মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব - রোজার ফজিলত সম্পর্কে ৯টি হাদিস


মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। আমরা আপনাদের জন্য রোজার ফজিলত সম্পর্কে ৯টি হাদিস নিয়ে এসেছি, যার থেকে আপনি জানতে পারবেন যে রমজানের রোজার গুরুত্ব কতোটা। 

মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন

তাছারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারেবেন রমজানের ৬টি মাসআলা কি কি? রোজার ফজিলত সম্পর্কে আয়াত ও রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদীসের বর্ণনা। 

সূচিপত্রঃমাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব - রোজার ফজিলত সম্পর্কে ৯টি হাদিস

রমজানের ৬টি মাসআলা। মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব

রমজানের মাসালা গুলো জমা রাখা থাকলে আপনারা সুষ্ঠুভাবে রমজানের রোজা গুলো পালন করতে পারেন। এবং রোজার আদব-কায়দা গুলো মেনে রোজা না করলে রোজা সওয়াব পাওয়া যায় না। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক রমজানের রোজা সম্পর্কিত ছয়টি মাসআলা-

রমজানের ৬টি মাসআলা

১.যদি রাত হতে রমজানের রোজা নিয়ত করা হয়,তবে রোজার  ফরজ আদায় হবে।আর যদি রাত্রে রোজা রাখার নিয়ত ছিল না বরং ভোর হয়ে গেল তবুও এই খেয়াল থাকলে যে আজ রোজা রাখব না। অর্থাৎ বেলা হয়ে গেলে দেখা গেল যে রোজা ফরজ ছেড়ে দেওয়া অন্যায় হবে।

তাই যদি সে সময় আপনি নিয়ত করেন তবুও রোজা হয়ে যাবে। আর যদি সকালে কিছু পানাহার করে থাকে,তবে এখন আপনি যদি নিয়ত করেন তাতেও আপনার রোজা হবে না।

২.যদি কিছু পানাহার বা খাদ্য গ্রহণ না করে থাকেন,তবে দিনের বেলা অর্থাৎ দুপুর হওয়ার এক ঘন্টা আগ পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করা দুরস্ত আছে। 

৩.রমজান শরীফে যদি ফরজ রোজা বলে নিয়ত নাও করা হয় শুধু নিয়ত করে যদি থাকেন আপনি তাহলে আপনার রোজা হবে। অর্থাৎ ধরেন আপনি রাতে মনে মনে করলেন যে আপনি আগামীকাল রোজা রাখবেন,তা তবে তাতে আপনার রোজার নিয়ত হয়ে যাবে। 

৪.যদি কেউ রমজান শরীফে ফরজ রোজা না আর রেখে নফল রোজার নিয়ত করবে এবং মনে মনে করবে যেন নফল রোজা এখন করে নিই এবং রমজানে রোজা গুলো পরে কাজা উঠিয়ে নিব। সেক্ষেত্রে তাও সে ব্যক্তি রমজানের ফরজ রোজা আদায় হয়ে যাবে নফল হবে না।
 
৫.গত রমজানে যদি কোন কারণে ছুটে যায় এবং সারা বছর কাজা রোজা রাখেনি,এখন রমজান মাস এসে পড়েছে;তবে যদি সেই ব্যক্তি এই রমজানে গত রমজানের কাজা রোজার নিয়ত করে তবুও এই রমজানের রোজা হবে,কিন্ত গত রমজানের কাজা রোজা হবে না। সে রোজা গুলো রমজানের পর কাজা পালন করতে হবে।

৬.যদি এমন হয় যে কেউ মান্নত করেছে যে,আমার অমুক কাজ হয়ে গেলে আমি আল্লাহর নামে দুটি বা একটি রোজা থাকবো, তারপর তার সে চাওয়া বা মান্নত পূর্ণ হয়েছে কিন্তু মান্নতের রোজা রাখেনি। এখন রমজানে এসে গেছে তখন ওই রোজা রাখতে ইচ্ছা করলো,

তখন যদি মান হতো রোজার নিয়ত করে রমজানের রোজার নিয়ত না করে তবুও রমজানের রোজায় আদায়  হবে,মান্নতের রোজা হবে না মান্নাতে রোজা রমজানের পর রাখতে হবে। 


উক্ত মাসআলা দারা বোঝা যাচ্ছে যে,রমজান মাসে যে কোন রোজার নিয়ত করা হোক না কেন,তার রমজানে রোজা হিসেবে গণ্য হবে অন্য কোন নফল বা সুন্নত রোজা হিসেবে গণ্য হবে না।

রোজার ফজিলত সম্পর্কে আয়াত। মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব

রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব মধ্যে সবচেয়ে বড় ফজিলত হচ্ছে যে, রমজানের প্রথম রাত্রেই যখন আসে তখনই আসমানের সমস্ত দরজা খুলে দেয়া হয় এবং রমজানের শেষ রাতে পর্যন্ত ঐ সকল দরজা খোলা থাকে শুধুমাত্র মুমিন বান্দাদের নেক আমল ওঠাবার জন্য এবং তাদের ওপর রহমত নাযিল করবার জন্য ওই সকল দরজা খোলা রাখা হয়। 

আর যদি রমজান শরীফের রাত্রে কোন মুমিন বান্দা খাঁটি ভাবে পবিত্রতার সাথে কিছু নফল নামাজ আদায় করল, তাকে প্রত্যেক রাকাতের পরিবর্তে তার সওয়াব আড়াই হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং তার জন্য ফেরেশতারা লালমনি মুক্তা দ্বারা এমন একটা অট্টালিকা নির্মাণ করবে যার ৬০টি দরজা হবে এবং প্রত্যেক দরজার সামনে লাল মুখটা দ্বারা সুসজ্জিত একটি স্বর্ণের কামরা থাকবে।

তাছাড়া যে ব্যক্তি রমজান মাসে প্রথম রাত্রে খাঁটি ভাবে রোজা রাখবে তার গত রমজানের তারিখ হতে এই রমজান পর্যন্ত যত সগিরা গুনাহ আছে মাফ হয়ে যাবে। এবং আল্লাহর নিকট মাগফিরাত চাই চাওয়ার জন্য প্রত্যয়েও ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করা হবে। যে ফেরেশতাগুলো তার জন্য ফজরের নামাজের পর হতে সূর্য পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে।

রোজার ফজিলত সম্পর্কে আয়াত

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ۙ

অর্থঃ- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী মানুষের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে সহ্মম হও। (সূরা আল বাকারাঃ ১৮৩)

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَمَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَلَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَلِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَلِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَلَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ

অর্থঃ রমজান মাসই হচ্ছে সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ চালনাকারীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদীস।রোজার ফজিলত সম্পর্কে ৯টি হাদিস

وفي حديث عن فضائل الصيام قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "نوم الصائم يعدل عبادة، وصمته تعدل تجبي، وله أجر كثير". "رمضان ينتظر أوقاتا أخرى في قليل من العبادة، ثم تقبل صلاته، وتغفر ذنوبه، وهذا هو السبب الوحيد للصيام." بركات كل هذه الفضائل من بركات الصيام.

১। রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস এ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ফরমিয়েছেন,"রোজাদারদের নিদ্রা ইবাদতের সমতুল্য। তার চুপ থাকা তজবি পড়ার সমতুল্য সে সামান্য ইবাদাতে অন্য সময় অপেক্ষায় রমজানের অনেক সোয়াবের অধিকারী হয়। তাছাড়া তার দোয়া কবুল হয় এবং গুনাহ মাফ হয়। আর এর একমাত্র কারণ রোজার বরকত রোজার বরকতের কারণে এই সকল ফজিলত পাওয়া যায়। -বায়হাকী 

قال النبي صلى الله عليه وسلم: «الصيام مثل الدرع والسور المتين الذي يقي من النار، أي كما يوجد الدرع والسور المبني يقيه من هجوم العدو، وكذلك يصوم الإنسان وفق أحكام الشرع ليتقي نفسه من نار جهنم.  -الطائرات

২। মহানবি (সাঃ) বলেছেন," দোজখের আগুন হতে বাদ যাবার জন্য রোজার ঢাল এবং সুদৃঢ় প্রস্তর প্রাচীর স্বরূপ।অর্থাৎ ঢাল ও শুদীয় প্রস্তুত প্রাচীরের আশ্রয়ী যেমন শত্রুর আক্রমণ হতে রক্ষা করার পাওয়া যায় ,ঠিক সেরকমই মানুষ শরীয়তের নিয়ম মত রোজা রাখলে দোযখের আগুন হতে আত্মরক্ষা করতে পারে।" -বায়হাকী 

এর ফলে মানুষের গোনার প্রাবল্য হ্রাস পায় এবং নেকীর উচ্চবৃদ্ধি পায় কাজেই নেব অনুযায়ী রোজা রাখলে এবং সূক্ষ্মভাবে রোজার আদব রক্ষা করলে গুনাহ হ্রাস পায় এবং দোজখ হতে নাজাত পাওয়া যায়। 

«الصوم جنة للصائم حتى يفسده الصائم بالكذب والغيبة».

৩। রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে আরও এসেছে,"রোজা রোজাদারদের জন্য ঢালস রূপ যে পর্যন্ত রোজাদাররা মিথ্যা এবং গীবত দ্বারা তা নষ্ট করে না ফেলে।"


এর মানে হচ্ছে রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলা, গীবত করা, কটু বাক্য বলা,ঝগড়া-কোলাহল করা, গালিগালাজ করা এবং অন্যান্য সকল প্রকার পাপ হতে বিরত না থাকলে নিয়ম অনুযায়ী রোজা হবে না। রোজা তো হবেই না বরং‌ বড় গুনাহ হবে এবং রোজার বরকত থেকে বঞ্চিত থাকবে সে ব্যক্তি। -তাবরাণী

"الصوم رأس جهنم" معناه أن الصائم لا ينبغي له أن يرفث ولا يتكلم كالجاهلين.  ومن جاهله فلا ينبغي له أن يعامله بنفس الطريقة في كل رد، بل يقول: إني صائم في سبيل الله.

৪। হাদিস শরীফে বলা হয়েছে যে,"রোজার জাহান্নামের ঢাল শুরু।"অর্থাৎ যে রোজা রাখবে জাহেলদের ন্যায় অশ্লীল কোন কাজ করা বা কথা বলা তার উচিত না। যদি অন্য কেউ তার সাথে জাহেলদের ন্যায় অসভ্য ব্যবহার করে তবে,প্রতি উত্তরে তার অনুরূপ ব্যবহার করা সে ব্যক্তির উচিত হবে না বরং বলা উচিত হবে "আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রোজা রেখেছি।"

وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «والذي نفسي بيده لأعلمن أن لريح فم الصائم أحب إلى الله وأحب إليه». الله من مش." - النسائي

৫। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেছেন,"আমি সেই মহান আল্লাহর কসম করে বলছি,যার হাতে আমার প্রাণ,নিশ্চয়ই জানিও আল্লাহর নিকট রোজাদারদের মুখের গন্ধ মেশক অপেক্ষা অধিক প্রিয় ও মূল্যবান।''- নাসায়ী

"ينبغي للصائم أن يدعو بمثل هذا الدعاء كل يوم عند الإفطار، فإن الله قد تعهد بقبول دعاء ذلك الشخص." - الحاكم

৬। রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে আছে;" রোজাদার ব্যক্তি প্রত্যেকদিন ইফতারের সময় এমন একটি দোয়া যেন চেয়ে নেয়,কারণ আল্লাহ তাআলা‌ সেই ব্যক্তির দোয়া কবুল করার বিশেষ ওয়াদা করেছেন।"-হাকিম 

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم لرجلين:  "تصوم أما تدري؟ الصوم جنة من النار وجنة من البلاء".

৭। রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে আরও বলা হয়েছে,একবার রসুল্লুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দুজন লোককে বলেছেন; "তোমরা রোজা রাখো। তোমরা কি জানো না? রোজা জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভ করা এবং বালা মুসিবত হাতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঢালস্বরূপ।"

অর্থাৎ রোজার বরকতে আখেরাতে জাহান্নামের আজাব হতে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং দুনিয়াতে বালা-মুসিবতে রক্ষা পাওয়া যাবে।-ইননোন্নাজ্জার

৮। রোজার ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন;কিয়ামতের দিন তিন জন লোকের খাওয়া দাওয়ার হিসাব দিতে হবে না।অবশ্য হালাল খাদ্য হওয়া চাই-সে তিনজন ব্যক্তি হচ্ছে:

১.রোজার সময় রোজার ইফতার করে। 
২.যে ব্যক্তি রোজার সেহেরী খায়। 
৩.যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইসলামী রাজ্যের সীমান্তে পাহারা দেয়। 

এই তিন প্রকার লোকের যে খাবার হিসাব মাফ করে দেয়া হয়েছে তা আল্লাহর তাআলার অতি বড় অনুগ্রহ ও দয়া। তাই অনুগ্রহের পেয়ে আল্লাহ তায়ালা কে ভুলে যাওয়া সঠিক নয় বরং আল্লাহ তায়ালার অধিক অনুগত্য প্রকাশ করতে হবে।

মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব হচ্ছে এই হাদিসে উক্ত তিন প্রকার লোকের প্রতি আল্লাহর বড় অনুগ্রহ ও রহমত প্রমাণ হয় যে,তাদের খাবার হিসাব মাফ করে দেয়া হলো। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে এই অনুগ্রহের কারণে অধিক মাত্রায় সুস্বাদু খাদ্য খাওয়াতে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।

কিন্ত অতিরিক্ত আয়েশ আরামে লিপ্ত থাকলে মানুষ আল্লাহ কথা ভুলে যায় এবং গুনাহর শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই আল্লাহর এই নিয়ামতের আমাদের কদর করা উচিত এবং বেশি বেশি এবাদত করে আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করা একান্ত প্রয়োজনীয়।

"من أفطر كان له مثل أجر الصائم ولا ينقص من أجر الصائم" ولو كان الصيام على قليل من الطعام كالماء مثلا. فإنه سيظل يحصل على نفس الأجر كاملا. - أحمد

৯। সিয়াম সম্পর্কে হাদিস শরীফে আরো বলা হয়েছে," যে রোজাদারকে ইফতার করাবে,সে ওই রোজাদারের সওয়াবের সমান সওয়াব পাবে। অথচ ওই রোজাদারদের সওয়াব কম হবে না।"ইফতার সামান্য খাদ্য দ্বারা করা হোক না কেন, যেমন পানি দ্বারা তবুও ওই প্রকার পূর্ণ সওয়াব পাবে।-আহমদ

সিয়াম সম্পর্কে হাদিস

সিয়াম সম্পর্কে হাদিস এ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেনঃ ''মানুষের যত প্রকার নেকি বা নেক কাজ আছে, আল্লাহ তাআলা তার সওয়াব দশ গুণ হতে সাতশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দিবেন। "আল্লাহ পাক বলেন;কিন্তু রোজা। অর্থাৎ রোজা এই নিয়মের বহির্ভূত, রোজার সওয়াব এভাবে সীমাবদ্ধ না আরো অনেক বেশি। 

কারণ রোজা একমাত্র আমার জন্য এবং যর পুরস্কার এবং সওয়াব স্বয়ং আমি নিজ হাতে দিব।"এই আয়াতটি দ্বারা রোজার ছবির গুরুত্ব অনুমান করা উচিত,যার কোন হিসাব জানা নেই যে‌ এর সব কত? 
অন্যান্য আমলগুলোর পুরস্কার ফেরেশতাদের মারফত প্রদত্ত হবে কিন্তু রোজার পুরস্কারের স্বয়ং আল্লাহর রাব্বুল আলামীন নিজ হাতে দিবেন।

তাই রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব পেতে হলে রোজা হক আদায় করতে হবে। যেমন মিথ্যা,গীবত, ঝগড়া- ফাসাদ, কটু বাক্য,পরের অনিষ্ট,সুদ-ঘুষ এবং অন্যান্য পাপ কাজ হতে রোজা কে পবিত্র রাখতে হবে না হলে রোজার ফজিলত হাসিল হবে না।

আমরা অনেকে আছি যারা রোজার দিনে ফজরের নামাজ বেলা হলে পড়ে থাকি, অনেকে নামাজ ত্যাগ করে। এ ধরনের কাজ করলে রোজা সম্পূর্ণ বরকত ও সওয়াব পাবে না।তাই আপনাদের সতর্ক করা উচিত যে এই হাদিস থেকে আপনাদের এই সন্দেহ যাদের না হয় যে, রোজা নামাজ হতে উত্তম ইবাদত। 


কেননা নামাজ হচ্ছে সকল ইবাদতের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। কিন্তু রোজার সওয়াব অনেক বেশি ,নিশ্চয়ই রোজাদারদের জন্য দুটি খুশি রয়েছে- "একটি হচ্ছে ইফতারের সময় দ্বিতীয়টি হচ্ছে কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তালাশ সাক্ষাতের সময়।"- খাতিব

শেষকথাঃ মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব - রোজার ফজিলত সম্পর্কে ৯টি হাদিস

আশা করি মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব ও রোজার ফজিলত সম্পর্কে ৯টি হাদিস আপনাদের মাঝে সুষ্ঠভাবে বর্ণনা করতে পেরেছি। ভূল-ত্রুটি হ্মার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর ড্রিম আইটিসির আর্টিকেলগুলো দ্বারা আপনি উপকরিত হলে সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 🥰 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url