চার রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম- নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম
আপনি কি চার রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম আর কোন ১১টি সূরা যা নামাজে পড়া হয় তা অনুসন্ধান করছেন? আপনি জানেন না যে কিভাবে পড়তে হয় নামাজে সূরা? আপনার সকল দুবিধাগুলো আজ আমরা সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ।
নামাজ ছোট ছোট ভুলের কারণে সফল হতে পারেনা। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানা। নামাজ গুছিয়ে পড়ার জন্য অবশ্যই নামাজের সকল নিয়ম জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমাদের আর্টিকেল থাকছে; দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সূরা মিলানোর নিয়ম ও নামাজে কোন সূরার পর কোন সূরা পড়বেন। নামজের ১১ টি সূরা কি তা নিয়ে।
সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম
সুন্নাত নামাজ হচ্ছে দু'প্রকার; সুন্নতে গাইরে মুয়াক্কাদা ও সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর পর্যায় অনুযায়ী কোরআনের সুরা মিলাতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ১০৫ নং সুরা ফালাক প্রথম রাকাতে মিলান তবে পরের রাকাতে আপনাকে ১০৬ নং সুরা কুরাইশ পাঠ করতে হবে।
সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম হচ্ছে রাকাত শুরু করার পর কোরআনের সুরা গুলো প্রথম থেকে শেষের দিকে ক্রম অনুযায়ী পাঠ করা। আপনি সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর যে সুরা মিলাবেন,এর পর পুনারাউ দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর প্রথম রাকাতে মিলানো সুরার পরের সুরাটি পড়বেন।
নামাজে কোন সূরার পর কোন সূরা পড়বেন । নামজের ১১ টি সূরা কি?
আল-কোরআনে মোট ৩০টি পারাতে ১১৪টি সূরা রয়েছে। নামাজ পড়ার সর্ত হচ্ছে যে, নামাজে কোরআনের আয়াত বা সুরা পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করা। কিন্তু নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম আছে যেমন-তেমন করে সুরা পড়ে গেলেই হবে না। চার রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম আপনি কোরআনের ছোট সুরা গুলো পাঠ করুন।
কিন্ত নামাজে সুরা পাঠ করার কিছু নিয়ম আছে, আপনি নামজে সুরা পাঠ করবেন এর ক্রম অনুযায়ী। উপরের সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম গুলো মেনে নিচের দেওয়া মোট ১১ টি নামাজের সুরা আপনি মুখস্ত করে রাখতে পারেন।
নামজের ১১ টি সূরা
১। সূরা আল-আসর
وَالْعَصْر
إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا
"ওয়াল 'এসর-ইন্নাল ইনসানা লাফী খুসর, ইল্লাল লাযীনা আমানু ওয়া আমিলুস সালিহাতি ওয়া তাওয়াসাউ বিলহাক্বী ওয়া তাওয়াসাউ বিসাবর"
২। সূরা আল ফিল
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيل
أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
تَرْمِيهِمْ بِحِجَارَةٍ مِن سِجَيلِ
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفِ مَأْكُولٍ
"আলম তারা কাইফা ফাআলা রাব্বুকা বি আশাবিল অনুভব আলম ইয়াজআল কায়দাহুম ফি তাদলিল ওয়া আরসালা আলাইহিম তাইরান আবাবিল তরমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জিল ফাজা ‘আলাহুম কা’আসফিম মা’কুল"
৩। সূরা কুরাইশ
لإيلافِ قُرَيْش
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشَّتَاءِ وَالصَّيْفِ
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ
الَّذِي أَطْعَمَهُمْ مِنْ جُوعِ وَآمَنَهُمْ مِنْ خَوْفٍ
"লি-ইলাফী কুরাইশ ইলাফিহিম রিহলাতাশ শিতা‘ই ওয়াসাইফ ফালি‘আবুদু রব্বা হাযাল-বাইত আল্লাযী আত‘আমাহুম মিন জুইনউ-ওয়া-আমানহুম মিন খাওফ"
৪। সূরা মাউন
اروَيْتَ الَّذِي يُكَذِبُ بِالدِّينِ
فَذَلِكَ الَّذِي يَدُعُ الْيَتِيمَ
وَلَا يَحُضُ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ ،
فَوَيْلٌ لِلْمُصَلِينَ
الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
وَ الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ وَيَصْنَعُونَ الْمَاعُونَ
"আরা আই তাল-লা জি ইউকাজ্জি বু বিদ্দিন ফাযালিক আল্লা জি ইয়াদু-উল ইয়াতিম,ওয়ালা ইয়াহুযু আলা তামিল মিসকিন, ফাওয়াই লুল-লিল মুসাল্লেনে আল্লাহ জ্বীনা হুম আন ছালাতি হি সাহোন, আল্লাহ যিনা হুম ইউরাউন ওয়ায়াম নাওনাল মাওন"
৫। সূরা আল কাউসার
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
فَصَلَّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
"ইন্না আ’তাইনা কাল কাউসার ফাসাল্লি লি রাব্বিকা ওয়ানহার ইন্না শানিআকা হুওয়াল আবতার"
৬। সূরা আল কাফিরুন
قُلْ يَأَيُّهَا الْكُفِرُونَ
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
وَلَا أَنتُمْ عُبِدُونَ مَا أَعْبُدُ
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
وَلَا أَنتُمْ عُبِدُونَ مَا أَعْبُدُ
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
"কুল ইয়া-আইয়্যুহাল কাফিরুন লা আ'বুদু মা তা'আবুদুন ওয়া লা আন্তুম 'আবিদুনা মা' আ'বুদ ওয়া লাআ আনা 'আবিদুম মা' আবাতুম ওয়া লাআ আন্তুম 'আবিদুনা মাআ আ'বুদ লাকুম দ্বীনুকুম ওয়া লিয়া দ্বীন।"
৭। সূরা নাসর
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
فَسَبِّحَ كَسَهَ بِحَمْدِ رَبِّكُ بِحَمْدِ رَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَّابًا
"ইযা যাআ নাসরুল-লাহি ওয়ালফাত, ওয়া রা-আইতান নাসা ইয়াদখুলুন ফি দ্বীনিল লাহি আফওয়াজা ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস্তাগফিরহ, ইন্নাহু কানা তাওয়াবা।"
৮। সূরা লাহাব
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
كَسَبَ مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا
سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لهَبِ
حَمَّالَةَ الْحَطَبِ وَامْرَأَتُهُ
فِي جِيدِهَا حَبْلُ مِن مَّسَلِم
"তাব বাত ইয়াদা আবি লাহাবিনওয়া-ওয়া তাব্ মা আঘনা আনহু মালুহু ওয়া মা কাসাব সা ইয়াস লা নারান জাতা লাহাব ওয়াম রা-আতুহু হাম্মা লাতাল-হাতাব ফি জিদিহা হাব লুম মিম-মাসাদ।"
৯। সূরা আল ইখলাস
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
اللَّهُ الصَّمَدُ
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدُّ
"কুল হুওয়াল লাহু আহাদ আল্লাহ হুস-সামাদ লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল-লাহু কুফুওয়ান আহাদ"
১০। সূরা আল ফালাক
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
مِن شَرَ مَا خَلَقَ
وَمِن شَرِ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَوَ
النَّقْتُتِ فِي الْعُقَد مِن شَر َ
وَمِن شَرَ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
"কুল আউযু বি রব্বিল-ফালাক মিন শাররি মা খালাক ওয়া মিন শাররি গাসিকীন ইজা ওয়াকাব ওয়া মিন শাররিন-নাফ্ফা-সাতি ফিল উকাদ ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ"
১১। সূরা নাস
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
مَلِكِ النَّاسِ
إِلَهِ النَّاسِ
مِن شَرَ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
لَّذِي يُوَسْوسُ فِيصُدُورِ النَّاسِ
الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ مِنَ
"কুল আউযু বিরাব্বিন নাস মালিকিন নাস। ইলাহিন নাস, মিন শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাস আল্লাজী ইউওয়াসউইসু ফি সুদুরিন নাস মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাস"
দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সূরা মিলানোর নিয়ম
পাচ ওয়াক্ত নামাজে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আছে ফজরের ওয়াক্তে, যোহরের ওয়াক্তে,মাগরীবের ওয়াক্তে এবং এশার ওয়াক্তে। আপনি যদি নামাজ আদায়ের হ্মেত্রে নতুন হয়ে থাকেন, তবে দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সূরা মিলানোর নিয়ম না জানারই কথা। আসুন নিচে বিস্তারিত জেনে নিন দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম-
১ম রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম-
- প্রথমে "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য যোহরের নামাজের ২ রাকাত সুন্নাত আদায় করার ইচ্ছা করছি" পাঠ করে নিয়ত করুন।
- আপনি তাকবীর "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করুন।
- সানা "সুবহানাকা" পাঠ শুরু করুন
- এরপর "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা হলে কুরআনের উপরে দেওয়া যেকোন সূরা মিলান।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
২য় রাকাত সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম-
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা।
- কুরআনের যেকোন সূরা পড়া।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পরে, আপনি সম্পূর্ণ তাশশাহুদের জন্য বসবেন: আপনি আত-তাহিয়্যাত, দরুদ শারীফ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।
- প্রথমে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলুন এবং তারপর বাম দিকেও একই ভাবে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।
জোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম| জোহরের নামাজ চার রাকাত সুন্নত কিভাবে পড়তে হয়?
জোহরের চার রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করার নিয়ম হচ্ছে, সুন্নত নামাযের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর উপরের সূরা মিলিয়ে পড়বেন।
১ম রাকাত সুন্নত নামজে সূরা পড়ার নিয়ম-
- প্রথমে নিয়ত "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য যোহরের নামাজের চার রাকাত সুন্নত আদায় করার ইচ্ছা করছি" বলে নিয়ত করতে হবে।
- এর পর আপনাকে তাকবীর "আল্লাহু আকবার" বলে নামজ শুরু করতে হবে।
- "সুবহানাকা" বা সানা পাঠ শুরু করতে হবে।
- তারপর; "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"বলে সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা অব্যশক।
- এবং কুরআনের সূরা আল ফিল মিলাতে হবে।
- রুকুতে যান এবং আপনাকে বলতে হবে "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"।
- রুকু থেকে উঠে "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"।
- এবার প্রথম সেজদা থেকে বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
২য় রাকাত সুন্নত নামজে সূরা পড়ার নিয়ম-
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- এখন আবার বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা হলে সূরা কুরাইশ মিলান।
- আবার রুকুতে যান এবং বলতে হবে "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"।
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে একই "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পর আপনি তাশশাহুদে বসবেন ও আপনি শুধু আত-তাহিয়্যাত পাঠ করে উঠে দারাবে।
৩য় রাকাত সুন্নত নামজে সূরা পড়ার নিয়ম-
- আবার "সুবহানাকা" শুরু করতে হবে।
- এরপর; "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম" সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করতে হবে ও কুরআনের সূরা মাউন মিলিয়ে পড়তে হবে।
- রুকুতে যান এবং আপনি বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলবেন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি আবার ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
৪র্থ রাকাত সুন্নত নামজে সূরা পড়ার নিয়ম-
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি পুনরায় বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করুন।
- ও কুরআনের সূরা আল কাউসার মিলিয়ে পড়ুন।
- রুকুতে যান এবং ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পরে, আপনি সম্পূর্ণ তাশশাহুদের জন্য বসবেন; আপনি আত-তাহিয়্যাত, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।
- প্রথমে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলুন এবং তারপর বাম দিকে করুন মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ"বলে নামাজ শেষ করুন।
ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম
ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম একদম অন্যন্য ওয়াক্তের সুন্নত নামাজের মতোই।ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর অবশই কোরআন হতে কমপহ্মে ৩টি আয়াত পাঠ করতে হবে অন্যথায় আপনার নামাজ হবে না।
লেখকের মন্তব্যঃ চার রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম - নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম
নামাজ কায়েম করা প্রত্যেক মুসলনামের জন্য ফরজ কাজ। তাই নামজের ছোট থেকে ছোট বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা আমাদের মুসলমান হিসেবে কর্তব্য। কেননা নামাজ এমন ভাবে আদায় করতে হবে জেনে তা আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য হয়।
আশা করি আপনার আজ নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পেড়েছেন। নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আ আপনাদের জানা উচিত ছিল। আপনরা আমাদের দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করলে খবু সহজেই নামাজ পড়া শিখে যেতে পারবেন। আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করা আমাদের পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url