যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ১০০% কার্যকারী মাধ্যম ২০২৩
নামহীন
৬ সেপ, ২০২৩
এখানে অনেকগুলো কারন আছে যা যোনি চুলকানি হওয়ার কারন যার মধ্যে রয়েছে; চামরা বা ত্বকের সমস্যা,মানসিক চাপ ও ছত্রাক আক্রমণ। আপনি কি যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? আসলে আপনার জন্য সবথেকে বাজে বিষয় হতে পারে আপনি জানেনই না যে কেন আপনার যোনি চুলকানিতে আক্রান্ত।
যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম কোনটি তা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনি কেন এই সমস্যায় ভুকছেন। যোনি চুলকানি এর মতো সমস্যাকে কোন ভাবেই সাধারন মনে কয়ারা যাবে না, কারন যোনি চুলকানি অনেক সময় বিভিন্ন মারাত্মক রোগের লহ্মণ হতে পারে। যোনি চুলকানি কেন হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত আমরা একটি অংশ আর্টিকেলে রেখেছি।
তাছারা, যোনি চুলকানি একটি খুব সাধারন সমস্যা নারীদের মধ্যে। যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম জানতে হলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। আপনার এখানে যোনি চুলকানি লহ্মন থেকে শুরু করে যোনি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য পাবেন।
সূচিপত্রঃ যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ১০০% কার্যকারী মাধ্যম ২০২৩
যোনি বলতে আসলে আমরা কি বুঝি তা কি জানেন ? যোনি চুলকানি কেন হয় তা জানার আগে আপনাদের যোনি একটি চিত্রের সাহায্যে দেখানো যাক যোনির বিভিন্ন অংশগুলো।
অনেকে যোনি বলে আমরা দেহের একটি অংশকেই বুঝে, কিন্তু যোনি ভালভা নামক স্থানের অংশ। আপনার যোনি আসলে আপনার ভালভার একটি অংশ, বিশেষ করে ভিতরের অংশ। যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করার আগে আমদের জানতে হবে যে আসলে কোথায় চুলকানি বেশি হয়।
ভালভা হল আপনার যৌনাঙ্গের সেই অংশ যা আপনার শরীরের বাইরে থাকে,যেমন আপনার ল্যাবিয়া, ভগাঙ্কুর, মূত্রনালী এবং যোনিপথ। আমরা যোনি চুলকানি সম্পর্কে কথা বলছি যা যোনি, ভালভা বা যোনিপথ উভইয়ে হয়ে থাকে।
যোনিতে চুলকানি কেন হয় ?
যোনিতে চুলকানি কেন হয় জানেন ? যৌনাঙ্গের চারপাশের নরম চামরা বা ত্বককে জ্বালাতন করে এমন পণ্য ব্যবহার করার কারনেই প্রায় ছোটখাট ভালভার বা যোনি চুলকানি হয়।
মাসিক প্যাড
আন্ডারওয়্যারে নির্দিষ্ট উপকরণ
আন্ডারওয়্যার সুগন্ধযুক্ত ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে
ক্রিম, সাবান বা লোশন, বিশেষ করে সুগন্ধযুক্ত
ল্যাটেক্স কনডম
ডিওডোরেন্ট বা বডি স্প্রে।
রাসায়নিক পদার্থ
কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন দৈনন্দিন ব্যবহার করা পণ্যগুলোতে পাওয়া যায় যেগুলো যোনি এবং যোনির উপরের অংশে চলে গেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস নামে পরিচিত। রাসায়নিক পদার্থ বলতে অ্যালকোহল, রং, সুগন্ধি ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে।
যোনি চুলকানিকে একটি বিরক্তিকর অবস্থা হিসেবে দায়ী করা হয়, আপনার যোনি চুলকানির কারনে আপনার যোনি লাল এবং কালশিটে হয়ে যেতে পারে। আসুন দেখে নিন যে পণ্যগুলোর জন্য প্রায় যোনি চুলকানি হয়ে থাকে তার মধ্যে রয়েছে-
আপনি যদি অতিরিক্ত যোনি চুলকানি অনুভব করেন, তাহলে প্রস্রাবও চুলকানি এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
ত্বকের অবস্থা বা চর্ম রোগ
কিছু ত্বকের অবস্থা, যেমন একজিমা এবং সোরিয়াসিস, যৌনাঙ্গে লালভাব এবং চুলকানির কারণ হতে পারে। যোনি চুলকানির জন্য দায়ী চর্ম রোগ হলো-
একজিমা
ডার্মাটাইটিস
সারিয়াসিস
স্ক্যাবিস
আমবাত
শুষ্ক ত্বক
সোরিয়াসিস হচ্ছে একটি সাধারণ চর্ম রোগ যা মাথার ত্বক এবং জয়েন্টগুলোতে আঁশযুক্ত, চুলকানি, লাল দাগ তৈরি করে।
ছত্রাক সংক্রমণ
যোনিতে খামির একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট্র ছত্রাক। এই ছত্রাক সাধারণত কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না, কিন্তু যখন তা বেশি বৃদ্ধি পায় তখন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় এবং একটি অস্বস্তিকর সংক্রমণ হয়ে থাকে। যোনিতে এই ছত্রাকের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে অস্বস্তিকর লহ্মন দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং ঘন, সাদা স্রাব হতে পারে যেটা একটা টাটকা টক রুটির মতো গন্ধ হতে পারে বা গন্ধ নাও পারে।
যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম লাগানোর আগে আপনি যদি সম্প্রতি কোন অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন, তাহলে সেই ওষুধ দায়ী হতে পারে, কারণ এগুলো খারাপের সাথে ভালো ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করতে পারে। যোনিতে চুলকানি কেন হয় তার কারন হতে পারে-
গর্ভাবস্থা,
স্ট্রেস,
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
তাছারা, আপনার মাসিকের আগে হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও খামির সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস (BV) যোনিতে চুলকানির আরেকটি কারণ। একটি যোনিতে ভালো ছত্রাকের সংক্রমণের মতো যোনিতে প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে থাকা ভাল এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোর মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে BV শুরু হয়।
এই অবস্থা সবসময় চুলকানি সৃষ্টি করে না। যখন লহ্মনগুলো দেখা দেয়, তখন সেগুলো সাধারণত যোনিপথে চুলকানি এবং একটি অস্বাভাবিক, মাছের গন্ধযুক্ত স্রাব যোনি থেকে বের করে। স্রাব পাতলা এবং নিস্তেজ ধূসর বা সাদা হতে পারে, এটি ফেনাযুক্তও হতে পারে।
ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম
কম ইস্ট্রোজেনের মাত্রা যদিও অল্পবয়সী এবং পেরিমেনোপসাল মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যেকোন বয়সে কম ইস্ট্রোজেনের মাত্রা দেখা যেতে পারে। ইস্ট্রোজেন যোনি নিঃসরণ বজায় রাখতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।
এই যোনি স্রাব যোনিপথের প্রাচীরকে লুব্রিকেট করে,যা যৌন মিলনের সময় ঘর্ষণ কমায়। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম হলে যোনিতে প্রাকৃতিক তৈলাক্ততা কমাতে পারে। এর ফলে যোনিপথে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে, যার ফলে জ্বালা এবং চুলকানি হতে পারে, বিশেষ করে যৌনতার সময় এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কম ইস্ট্রোজেনের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে-
অনিয়মিত বা অনুপস্থিত পিরিয়ড
ক্লান্তি এবং
গরম ঝলকানি থাকতে পারে।
মেনোপজ
পেরিমেনোপজ এবং মেনোপজের সময় এস্ট্রোজেনের হ্রাস যোনিপথে চুলকানির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণে কম ইস্ট্রোজেন ভালভা এবং যোনির টিস্যুকে পাতলা, শুষ্ক এবং কম স্থিতিস্থাপক হয়ে যায়। যোনি শুষ্কতার ফলে চুলকানি এবং জ্বালা হতে পারে। আপনি সহবাসের সময় বেদনাদায়ক এবং যৌনতার পরে রক্তপাতও পেতে পারেন।
মানসিক চাপ
শারীরিক এবং মানসিক চাপের কারণে যোনিতে চুলকানি এবং জ্বালা হতে পারে। যোনি চুলকানি হতে পারে যখন মানসিক চাপ আপনার রোগ প্রতিরোধ হ্মমতা বা ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয় যা আপনাকে চুলকানির কারণ সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
মানসিক চাপ হরমোন কর্টিসলের বৃদ্ধি যা ঘটে যখন আপনি মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তাও যোনি স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে এবং যোনি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় গবেষণায় দেখানো হয়েছে।
ভালভার ক্যান্সার
যোনিপথে চুলকানি ভালভার ক্যান্সারের একটি উপসর্গ হতে পারে। আপনারা জেনে রাখুন যে ভালভার ক্যান্সার বিরল যা খুব কম দেখা যায় এবং যোনিতে চুলকানি অন্য কিছুর কারণে হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ভালভার ক্যান্সার যোনিপথে চুলকানির কারণ হতে পারে যা দূরে যায় না বা ভাল হয় না। এটি ভালভা অঞ্চলে ত্বকের পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যেমন ত্বকের বিবর্ণতা বা ঘন হয়ে যাওয়া। আপনার পিরিয়ডের সাথে সম্পর্কহীন রক্তপাত বা স্রাব এবং গলদ অন্যান্য সম্ভাব্য লক্ষণ। কিছু নারীদের মধ্যে, ভালভার ক্যান্সার কোনো উপসর্গ সৃষ্টি করে না।
মেয়েদের যোনিতে চুলকানি কেন হয় ও তার সমাধান
যোনি চুলকানির লক্ষণ কি ?
যোনি চুলকানির লক্ষণ কি জেনে নিন- যোনি চুলকানি এমন একটি উপসর্গ যা বোঝাতে পারে আপনার যোনিপথে কিছু অসবাভিক ঘটছে। চুলকানির লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো যোনি বা যৌনাঙ্গের অংশতে বেশি আক্রান্ত করতে পারে যাকে ভালভা বলা হয়। যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করার আগে যোনিপথে চুলকানির কারণ ও ঝুঁকি নিচে জেনে নিন।
যোনি চুলকানির সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে-
বিভিন্ন সংক্রমণ; যেমন ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস এবং খামির সংক্রমণ।
যৌনবাহিত সংক্রমণ (STIs), যেমন ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়া বা ট্রাইকোমোনিয়াসিস।
পোশাক, ডিটারজেন্ট, সাবান, ক্রিম, কনডম এবং আরও অনেক কিছু থেকে জ্বালা বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হয়।
মেনোপজে পরিবর্তনের কারণে হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন।
ডায়াবেটিস।
পিউবিক উকুন যা যৌনাঙ্গের উরের লোমে থাকে।
চর্ম রোগ;যেমন সোরিয়াসিস এবং লাইকেন স্ক্লেরোসাস।
বিরল ক্ষেত্রে যেমন; ভালভা ক্যান্সার।
যোনিতে চুলকানি হলে করনীয়
যোনিতে চুলকানি হলে যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করার আগে আপনার যা করা উচিত তা এখন আলোচনা করা হবে। কাপর ধোয়া ডিটারজেন্ট, সাবান, বডি ওয়াশ এবং বডি স্প্রেতে থাকা কিছু রাসায়নিক যোনি টিস্যুতে জ্বালা করে এবং চুলকানির কারণ হয়।
আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনি যে পণ্যটি ব্যবহার করেছেন তাতে আপনার চুলকানি হয়েছে,তবে তারাতারি সেই পণ্যটি ব্যবহার বন্ধ করুন। আসুন জেনে নিন যোনিতে চুলকানি হলে করনীয়-
সাবান হ্মারীয় পদার্থ যোনিতে সবান ব্যবহার করবেন না।
মাসিকের প্যাড বা ট্যাম্পন যা কম সুগন্ধযুক্ত ব্যবহার করুন।
নাইলন,প্যান্টিহোজ বা আঁটসাঁট পোশাক বাদ দিয়ে সুতি পোশাক পরুন।
অধিক সুগন্ধযুক্ত কাপর ধোয়া ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না,বিশেষ করে আপনার আন্ডারওয়ারে।
সুগন্ধিত পাউডার ব্যবহার করবেন না।
টাইট প্যান্ট না পরে ঢিলা-ঢালা পোশাক পরুন।
মনে রাখবেন আপনার যোনি প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার হয়,তাই যোনি পরিষ্কার করার জন্য কোন ধরনের সাবান বা যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত মাত্তাবরি করে ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেয়।
যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম
যোনি চুলকানি ছোট বাচ্চা মেয়ে থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের নারীদের মধ্যে দেখা যায়। এই ধরনের চুলকানি পুরুষাঙ্গের দেখা দিতে পারে, গোপনাঙ্গ চুলকানি হতে রহ্মা পেতে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে অনলাইনে যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম অনুসন্ধান করছেন।
আমরা আপনাদেরকে যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম অবশ্যই জানাব কিন্ত মনে রাখবেন আপনার চুলকানির ধরন অনুযায়ী আপনাকে ক্রিম বাছায় করে নিতে হবে। তার জন্য আপনাকে সবার আগে একজন চর্ম ও যৌন বিশেষ্যগের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
যোনি চুলকানি ও দেহের যেকোন জায়গায় এই ক্রিম ব্যবহার করা যায়।এটি ত্বকের চিকিত্সা করার জন্যও ব্যবহৃত হয়। তাছারা, ফুসফুস সংক্রমণ , ক্রীড়াবিদের পা , দাউদ, ইত্যাদি হ্মেত্রে ব্যবহার করা হয়। এস্টোস্টেরল তৈরির জন্য ছত্রাক প্রতিরোধ করে, যা এই ছত্রাকের কোষ ঝিল্লি গঠনের একটি অপরিহার্য উপাদান।
এটি কোষের বিকাশ ঘটায় এবং এর কারনে কোষ ফুসফুসের ফলে কোষের ঝিল্লি দুর্বল হয়ে যায় এবং অবশেষে মাইক্রো অর্গানিজমের মৃত্যু ঘটে।
এই ক্রিম বিশেষ করে মহিলাদের যোনির চারপাশে যদি চুলকানির সমস্যা দেখা দেয় অথবা ছত্রাকের আক্রমের জন্য যোনির কোন অংশে চুলকাই তবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ক্রিম ব্যবহারে মনে রাখতে হবে যে ক্রিমটি শুধু মাত্র যোনির উপরের অংশে দিতে হবে কোন ভাবেই যোনির ভিতরে দেওয়া যাবেনা। যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম হিসেবে আফান খবু কার্যকরী একটি ক্রিম।
বেট-সিএল ক্রিম আপনি আপনার শররীরে যেকোন স্থানে লাগাতে পারেন। আপনার যদি হাত,যোনি,পায়ের চিপাই, বগলে মুলত যে দেহের এই স্থান গুলোতে বেশি ছত্রাক জনিত চুলকানি হয় সেখানে এই ক্রিমটি লাগাতে পারেন।
বেটামেসন-সিএল ক্রিম হচ্ছে একটি ছত্রাক নাশক ক্রিম। বেটামেসন-সিএল ক্রিম শরীরের এলার্জীর কারনে লালচে দাগ পরে চুলকানি হলে ব্যবহার করা হয়। যদি আপনার যোনির পাশাপাশি দেহের অনন্য অংশে চুলকানি হয় তবে দিনে দু বার আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে পারেন।
যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
যোনি চুলকানির জন্য ঘরোয়া উপায় কি জানতে চান? যোনিপথে চুলকানি প্রতিরোধ করতে এবং ভাল যোনি স্বাস্থ্য বজায় রাখতে আপনি এখানে কিছু উপায় গ্রহন করতে পারেন-
আপনার যৌনাঙ্গ ধোয়ার জন্য হাল্কা গরম পানি এবং একটি মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
সাঁতার কাটা বা ব্যায়াম করার পরপরই ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে পোশাক খুলে ফেলুন।
সহবাস করার সময় বাধা পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
ভালভা এবং যোনি হতে মল থেকে ব্যাকটেরিয়া দূরে রাখতে সর্বদা সামনে থেকে পিছনে মুছুন।
যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া আরো কিছু উপায় আছে তা দেখে নিন এবং আপনার যোনি চুলকানি হতে ত্রাণ পান-
সাদা দই
সাদা দই ছত্রাক সংক্রমণের জন্য একটি সাধারণ ঘরোয়া ওষুধ। একটি প্রোবায়োটিক দই যোনিতে "ভাল" ব্যাকটেরিয়া বিস্তার বৃদ্ধির করে। এই ব্যাকটেরিয়া কিছু ছত্রাক মেরে ফেলতে পারে এবং আপনার যোনিকে সুস্থ রাখতে পারে।
হেলথলাইন হতে পাওয়া তথ্য মতে ২০১২ সালের পরিহ্মায় ছত্রাক সংক্রমণে ১২৯ জন গর্ভবতী মহিলাকে দেখেছে৷ গবেষকরা ৮২ জন অংশগ্রহণকারীকে দই এবং মধুর চিকিত্সা এবং ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে একটি যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম দিয়েছেন।
পরিক্ষায় দেখা গেছে যে মধু এবং দইয়ের মিশ্রণ ওষুধের চেয়ে যোনি চুলকানি সংক্রমণের চিকিত্সায় বেশি কার্যকর।যেভাবে সাদা দই ব্যবহার করবেন-
চুলকানি প্রশমিত করতে আপনি আপনার যোনিতে কিছু দই ঢুকিয়ে দিতে পারেন।
একটি প্যাড পরুন, যাতে দই আপনার কাপড়ে না পড়ে।
কোন যোগ স্বাদ বা চিনি ছাড়া প্লেইন সাদা দই ব্যবহার করুন।
আপেল সিডার ভিনেগার
আপনি যদি যোনিপথের চুলকানি থেকে রহ্মা পাওয়ার জন্য একটি উপায় খুজছেন,তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি তালিকাভুক্ত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনার যোনি চুলকানি দূর করে সাহায্য করতে পারে।
অনেকে বিশ্বাস করে যে আপনার গোসলের পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার যোগ করা ছত্রাক সংক্রমণকে কম করতে পারে। এটি ত্বকের চুলকানির জন্য একটি সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকারও বটে। আপনার গোসলের পানিতে আধা কাপ আপেল সিডার ভিনেগার যোগ করুন এবং ১০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য নিজেকে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
নারকেল তেল
২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নারকেল তেল ক্যান্ডিডা অ্যালবিকানকে মেরে ফেলতে পারে, যা ছত্রাক সংক্রমণ ঘটায়। তাছারা, এই গবেষণাটি একটি ল্যাবে করা হয়েছিল, এবং এটি মানুষের মধ্যে কাজ করে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নেই। আপনি যাভাবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন-
আপনি সরাসরি আপনার যোনিতে নারকেল তেল ঢোকাতে পারেন।
উচ্চ মানের, খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
একটি প্যাড পরুন,যাতে যোনি থেকে তেল বের হয়ে আপনার পোশাকে না লাগে।
যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর । FAQs
যোনি চুলকানি কি স্বাভাবিক?
যোনি চুলকানি খুবই সাধারণ, কিন্তু এটি একটি অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, তাই যোনি চুলকানি হতে রহ্মা পেতে জলদি একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
যোনিতে চুলকানির কারণ কী?
সংক্রমণের কারণ হতে পারে; আপনার ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজিনোসিস, একটি ছত্রাক সংক্রমণ। মেনোপজ হরমোনের পরিবর্তন, ডায়াবেটিস বা চর্ম রোগ ও অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ। অথবা ডিটারজেন্ট ও রাসায়নিক পদার্থ থেকে জ্বালা এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কাজ করতে পারে।
আমি কি চুলকানির ক্রিম যোনিতে ব্যবহার করতে পারি?
না। আপনি যেকোন ক্রিম যোনিতে ব্যবহার করতে পারেন না,শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ করা যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।
আমি কিভাবে যোনি চুলকানি ভালো করতে পারি?
চুলকানির কারনের উপর নির্ভর করে যে কিভাবে যোনি চুলকানি ভালো হবে। আপনার ডাক্তার ছত্রাক সংক্রমণের জন্য ক্রিম বা মৌখিক আকারে অ্যান্টিফাঙ্গাল জাতীয় ওষুধ লিখে দিতে পারেন। অ্যান্টিবায়োটিক মেট্রোনিডাজল ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজিনোসিসের জন্য নির্ধারিত হয়; STI-এর জন্যও অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়।
আমি কিভাবে যোনি চুলকানি বন্ধ করতে পারি?
আপনার যোনিতে বাতাস চলাচলে সাহায্য করার জন্য ঘুমানোর সময় সুতির আন্ডারওয়্যার পরুন এবং কোনও অন্তর্বাস না পড়লে আরো ভালো হয়৷ সেখানে সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন এবং যোনি এলাকায় স্প্রে বা সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না।
আমাদের আর্টিকেল উল্লেখ করা যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় অনেকাংশে কার্যকরী প্রমানিত হয়েছে। তাছারা যোনি চুলকানি দূর করার ক্রিম গুলোও ১০০% কার্যকারী হতে পারে যদি আপনি তা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করি আমাদের আর্টিকেল পড়ে আপনি আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। যোনি চুলকানি অধিক বৃদ্ধি পেলে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহন করুন। এই ধরনের তথ্য পেতে আর্টিকেলটি শেয়ার করে আমাদের পাশেই থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url