কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি খুব সহজেই এর কার্যকারিতা বুঝতে পারবেন। এই পোস্টে কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা আলোচনা করা হবে। কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানা থাকলে সঠিকভাবে এর ব্যবহার করতে পারবেন।
কাজু বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি বাদাম যা আপনাকে উচ্চ ক্যালোরি দিতে পারে। পরিমিত পরিমাণে কাজু বাদাম খেলে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও প্রোটিন পেতে পারেন। এছাড়াও এই কাজু বাদামে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং জিংক রয়েছে।

পেজ সূচিপত্র

কাজু বাদাম কিভাবে খেতে হয়

কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়ে যাবে। কিন্তু এই কাজু বাদাম বেশিরভাগ সময়েই ভেজে খাওয়া হয়। পাহাড়ি এলাকা গুলোতে কাজু বাদামকে খুঁচিয়ে কেটে শ্বাস বের করে নেয়া হয়। তারপর এই কাজু বাদাম রোদে শুকিয়ে বীজের খোলস তুলে ফেলা হয়।
লবণ পানিতে কিছু সময় ধরে ভিজিয়ে রাখা হয়। তারপর সেই কাজু বাদামকে ভাজার জন্য নেওয়া হয়। এতে কাজু বাদামে মিষ্টি যেই স্বাদ রয়েছে, সেটিতে হালকা লবণাক্ত স্বাদ পাওয়া যায়। আর মিষ্টি স্বাদের যেই কাজু বাদাম রয়েছে, তার জন্য চিনির শিরায় ডুবিয়ে নেওয়া হয়। বিভিন্ন খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে এই কাজু বাদামকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কাজু বাদাম কি কাজ করে

কাজু বাদামে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। তাই এই কাজু বাদাম পুষ্টি উপাদানের কারণে এর কার্যকারিতাও অনেক বেশি। কাজু বাদাম শরীরে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে যেমন,

১। কাজু বাদাম আপনার শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর একমাত্র পাওয়ার হাউস হিসেবে কাজ করতে পারে। এর ফলে আপনার চোখের বিভিন্ন ধরনের রোগ, স্মৃতিশক্তির সমস্যা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে যার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

২। এতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালরি এবং ফ্যাট থাকার কারণে ওজন বৃদ্ধি না করে কমাতে সাহায্য করে। কাজুবাদামে যেই পরিমাণে ক্যালরি থাকে তা হজম শক্তিতে খুব ভালো কাজ করে। প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে ক্ষুধা কমাতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৩। স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই কাজু বাদাম বিশেষ উপকারী। কারণ এই কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে আপনি যদি নিয়মিত খান, তাহলে আপনার রক্তচাপ ও হার্টের বিশেষ উন্নতি হয়ে থাকে।

৪। ডায়াবেটিস রোগের জন্য অত্যন্ত ভালো কাজ করে। এই কাজু বাদাম এর মধ্যে যেই ফাইবার রয়েছে তা রক্তের শর্করার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। শর্করার পরিমাণকে অনেক কমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে।

৫। কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকার কারণে এটি আপনার হাড়কে অনেক বেশি শক্তিশালী ও মজবুত করে তোলে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কপারের উপস্থিতি রয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন হাড়ের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

৬। কাজু বাদাম আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত দুধে ভিজিয়ে কাজু বাদাম খেতে পারেন, তাহলে এটি ঔষধ হিসেবে কাজ করতে পারে।

৭। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার না খেয়ে কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিয়ে কাজু বাদাম খেতে পারেন। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি চাইলে মাঝে মাঝে দুধে ভিজিয়ে কাজু বাদাম খেতে পারেন।

৮। এছাড়াও কাজু বাদামে কপার উপস্থিতির কারণে আপনার চুলের গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমকে বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে চুলের রং উজ্জ্বল হয়ে উঠে।

৯। কাজু বাদামে থাকা যেই ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে তা আপনার ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। যার ফলে ব্লাড প্রেসারে যদি কোন রোগী নিয়মিত কাজু বাদাম খায়, তাহলে সে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

কাজু বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম

কাজু বাদামের অভ্যাস করে নিলে আপনি আপনার শরীরে পুষ্টি উপাদানকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। কাজু বাদাম খাওয়ার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম জানতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনাকে কোন সময় কাজু বাদাম খেতে হবে এবং ঠিক কতটি করে কাজু বাদাম খেলে আপনার শরীরের পুষ্টি উপাদান বজায় থাকবে।
যদি আপনি ডায়েট করে থাকেন, তাহলে সকালে নাস্তার পর এবং দুপুরে খাবারের আগে যেই সময় রয়েছে। ঠিক এগারটা থেকে একটা এর মধ্যে এক মুঠো বাদাম খেতে পারেন। আবার যদি আপনার বিকাল সময়ে ক্ষুধা লেগে যায়, তাহলে নাস্তা হিসেবে অন্য খাবার না খেয়েও এক মুঠো কাজু বাদাম খেতে পারেন।

এতে করে আপনার ক্ষুধা কমে যাবে এবং আপনার ডায়েট বজায় থাকবে। যদি ডায়েট ছাড়া অন্য কোন কারণে কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে খেতে চান, তাহলে দশ থেকে বারোটি বাদাম রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেটি খেয়ে নিতে পারেন।

কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করে থাকলে আপনার শরীরে থাকা বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি পূরণ হতে পারে। কাজু বাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলো -

১। মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধঃ 
মরণব্যাধি ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে কাজু বাদামে থাকা যেই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারে। কারণ ক্যান্সার কোষগুলো যখন বৃদ্ধি পায়, তখন এই কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে যেই টিউমার দেখা যায় সেটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।

২। অ্যানিমিয়া রোগ দূর করেঃ 
অ্যানিমিয়া রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে কাজু বাদাম। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা আপনার শরীরের লোহিত রক্ত কণিকাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যেই কারণে আপনার দেহে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায় এবং পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।

৩। ডায়াবেটিস প্রতিরোধঃ 
নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী আপনি যদি এক মুঠো করে কাজু বাদাম খেতে পারেন, তাহলে ডায়াবেটিস খুব সহজেই দূর করা যায়। এই ইনসুলিন এর কর্মক্ষমতা বেড়ে যাওয়ার কারণে রক্তে থাকা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। এই শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৪। হাড়কে মজবুত করেঃ 
কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস থাকার কারণে এটি আপনার হাড়কে অনেক শক্তিশালী ও মজবুত করে তোলে। তাই আপনি যদি কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন।

তাহলে আপনার হাড় ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। কাজু বাদামে থাকা ভিটামিন কে আপনার হাড়ের যেকোনো ধরনের সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে পারে।

৫। সংক্রমনের ঝুঁকি কমায়ঃ 
কাজু বাদাম আপনার শরীরে বিভিন্ন সংক্রমনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ কাজু বাদামে যেই জিংক রয়েছে তার বিশেষ কাজ হলো ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করা। তাই আপনি যদি নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন, তাহলে অনেক ধরনের ইনফেকশনের হাত থেকে খুব সহজেই রক্ষা পেতে পারেন।

৬। হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ায়ঃ 
হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কাজু বাদাম একটি কার্যকরী উপাদান। কারণ এতে যেই পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে তা হার্টের রোগ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে।

৭। চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়ঃ 
কাজু বাদামে অনেক বেশি পরিমাণে কপার থাকার কারণে আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে খুব সাহায্য করে। এতে খনিজ রয়েছে যা চুলের গোড়াকে শক্ত করতে পারে। এছাড়াও কাজু বাদাম থাকা কপার শরীরের ভেতরের এনজাইমকে বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে চুলের রং কালো রাখতে অনেক সাহায্য করে।

৮। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ 
আপনার শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজু বাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আপনি যদি কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে।

৯। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণঃ 
কাজু বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আপনার ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। কারণ যারা ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, তাদের খাবারের তালিকায় যদি কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে কাজু বাদাম থাকে তাহলে তারা খুব সহজেই ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

১০। ওজন কমায়ঃ 
কাজু বাদাম আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়। কাজু বাদামে যেই পরিমাণ ক্যালরি থাকে তার প্রায় চুরাশি শতাংশই শরীর হজম করতে এবং শুষে নিতে পারে। এতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার আপনার ক্ষুধা কমাতে এবং পেট ভরা রাখতে খুবই সাহায্য করে।

কাজু বাদাম বেশি খেলে শরীরে কেন প্রভাব পড়ে

কাজু বাদাম আসলে শরীরে এক ধরনের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। কারণ এটি সব ধরনের বাদাম থেকে স্বাদে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট বিদ্যমান রয়েছে।

যেহেতু এই কাজু বাদাম হার্টের জন্য খুবই উপকারী। তাই এর মধ্যে ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান রয়েছে। কাজু বাদামের কার্যকারিতা এতটাই বেশি যে, এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও খুব ভালো কাজ করে থাকে। কিন্তু যাদের শরীরে এলার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের কাজু বাদাম না খাওয়াই ভালো।
কারণ কাজু বাদামে অনেক বেশি পরিমাণে অক্সালেট উপাদান রয়েছে। যা আপনার শরীরের প্রবেশ করা মাত্রই কিডনিতে পাথর পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে দুধের সাথে কাজু বাদাম খান, তাহলে অক্সলেটের পরিমাণ কমে যায়। তাই যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে, কাজু বাদাম পরিমাণে কম খেতে হবে।

যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা কাজু বাদাম তিন থেকে চারটির বেশি খেতে পারবেন না। অনেক সময় কাজু বাদাম একদমই কাঁচা খেলে শরীরের জন্য বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। সেইক্ষেত্রে বাদামের উপরের অংশ তুলে ভেজে খেলে আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে।

কাজুবাদাম খেলে কি শরীরে ওজন বাড়ে

কাজু বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যার কারণে এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আপনার হার্টের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন, তাহলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যার ফলে কাজু বাদামে থাকা এই উপকারী ফ্যাট আপনার শারীরিক গঠনে সাহায্য করে থাকে।

প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া এই কাজু বাদাম এর মধ্যে যেই পরিমানে ফ্যাট রয়েছে, তা আপনার ওজন বাড়ানোর পরিবর্তে ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এই ফ্যাটের সাহায্যে আপনার শরীরে বিপাকের হার বেড়ে যায়।

সেই সাথে রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিয়ে কাজু বাদাম খেলে আপনার শরীরের ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়।

শেষকথা

আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো, কাজু বাদাম কি কাজ করে এবং আরোও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। বিস্তারিত জেনে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url