এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় ও এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম

এলার্জি হয় যখন আপনার দেহর এন্টিবডি গুলো এমন কোন বস্তু বা খাদ্য যা হ্মতকর না,সেগুলোকে  আপনার জন্য বিষাক্ত মনে করে সে পর্দাথের থাকে লড়াই করে। এলার্জি সাধারন হলেও এর মধ্যম মান অসস্থিকর ও তা অধিক হলে মৃত্যুর মতো ঝুকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনাদের জন্য এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় জেনে রাখা উচিত।

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় ও এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম

এলার্জি হ্মেত্র বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, এটি সাধারন বলে কোন ভাবেই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক না। আজ আপনাদেরকে এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় কি তা বিস্তারিত তথ্য দিবো। আর আপনি যদি এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম এখনো না জেনে থাকেন তবে এই আর্টিকেলের শেষেই আপনি আপনার তথ্য পেইয়ে যাবেন। 

সূচিপত্রঃ এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় ও এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম 

এলার্জি কি?

এলার্জি দেখা দেয় যখন আপনার ইমিউন সিস্টেম কোন অপরিচিত পদার্থের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়, যেমন পোকা-মাকর, মৌমাছির বিষ বা পোষা প্রাণীর চুল ও খুশকি। অথবা এমন খাবার যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।

আমাদের ইমিউন সিস্টেম অ্যান্টিবডি নামের পদার্থ দিয়ে তৈরি করে। যখন আপনার এলার্জি থাকে, তখন আপনার ইমিউন সিস্টেম অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা একটি নির্দিষ্ট এলার্জেনকে ক্ষতিকারক হিসাবে ধরে ফেলে যদিও তা হ্মতিকর না। আপনি যখন এলার্জেনের সংস্পর্শে আসবেন তখন আপনার ইমিউন সিস্টেমের লড়ায়ের কারনে তা আপনার ত্বক, সাইনাস, শ্বাসনালী বা পাচনতন্ত্রকে স্ফীত করে বা চুলকানি হয়ে ফুলে যায়।

এলার্জি কেন হয়? এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

এলার্জির প্রবণতা সবার জন্য এক নয় এবং ছোটখাটো জ্বালা থেকে শুরু করে আপনার অ্যানাফিল্যাক্সিস পর্যন্ত হতে পারে যা আপনার জীবন-হুমকির কারন হতে পারে। যদিও বেশিরভাগ এলার্জি ভালো করা যায় না,তবে এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় গুলো অনেকাংশে সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করে থেকে। আসুন দেখে নিন কেন আপনার এলার্জি হতে পারে- 
  • বায়ুবাহিত পদার্থের কারনে এলার্জি হতে পারে।
  • কিছু বিশেষ খাবারের জন্যও এলার্জি হয়। 
  • পোশুর লোমের বা খুশকির জন্যো এলার্জি হয়ে থাকে। 
  • ওষুধ এর কারনে এলার্জি হতে পারে।
  • পোকার বিষ বা হুল ফোটালে এলার্জি হতে পারে।
  • আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারনে এলার্জি হতে পারে। 

এলার্জির লক্ষণ কি?

কিছু বিশেষ খাবারের জন্যও এলার্জি হয়, যখন আপনার শরীর একটি নির্দিষ্ট খাবার কণাকে একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি ধরে ফেলে তখন খাদ্যের এলার্জির শুরু হয়। য়াপনার খাবার খাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে এলার্জির লহ্মন দেখা দেয় এবং এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়  না জানা থাকলে লক্ষণগুলো গুরুতর হতে পারে এমনকি আপনার মৃত্যু হতে পারে। কিছু বিশেষ খাবারের জন্য এলার্জির লক্ষণ কি হতে পারে নিচে দেখুন-
  • আপনার সারা শরীরে চুলকানি শুরু হবে।
  • আপনার শরীরের মাত্র একটি নির্দিষ্ট অংশে চুলকানি হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব এবং বমিও হতে পারে।
  • আপনার গলা, জিহ্বা বা মুখ সহ আপনার মুখের চারপাশে ফুলে যেতে পারে।
আপনার যদি আইজিই-মধ্যস্থ খাবারের এলার্জি থাকে, তাহলে কি আপনি এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় খুজছেন? আপনার যদি নিচের মধ্যস্থ খাবারের এলার্জি থাকে তাহলে লহ্মনগুলো অ্যানাফিল্যাক্সিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এটি সাধারণত আপনার এলার্জিযুক্ত একটি খাবার খাওয়ার ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ঘটে।

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ খাদ্য এলার্জি দেখা দেয় নিচের খাবারগুলোতে-

  • দুধ
  • ডিম
  • চিংরি মাছ
  • হাঁসের মাংশ
  • গরুর মাংশ
  • কচুর শাক
  • গম
  • সয়া
  • চিনাবাদাম
  • ঝিনুক
শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ খাদ্য এলার্জি দেখা দেয় নিচের খাবারগুলোতে-
  • দুধ
  • ডিম
  • গম
  • সয়া
  • চিনাবাদাম
এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম

বায়ুবাহিত পদার্থের কারনে এলার্জি হতে পারে । এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

বায়ুবাহিত পদার্থের কারনে এলার্জি হতে পারে কারন, অনেক সময় বাতাসে বায়ুবাহিত পদার্থ থাকে যা আপনি শ্বাস নেন, তারা এলার্জেন অন্তর্ভুক্ত করে যা আপনাকে সারা বছর ধরে আয়ত্ত্য করতে পারে যাকে বহুবর্ষজীবী এলার্জেন এবং মৌসুমী এলার্জেন বলা হয়। বায়ুবাহিত এলার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • সর্দি
  • বন্ধ নাক
  • নাক চুলকানো
  • হাঁচি হওয়া
  • চোখ চুলকানো
  • চোখ দিয়ে পানি পড়া
আপনার যদি এজমা বা হাঁপানি থাকে তাহলে বায়ুবাহিত এলার্জি আপনার উপরে দিওয়া লক্ষণগুলো আরো খারাপ করতে পারে, যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট রয়েছে।

ওষুধ এর কারনে এলার্জি হতে পারেঃ কিছু ওষুধ এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যা উক্ত ওষুধগুলোর ভেষজ এর কারনে  হয়, এলার্জি সৃষ্টিকারী সেই ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে-

কারন

  • অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া
  • ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (NSAIDs)
  • ইনসুলিন।
  • কেমোথেরাপি ওষুধ
লহ্মন
  • ত্বকে ফুসকুড়ি
  • ব্যাথা
  • চুলকানি
  • শ্বাস নিতে দুর্বলতা
  • ফুলে যাওয়া


পোকার বিষ বা হুল ফোটালে এলার্জি হতে পারেঃ পোকা-মাকড় কামড়ালে বা হুল ফোটাতে পারে যার ,মধ্যে বিষাক্ত পদার্ থাকে। পোকার কামড়ে থাকা বিষ এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী সবচেয়ে সাধারণ পোকাগুলো হচ্ছে-

কারন
  • মৌমাছিজোনাকি
  • বিষ পিঁপড়া
  • লাল পিঁপড়া
  • আচা পোকা
  • গান্ধী পোকা
  • ভোমর
  • তেলাপোকা
লহ্মন
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
  • কামড়ানোর জায়গাই ব্যাথা
  • ঠোট, মুখ বা গলা ফুলে যাওয়া।
  • ঘ্রাণ না পাওয়া
  • গিলতে অসুবিধা
  • হৃদপিন্ড দ্রুত পাম্প হওয়া
  • মাথা ঘুরে যাওয়া
  • রক্তচাপ কমে যাওয়া

সর্দি ও এলার্জির মধ্যে পার্থক্য কি?

সর্দি বা ঠান্ডা সংক্রামক উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটে। ভাইরাস হচ্ছে সর্দি ও ঠান্ডা লাগার কারণ। অন্যদিকে এলার্জি হলো এলার্জেনের প্রতি আপনার ইমিউন সিস্টেমের লড়াই বা প্রতিক্রিয়া। কিন্তু এখানে ভাইরাস এলার্জেন ননা।

তাই সর্দি বা ঠান্ডা লাগা ও এলার্জির অনেক উপসর্গ একই রকম হয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে হাঁচি, সর্দি, কাশি এবং বন্ধ নাখ। তাছারা, সর্দির লক্ষণ এবং এলার্জি লক্ষণ এর মধ্যে পার্থক্য আছে।

এলার্জি সর্দি
১। আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তবে আপনার কফ সাধারণত পরিষ্কার এবং পানিযুক্ত থাকবে। ১। আপনার সর্দি হলে, আপনার কফ সাধারণত ঘন এবং বিবর্ণ হলুদ বা সবুজ হয়।
২। আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তবে আপনার চোখ চুলকাবে,পানিযুক্ত বা লাল হতে পারে। ২। আপনার সর্দি হলে এই লক্ষণগুলো সাধারণত হয় না,তবে চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে।
৩। চিকিত্সা ছাড়া, অ্যালার্জির লক্ষণ কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে যতক্ষণ না আপনি আর এলার্জেনের কাছাকাছি না থাকেন। ৩। সর্দির লক্ষণ সাধারণত প্রায় ১০ দিন পরে চলে যায়।

মৌসুমী এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে কতদিন সময় লাগে?

মৌসুমী এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে কতদিন সময় লাগে না জিজ্ঞেসা করে আপনার এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় জেনতে হবে। কেননা তা জানা থাকলে আপনি যেকোন সময় এলার্জি হতে রহ্মা পেতে পারেন। 

মৌসুমী এলার্জি শুরু হয় মার্চ মাস থেকে ও শেষ হয় গরমকালে,আবার আগস্ট মাসের শেষে বর্ষাকাল থেকে শুরু করে শেষ হয় বসন্তকালে। মৌসুমী এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে আপনার প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে। তাছারা কিছু বিশেষ এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে আপনার ২ থেকে ৩ সপ্তাহও লাহতে পারে।

মৌসুমী এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম জেনে নিয়ে তা ডাক্তারের পরামর্শ মতাবেক গ্রহন করতে পারেন। এছারা আপনি মৌসুমী এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে নিচের চিকিৎসাগুলো নিতে পারেন-
  • অ্যান্টিহিস্টামাইন
  • স্টেরয়েড ট্যাবলেট 
  • স্টেরয়েড ক্রিম
  • অ্যাড্রেনালিন অটো-ইনজেক্টর
  • এপিপেন নামে জরুরি ওষুধ

এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে কি হয়? এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

কিছু মানুষের হ্মেত্রে একটি  বা একাধিক খাবারে এলার্জির প্রতিক্রিয়া অস্বস্তিকর হতে পারে তবে গুরুতর হয় না। আবার অন্যান্য মানুষের জন্য একটি এলার্জিজনিত খাদ্য প্রতিক্রিয়া ভয়ংকর এবং এমনকি জীবন-হুমকি কারণও হতে পারে।  


এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে এর লক্ষণ সাধারণত আপত্তিকর খাবার খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে দেখা দেয়।

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় এর ভিডিও দেখুন

বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে রাখুন, কেননা বাচ্চারা খুব সংবেনশীল হয় তাই তাদের একটু অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া দেখে নিন-
  • বাড়িতে বিশেষ করে আপনার সন্তানের শোবার ঘরের ধুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
  • বেশি গরমে জানালা খোলার পরিবর্তে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
  • বাড়ির স্যাঁতসেঁতে জায়গায় একটি ডিহিউমিডিফায়ার রাখুন।
  • এলার্জির মূল কারণের চিকিৎসা তারাতারি করুন।
  • বাচ্চাদের মৌসুমি অ্যালার্জির জন্য বেশি বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • বাসায় একটি পরাগ-মুক্ত আবহাওয়া তৈরি করুন।
  • কোয়ারসেটিনযুক্ত খাবারগুলো বেশি খেতে দিন।
  • বাচ্চার এলার্জি দ্রুত দূর করার জন্য লবন পানি বা স্যালাইন ব্যবহার করুন।

এলার্জি চুলকানি দূর করার চিকিৎসা। এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম

আপনি যদি এলার্জি চুলকানি দূর করার চিকিৎসা পাওয়ার জন্য একটি উপায় খুজছেন,তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি তালিকাভুক্ত নিচের চিকিৎসা গুলো আপনার এলার্জি চুলকানি দূর করার জন্য সাহায্য করতে পারে। 
  • এলোভেরা জেল ব্যবহার করু।
  • ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করার জন্য বেশই বেশি পানি পান করুন।
  • ত্বকে একটি উচ্চ মানের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা এবং এটি প্রতিদিন অন্তত একবার বা দুবার প্রয়োগ করা আপনার জন্য ভালো।
  • নারকেল তেল এলার্জির জন্য বেশ কাররকরী। 
  • আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন।
  • এলার্জির জায়গাই একটি ঠান্ডা বা শীতল ভেজা কাপর রাখুন।
  • এলার্জি দূর করার জন্য একটি অ্যান্টি-ইচ ক্রিম ব্যবহার করুন, যেমন নন-প্রেসক্রিপশন হাইড্রোকোর্টিসোন ক্রিম যা নিচে দেওয়া আছে।

এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম যা আপনার জানা জরুরী । এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

অ্যালসেট ৫ এম জি ট্যাবলেট (Alcet 5 MG Tablet)

চোখে পানি যা সাধারণত সমস্ত বছরের বৃত্তের পাশাপাশি মৌসুনি এলার্জি গুলোর সাথে সম্পর্কিত। এই ওষধটি এলার্জি প্রতিক্রিয়া ও লক্ষণ আপনি মুক্তি। এই ওষুধ মুখে খাওয়া দরকার এবং ট্যাবলেট সমাধান হিসাবে পাওয়া যায়। অ্যালসেট ৫ এম জি ট্যাবলেট একটি পাতায় ১০টি ওষুধ থাকে এবং প্রতি পিচ ৪.৫০টা।

বেট-সিএল ক্রিম (Bet CI)

বেট-সিএল ক্রিম দিয়ে এলার্জি চুলকানি দূর করার চিকিৎসা করা হয়। আপনি আপনার শররীরে যেকোন স্থানে লাগাতে পারেন, যেখানে আপনার এলার্জির লহ্মন দেখা দেয়। আপনার যদি হাত,যোনি,পায়ের চিপাই, বগলে মুলত যে দেহের এই স্থান গুলোতে বেশি ছত্রাক জনিত চুলকানি হয় সেখানে এই ক্রিমটি লাগাতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ 

বেটামেসন-সিএল ক্রিম (Betameson-CL cream)

বেটামেসন-সিএল ক্রিম হচ্ছে একটি ছত্রাক নাশক ক্রিম। বেটামেসন-সিএল ক্রিম শরীরের এলার্জীর কারনে লালচে দাগ পরে চুলকানি হলে ব্যবহার করা হয়। যদি আপনার যোনির পাশাপাশি দেহের অনন্য অংশে চুলকানি হয় তবে দিনে দু বার আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে পারেন।   

হঠাৎ এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

বেকিং সোডা হচ্ছে হঠাৎ এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম, বেকিং সোডা ত্বকের pH ভারসাম্যহীনতা দূর করতে পারে এবং আপনার ত্বকের এলার্জি ভালো করতে ও প্রদাহ-বিরোধী হিসেবে কাজ করে থাকে।

আসুন দেখে নিন আপনি কিভাবে বেকিং সোডা মিশ্রন তৈরি করবেন-

  • একসাথে ৪ টেবিল চামচ মেশান ও  বেকিং সোডা এবং ১২ চামচ নিয়ে পানিতে মিশান যতক্ষণ না এটি একটি পেস্ট তৈরি করে।
  • চুলকানি জায়গায় মিশ্রণটি লাগান।
  • ৮-১০ মিনিটের পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন।

চর্ম এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় । এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

আপেল সিডার ভিনেগার 

আপনি যদি চুলকানি বা চর্ম এলার্জি থেকে রহ্মা পাওয়ার জন্য একটি উপায় খুজছেন,তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি তালিকাভুক্ত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনার চুলকানি বা চর্ম এলার্জি দূর করে সাহায্য করতে পারে। 

অনেকে বিশ্বাস করে যে আপনার গোসলের পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার যোগ করা ছত্রাক সংক্রমণকে কম করতে পারে। এটি ত্বকের চুলকানির জন্য একটি সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকারও বটে। আপনার গোসলের পানিতে আধা কাপ আপেল সিডার ভিনেগার যোগ করুন এবং ১০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য নিজেকে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

নারকেল তেল

২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নারকেল তেল ক্যান্ডিডা অ্যালবিকানকে মেরে ফেলতে পারে, যা ছত্রাক সংক্রমণ ঘটায়। তাছারা, এই গবেষণাটি একটি ল্যাবে করা হয়েছিল, এবং এটি মানুষের মধ্যে কাজ করে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নেই। আপনি যাভাবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন-
  • আপনি সরাসরি নারকেল তেল এলার্জিতে পারেন।
  • উচ্চ মানের, খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

অলিভ অয়েল

অতিরিক্ত ভার্জিন অলিভ অয়েল একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, এলার্জির সমস্যাগুলোর পরে ত্বক নিরাময় এবং মেরামত করতে এবং চুলকানি কমাতে সহায়তা করে।  রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের তুলনায় এই প্রতিকারটি সবচেয়ে ভাল।

চোখের এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

চোখের এলার্জিকে বলা হয়ে থাকে এলার্জিক কনজাক্টিভিটিস, এটি চোখের সাধারন একটি অবস্থা। আসুন জেনে নিন চোখের এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় গুলো কি কি-
  • চোখের এলার্জি চুলকানি দূর করতে স্যালাইন পানি বা লবন পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
  • চোখের এলার্জি চুলকানি দূর করতে ডাক্তারের পরামর্শ করা চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।
  • চোখের এলার্জি চুলকানি দূর করতে ডাক্তারের পরামর্শ স্টেরয়েড ট্যাবলেট গ্রহন করুন।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়। এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

আমাদের দেহে প্রত্যেকের রক্তে কিছু IgE আছে। কিন্তু উচ্চ মাত্রা IgE, এলার্জির কারন হতে পারে। এলার্জির রক্ত ​​পরীক্ষা দেহে এলার্জির তীব্রতা নির্দেশ করে না। তাই আপনার যদি এলার্জি থাকে, তাবে অ্যানাফিল্যাক্সিসের ঝুঁকি সম্পর্কে আপনি একজন চর্ম ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। 

আপনার যদি রক্তে এলার্জি থাকে, তাহলে আপনাকে সর্বদা আপনার সাথে একটি জরুরি এপিনেফ্রিন ইনজেকশন বহন করতে হতে পারে।

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর । FAQs

চুলকানির কারণ কি?

আমাদের দেহে উচ্চমাত্রায় রক্তে IgE.তাছারা, এলার্জি হয় যখন আপনার দেহর এন্টিবডি হরমনের সাথে লড়াই করে সেজন্য।

মুখ চুলকায় কিন্তু ফুসকুড়ি হয় না কেন?

এটি একটি এলার্জি যা আপনার রক্তের মধ্যে হয়ে থাকে, তাই আপনার মুখ চুলানোর পরেও কোন ফুসকুড়ি হয় না।

গোসলের পর চুলকানির কারণ কি?

স্যাঁতস্যাঁতে শরীরে ছত্রাক আক্রমণ করে খুব সহজেই,তাই গোসলের পর দেহ ভিজা থাকে যার কারনে চুলকানি হয়।

চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম কি?

চুলকানির জন্য সবচেয়ে ব্যবহারিত চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম; অ্যালসেট ৫ এম জি ট্যাবলেট।

এলার্জির ঔষধ দিনে ২ বার খাওয়া যাবে কি?

এলার্জির ঔষধ দিনে ২ বার খাওয়া যাবে কিনা তা নির্ভর করে আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিশনের উপর এবং আপনার চুলকানি কতোটা জরুরী অবস্থায় তার উপর।

লেখকের মন্তব্যঃ এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় ও এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম 

আশা করি আজকের এই পোস্টটি পরে আপনি এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় ও এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকেরি এই পোস্টটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তবে অবশ্যই পোস্টটি সবার সঙ্গে শেয়ার  করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ অব্দি পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 🥰 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url