কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় - সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা
প্রযুক্তি উন্নয়নে কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায়। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় সেটি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সাইবার বুলিংয়ের হয়রানির প্রমাণ রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে জেনে নিন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির গোপনীয় দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করা বা ভয় দেখানোর পাশাপাশি মানসিক নির্যাতন করার প্রক্রিয়ায় বুলিং সংঘটিত হয়। যদি এই পর্যায়ে ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে অনলাইনে প্রকাশ, কারোও সম্মানকে হানি করা হয় তাহলে এটি বুলিংয়ের মধ্যে পড়ে যায়।
পেজ সূচিপত্র
- সাইবার বুলিং কিভাবে সনাক্ত করা যায়
- কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায়
- সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা গুলো কি কি
- সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- সচেতনতা কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করে
- সাইবার বুলিং সংক্রান্ত অভিযোগ করার উপায়
- শেষকথা
সাইবার বুলিং কিভাবে সনাক্ত করা যায়
সাইবার বুলিংকে সনাক্ত করার জন্য কিছু বিষয় রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন সাইবার বুলিং করা হয়েছে। সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অনেকেই আপনার সম্পর্কে উপহাস জনিত কিছু বিষয় ছড়িয়ে দিতে পারে। যা আপনার মান সম্মানকে হেয় করতে পারে।
সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা না জানলে এমনভাবে হয়রানির স্বীকার করতে পারে যে আপনার কোন তথ্য চুরি করে আপনার বন্ধু বা আত্মীয়স্বজন যে কারোও কাছে আপনাকে ছোট করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শিশু বা কিশোরী যারা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সাইবার বুলিং বেশি হয়ে যেতে পারে।
সময়ের সাথে সাথে যখন অনেকবার বাচ্চারা সাইবার বুলিং এর শিকার হয়। তখন তারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাদের মধ্যে বিষন্নতা ও উদ্বেগ কাজ করতে থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে যদি তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয় বেশিরভাগ সময়ই তারা অপমানিত বোধ করতে পারে।
সাইবার বুলিং এর ফলে তীব্র চাপ অনুভব করতে পারে। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে নিজেকে আত্মহত্যার দিকেও ধাবিত করতে পারে। কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় যদি না জানে তাহলে ভুক্তভোগীরা এভাবেই ধীরে ধীরে সাইবার বুলিং এর কবলে পড়তে থাকে।
কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায়
প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের মধ্যে সাইবার বুলিং এর প্রবণতাও অনেক বেশি বেড়ে চলেছে। এই সময়ে কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় যদি সেই চিন্তা মাথায় না থাকে, তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার বুলিং এর সমস্যায় পড়া লাগতে পারে যেমন,
১। সাইবার বুলিং এমনই একটি বিষয় যা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক বেশি হয়রানি করে থাকে।
২। আজকাল কার যুগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবহৃত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম ও টুইটার এইগুলো ব্যবহার করে না এইরকম খুব কম মানুষই রয়েছেন।
৩। যেহেতু ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ এগুলো মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে পড়েছে তাই এই বিষয়ে সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা জেনে বিশেষ সচেতন হওয়া উচিত।
৪। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যক্তির গোপনীয় কিছু দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে মানসিকভাবে হেয় করতে পারে। ভয় বা মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে সাইবার বুলিং করতে পারে।
৫। অথবা ছবি বা ভিডিওকে বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে নারী এবং শিশু অর্থাৎ কিশোরীরাও সাইবার বুলিং এর শিকার হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিশোর কিশোরীরা এই হয়রানির শিকার হয়।
৬। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগই সাইবার বুলিং এর কবলে পড়ছেন। অনেকেই ভয়ে নির্যাতনকে চেপে যেয়ে অভিযোগ করতে চান না। কিন্তু এই অভিযোগ না করার কারণে সাইবার অপরাধীরা আরও বেশি প্রশ্রয় পাচ্ছে।
৭। অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় কমেন্টে বাজেভাবে গালি দিতে থাকে বা হেয় করে অনেক কথা বলে ফেলে। সেইক্ষেত্রে তারা সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে থাকেন।
৮। যদি আপনার সাইবার বুলিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই এই সমস্যাকে বন্ধ করতে পারবেন। মোবাইল বা ইমেইলে এই নির্যাতনের সমস্যা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে।
৯। বেশিরভাগ মানুষই হতাশা, হীনমন্যতা, অনিদ্রা, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা এবং অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় সেটি জেনে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য চুপ করে থাকা যাবে না।
১০। সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা না জানার ফলে সম্মান হারানোর ভয়ে যৌন নির্যাতনের মত ভয়াবহ সমস্যাকেও অনেকে বলতে পারেন না।
১১। পরিবারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ গড়ে তুলতে হবে আপনাকে শেয়ার করতে হবে। যেন আপনি সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন।
১২। খুব সহজেই আপনি ডিভাইসের মাধ্যমে শিকার হতে পারেন। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে ঘন ঘন যদি মেসেজ আসে সেই মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে থাকেন। লুকিয়ে যদি ডিভাইস ব্যবহার করেন।
১৩। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে ডিপ্রেসড হয়ে যান। সেইক্ষেত্রে অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনাদের এই আচরণটি লক্ষ্য করতে পারেন। আপনার কাছে যদি কোন খারাপ পোস্ট বা কমেন্ট চলে আসে তাহলে আপনি সেইটিকে স্ক্রিনশট দিয়ে রাখতে পারেন।
১৪। নীতিমালা অনুযায়ী আইনের সাহায্য নিতে পারেন অথবা থানায় যেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে আসতে পারেন। একজন ভিকটিমের জন্য সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হচ্ছে তার পরিবার।
১৫। নিজের মনকে সাহস যুগিয়ে মনোবল শক্ত করে সাইবার বুলিং এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। হয়রানি হয়েছেন এইরকম প্রমাণ গুলো স্ক্রিনশট দিয়ে রেখে দিবেন।
১৬। কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় তা জেনে নিয়ে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। আপনি যদি একটু সচেতনতার সাথে চলতে পারেন, তাহলে সাইবার বুলিং এর মত অপরাধকে বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে।
সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা গুলো কি কি
আজকের ডিজিটাল যুগে সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ হুমকি, অপমান, মিথ্যা এবং জবরদস্তির মাধ্যমে যেই ধরনের কার্যকলাপ হয়ে থাকে সেটি সাইবার বুলিং এর মধ্যে পড়ে। এইক্ষেত্রে ভিকটিম চাইলে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে পারেন।
সাইবার বুলিং ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবং পুলিশের কাছে থানায় নিয়ে যেতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে কিশোর প্রসিকিউটরের অফিস বা কোর্টেও নিয়ে যেতে পারেন। কখনো যদি স্কুলে সাইবার বুলিং হয়, তাহলে সেই কেন্দ্রেই যোগাযোগ করতে পারেন। কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় তা জেনে শিক্ষকের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এইক্ষেত্রে আপনি যখন শিক্ষা পরিদর্শনে যাবেন, তখন একটি রিপোর্ট তৈরি করে নিয়ে যাবেন। সামাজিক বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক এবং সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেইক্ষেত্রে একটি প্রোফাইল রিপোর্ট তৈরি করে রাখবেন।
আরও পড়ুনঃ সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায় কি
জিমেইল, ইয়াহু বা হটমেইল যেকোনো কিছুর মাধ্যমেই এই প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন। রিপোর্ট এবং প্রমাণ সহ বিচার বিশ্লেষণ করে জরিমানা দিয়ে দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যায় এক থেকে চার বছর পর্যন্ত এবং জরিমানা বার থেকে চব্বিশ মাস পর্যন্ত করতে পারে।
যা গোপনীয়তা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এবং সম্মতি ব্যতীত তৃতীয় কোন ব্যক্তির কাছে গোপনীয়তা ফাঁস করে দেওয়ার ফলে সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞায় এই শাস্তি পেতে পারে। যারা অভিভাবক রয়েছেন তাদের অনেক বেশি কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
যেন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার মাধ্যমে শিশুদের আচরণ বদলে যেতে না থাকে। একটি শিশু যদি অনলাইনে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে থাকে এবং মোবাইল কোন প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
যদি সে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা না জেনে কোন ধরনের রাগ প্রকাশ করে বা অস্বস্তি অনুভব করে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার সন্তান ইন্টারনেট বুলিংয়ের কবলে পড়েছে।
সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা
কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় না জানলে সাইবার বুলিং এর হয়রানির হার দিন দিন অনেক বেড়ে যাচ্ছে। যেহেতু শিশু, কিশোরী ও নারীরা এই সাইবার বুলিংয়ের কবলে বেশি পড়ছেন। তাই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলো হলো -
- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই শালীনতা বজায় রেখে করবেন।
- অনেক সময় ফটোশপ ব্যবহার করে ছবিকে বিকৃত করে ফেলা হয়।
- ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে আপনাকে বিরক্ত করতে পারে। এইক্ষেত্রে আপনি সেই আইডি ব্লক করে দিতে পারেন।
- মেসেঞ্জারে কথা বলার মাধ্যমে আপনাকে কুপ্রস্তাব দিতে পারে সেইক্ষেত্রে ব্লক করতে পারেন।
- এছাড়াও সাইবার বুলিং ব্যক্তি আপনাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করতে পারে।
- আপনি যদি কোনভাবে তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেখিয়ে ভয় দেখাতে পারে।
- অবশ্যই আপনাকে এই সমস্যার জন্য থানায় আশ্রয় নেওয়া লাগতে পারে।
- সাইবার বুলিং প্রতিরোধ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে পারেন।
সচেতনতা কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করে
সচেতনতা আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া সাইবার বুলিং খুব সহজেই বন্ধ করে দিতে পারে। সেটি আপনার একার পক্ষে বন্ধ করা হয়তো সম্ভব নাও হতে পারে। তাই কিভাবে আপনি আপনার এই সচেতনতা বৃদ্ধি করে কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় চলুন সেটি জেনে আসি।
- যদি আপনার সাথে কখনো অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও কুপ্রস্তাব দিয়ে মেসেজ করে বসে তাহলে তাকে ব্লক করে দিবেন।
- সাইবার বুলিং এর ফলে অনেক সময় আপনাকে বড় ধরনের কোন হুমকি দেখিয়ে ভয় দেখাতে পারে সেই ক্ষেত্রেও ব্লক করে দিবেন।
- যদি আপনি কখনো বুলিং এর শিকার হয়ে থাকেন তাহলে সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা জেনে সকল প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখবেন।
- জীবননাশ হতে পারে এমন ধরনের কোন হুমকি চলে আসলে সাথে সাথেই আইনের আশ্রয় নিতে হবে।
- কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় তা জেনে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
- সাইবার বুলিং এর সমস্যা শোনা মাত্রই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না, ইতিবাচক সমাধান করার চেষ্টা করুন।
সাইবার বুলিং সংক্রান্ত অভিযোগ করার উপায়
সাইবার বুলিং সংক্রান্ত অভিযোগ করার বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্যাগুলোকে তুলে ধরতে পারেন। আপনি চাইলে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন যেখানে ইংরেজি ভাষাতে আপনি ক্লিক করতে পারেন।
পোর্টালের যেই তথ্যগুলো রয়েছে সেগুলো যখন আপনি দেখবেন আপনার কাছ থেকে গ্রহণযোগ্যতা চাইতে পারে। সেইক্ষেত্রে আপনি গ্রহণ দিয়ে দিতে পারেন। এখানে দুই ধরনের পৃথক করে বিভাগ দেওয়া আছে। একটি হচ্ছে শিশু সম্পর্কিত সাইবার ক্রাইম রিপোর্ট এবং অন্য আরেকটি হচ্ছে সাইবার ক্রাইম রিপোর্ট।
আপনার সমস্যা অনুযায়ী আপনি যেকোনো একটিতে ক্লিক করতে পারেন। এছাড়াও জালিয়াতি হ্যাকিং ফিশিং ইত্যাদি ঘটনাগুলোতে ঘটনাগুলোকে সাইবারক্রাইমে ক্লিক করতে পারেন। এখানে আপনার মোবাইল নাম্বার জিজ্ঞাসা করতে পারে। কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায় সেটি জেনে পূরণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সাইবার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি কি
যদি নারী ও শিশু বিষয়ক সাইবার ক্রাইম হয় অথবা এর মধ্যে পর্নোগ্রাফি অনলাইন বোলিং এগুলো থাকে, তাহলে এই সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ করতে পারেন। আপনার গোপনীয়তা বজায় রেখে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করতে পারবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।
সাইবার ক্রাইম রিপোর্টের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যখনই পূরণ করা হয়ে যাবে। তখন অভিযোগ জমা দিতে হবে। এটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে একটা ইউনিক নম্বর অভিযোগ আকারে বসাতে হবে, যার একটি আইডি দেয়া থাকবে এই নম্বরের মাধ্যমে আইডি দিয়ে পরবর্তীতে ট্র্যাক করতে পারবে।
শেষকথা
এই পোস্টে কিভাবে সাইবার বুলিং বন্ধ করা যায়, সাইবার বুলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা সহ আরোও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার আশেপাশের সকলকে শেয়ার করে সচেতন করুন। পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url