এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ত এবং নিয়ম হাদিসসহ
এশার নামাজ কয় রাকাত এটি নিয়ে অনেকেই লেখালেখি করেছেন। বেশির ভাগ মানুষ এশার নামাজ ৯ রাকাত আদায় করে থাকেন। কিন্ত আসলেই এশার নামাজ কি ৯ রাকাত? এটি নিয়ে অনেকেই অনলাইনে খুজাখুজি করছেন।
এশার নামাজ কত রাকাত ও কি কি তা জেনে আপনি সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে পারনে। আজকের আর্টিকেলে থাকছে আপনি এশার নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়বেন, এশার নামাজের শেষ সময় কখন আরো বিস্তারিত তথ্য।
সূচিপত্রঃ এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ত এবং নিয়ম হাদিসসহ
এশার নামাজ
عَنْ عُثْمَانِ بْنِ عَفَّانَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمٍ، يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فَمَاعَ فَيَامِ جَمَاعَةِ الْعِشَاءَ فَيْرَ ْفَ اللَّيْلِ
এশার নামাজের শেষ সময় কখন ?
এশার নামাজ কয় রাকাত কি কি?
এশার নামাজ ১৭ রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?
- তাই প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নাত আদায় করুন, মাঝে মাঝে এই সুন্নাত নামজ ছেড়ে দিলে কোন পাপ নেই, আর সুন্নত নামাযের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা মিলিয়ে পড়বেন।
- এর পর ৪ রাকাত ফরজ, এবং আপনি এটাও সূরা ফাতিহার পর ফরজের প্রথম রাকাতে সূরা মিলিয়ে পড়বেন এবং শেষ দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়বেন।
- এরপর ২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায় করতে হবে এবং তা ত্যাগ করা জায়েয নয়, কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো এই সুল্লাত নামাজ বাদ দেননি।
- তার পর ২ রাকাত নফল নামাজ সুন্নাত নামাজের মতো করেই সূরা মিলিয়ে পরবেন। এই নফল নামাজ না পড়লেও চলে, তবে পড়লে নেকি বেশি।
- ৩ রাকাত বিতরের পর ফরজের মতো ছেড়ে দেওয়া যায় না,আর বিতরের প্রতিটি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা মিলিয়ে পড়বেন এবং তৃতীয় রাকাতে রুকুর আগে সূরা পড়ার পর দুআয়ে কুনূত পড়বেন,তারপর রুকু করবেন। এবং সাজদাইয় জাবেন তারপর সালাম করুন।
- ৩ রাকাত বিতরের নামাজের পর আবার ২ রাকাত নফল নামাজ পরবেন। আপনি চাইলে নফল বাদ দিতে পারেন এতে কোন গুন্নাহ নেয়।
এশার সুন্নাত কত রাকাত?
এশার নামাজের নিয়ত কি ?
এশার নামাজের নিয়ত ৪ রাকাত সুন্নাত
এশার নামাজের নিয়ত ৪ রাকাত ফরজ
এশার নামাজের নিয়ত ২ রাকাত সুন্নাত
এশার নামাজের নিয়ত ২ রাকাত নফল
এশার নামাজের নিয়ত বাংলায়
- এশার নামাজের নিয়ত বাংলায় ৪ রাকাত সুন্নাতের জন্যঃ"আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য এশার নামাজের চার রাকাত সুন্নাত আদায় করার ইচ্ছা করছি"।
- এশার নামাজের নিয়ত বাংলায় ৪ রাকাত ফরজের জন্যঃ "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ আদায় করার ইচ্ছা করছি"।
- এশার নামাজের নিয়ত বাংলায় ২ রাকাত সুন্নাতের জন্যঃ"আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য এশার নামাজের ২ রাকাত সুন্নাত আদায় করার ইচ্ছা করছি"।
- এশার নামাজের নিয়ত বাংলায় ২ রাকাত নফলের জন্যঃ"আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য এশার নামাজের ২ রাকাত নফল আদায় করার ইচ্ছা করছি"।
- এশার নামাজের নিয়ত বাংলায় ৩ রাকাত বিতরের জন্যঃ "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য বিতর নামাজের ৩ রাকাত ওয়াজিব আদায় করার ইচ্ছা করছি"
এশার নামাজের বিতরের নিয়ত
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالَى ثََلَثَ رَكَعَاتِ صَلَوةِ الْوِتْرِِ وَاجِبُ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا جَعَكَيْةِ جَلَيْةِ اِلْهِ َةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
এশার নামাজের বিতরের নিয়ত বাংলা
এশার নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয় | এশার নামাজের নিয়ম কি ?
এশার নামাজের ৪ রাকাত সুন্নাতের নিয়ম কি ?
১ম রাকাত সুন্নাত নামজ পড়ার নিয়ম-
- প্রথমে নিয়ত "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য এশার নামাজের চার রাকাত সুন্নাত আদায় করার ইচ্ছা করছি" বলে নিয়ত করতে হবে।
- এর পর আপনাকে তাকবীর "আল্লাহু আকবার" বলে নামজ শুরু করতে হবে।
- "সুবহানাকা" বা সানা পাঠ শুরু করতে হবে।
- তারপর; "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"বলে সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা অব্যশক।
- এবং কুরআনের আরেকটি সূরা মিলাতে হবে।
- রুকুতে যান এবং আপনাকে বলতে হবে "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"।
- রুকু থেকে উঠে "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"।
- এবার প্রথম সেজদা থেকে বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- এখন আবার বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা হলে কুরআনের আরেকটি সূরা মিলান।
- আবার রুকুতে যান এবং বলতে হবে "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"।
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে একই "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পর আপনি তাশশাহুদে বসবেন ও আপনি শুধু আত-তাহিয়্যাত পাঠ করে উঠে দারাবে।
- আবার "সুবহানাকা" শুরু করতে হবে।
- এরপর; "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম" সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করতে হবে ও কুরআনের আরেকটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
- রুকুতে যান এবং আপনি বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলবেন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি আবার ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি পুনরায় বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করুন।
- ও কুরআনের অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ুন।
- রুকুতে যান এবং ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পরে, আপনি সম্পূর্ণ তাশশাহুদের জন্য বসবেন; আপনি আত-তাহিয়্যাত, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।
- প্রথমে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলুন এবং তারপর বাম দিকে করুন মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ"বলে নামাজ শেষ করুন।
এশার নামাজের ৪ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ম কি ?
- প্রথমে "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ আদায় করার ইচ্ছা করছি" পাঠ করে নিয়্ত করুন।
- আপনি তাকবীর "আল্লাহু আকবার" বলুন এতে নামাজ শুরু হয়।
- "সুবহানাকা" বা সানা পাঠ শুরু করুন
- সানা পাঠ করার পর; "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম" পড়ুন।
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করে কুরআনের আরেকটি সূরা মিলান।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা কুরআনের যেকোন সূরা মিলান।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পর আপনি তাশশাহুদের জন্য বসুন এবং আপনি শুধু আত-তাহিয়্যাত পাঠ করুন।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা এহ্মেত্রে কোন সূরা আর মিলানো লাগবে না।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- শুধু সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করেন।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পরে, আপনি সম্পূর্ণ তাশশাহুদের জন্য বসবেন; আপনি আত-তাহিয়্যাত, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।
- প্রথমে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলুন এবং তারপর বাম দিকে ঘুরে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলে নামাজ শেষ করুন।
এশার নামাজের ২ রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ম কি ?
- প্রথমে "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য এশার নামাজের ২ রাকাত সুন্নাত আদায় করার ইচ্ছা করছি" পাঠ করে নিয়ত করুন।
- আপনি তাকবীর "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করুন।
- সানা "সুবহানাকা" পাঠ শুরু করুন
- এরপর "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা হলে কুরআনের যেকোন সূরা মিলান।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা।
- কুরআনের আরেকটি সূরা পড়া।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পরে, আপনি সম্পূর্ণ তাশশাহুদের জন্য বসবেন: আপনি আত-তাহিয়্যাত, দরুদ শারীফ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।
- প্রথমে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলুন এবং তারপর বাম দিকেও একই ভাবে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।
এশার নামাজের ৩ রাকাত বিতর নামাজের নিয়ম কি ?
- প্রথমে "আমি কেবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য বিতর নামাজের ৩ রাকাত ওয়াজিব আদায় করার ইচ্ছা করছি" পাঠ করে নিয়ত করুন।
- আপনি তাকবীর "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করুন।
- সানা "সুবহানাকা" পাঠ শুরু করুন
- এরপর "আউদু বিল্লাহি মিন-আশ-শাইতা-নির-রাজিম বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা হলে কুরআনের যেকোন সূরা মিলান।
- রুকুতে যান এবং আপনি ৩বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩ বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)।
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- এখন আবার বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা হলে কুরআনের আরেকটি সূরা মিলান।
- আবার রুকুতে যান এবং বলতে হবে "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"।
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে একই "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পর আপনি তাশশাহুদে বসবেন ও আপনি শুধু আত-তাহিয়্যাত পাঠ করে উঠে দারাবে।
- পরবর্তী রাকাআতে যাওয়ার জন্য উঠুন,
- আপনি বলুন "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম"
- সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করা।
- কুরআনের আরেকটি সূরা পড়া।
- এরপর হাত ছেড়ে দিয়ে আবার তাকবীর "আল্লাহু আকবর" বলে হাত বাধতে হবে।
- তারপর "বিসমিল্লাহ-ইর-রহমান-ইর-রহীম" বলে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হবে।
- এবং রুকুতে যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম"
- "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং নিচু স্বরে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলুন।
- ১ম সেজদায় গিয়ে আপনি ৩বার বলবেন "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা"
- এবার প্রথম সেজদা থেকে জলসা অবস্থায় বসুন (দুই সাজদার মাঝখানে বসার অবস্থান)
- এখন ২য় সেজদায় যান এবং আপনি ৩ বার বলুন "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা"।
- এর পরে, আপনি সম্পূর্ণ তাশশাহুদের জন্য বসবেন: আপনি আত-তাহিয়্যাত, দরুদ শারীফ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।
- প্রথমে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলুন এবং তারপর বাম দিকেও একই ভাবে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।
এশার নামাজ পড়ার বিস্তারিত নিয়ম দেখুন ভিডিওতে
এশার নামাজের ফজিলত ও হাদিস
এশার নামাজের ফজিলত
- এশার নামায পড়লে অর্ধেক রাত আল্লাহর ইবাদত করার সওয়াব দিবেন। এটা আপনার জন্য একটি মহান রহ্মত। তাই এশার নামাজ যেন কখনো মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- এশার নামাযের পর বেশি বেশি দুআ করার চেষ্টা করুন, আল্লাহ দোয়া শুনবেন এবং আপনার উপর বরকত বর্ষণ করবেন।
- আপনি যদি ঘুমানোর আগে নামায পড়েন তবে আপনার রাতটি আরও শান্তিপূর্ণ হবে। তাই এশার নামাজ নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url