প্রয়োজন। নিত্যনতুন এরকম আপডেট খবর পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url