দুর্বলতা কাটাতে চান? শরীর দুর্বল এর লক্ষন - শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়

আমরা অনেকেই ভাবি শরীর দূর্বলতা প্রায় সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যে লহ্মনীয় একটি সাধারন বিষয়।কিন্তু আসলে কি তাই? না শরীর দুর্বল হওয়া মোটেও কোন সাধারন বিষয় নয়।একজন সুস্থ্য ব্যক্তি অকারণে কখনো দূর্বলতা অনুভব করবে না। শরীর দূর্বল কেন হয়?তা জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুতবপূর্ণ একটি বিষয়। শরীর দূর্বলের লহ্মণ কি? 

দুর্বলতা কাটাতে চান? শরীর দুর্বল এর লক্ষন - শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়

কেন আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পরছে তার নির্দিষ্ট কারন সন্ধান করা খুবি জরুরী। আজকের আর্টিকেলটি পরে জানতে পারবেন শরীর দূর্বলের প্রতিকার বা ঔষধ সম্পর্কে,অসুস্থ্যতার কারণে শরীর কেন দূর্বল হয় এবং শরীর দূর্বল হলে কি খাওয়া উচিত।

সূচিপত্রঃশরীর দুর্বল এর লক্ষন - শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়

শরীর দূর্বল কেন হয়?  শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয় । 

শরীর দুর্বল কেন হয় এর একটি সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে আয়রন, ভিটামিন ডি বা ভিটামিন বি 12 এর কম মাত্রা বা শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে।অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারনেও শরীর দূর্বল হয়। ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রা পেশী দুর্বলতা এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

রক্তস্বল্পতাঃঅনেক সময় মানুষের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায়,যাকে রক্তস্বল্পতা বলে।রক্তস্বল্পতা হচ্ছে দুর্বলতার প্রধান কারণ। যদি আপনি অধিক সময় ধরে দুর্বল অবস্থায় ভোগেন তাহলে বুঝেনে মেয়েটি আপনার রক্তস্বল্পতা বা আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ। যথাসম্ভব চিকিৎসার  আপনি আপনার রক্তের পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ মুখের ক্যান্সারের কারণ ও প্রতিরোধ

ডায়বেটিসঃডায়াবেটিকস শরীর দুর্বল এর আরেকটি লক্ষণ যা আমরা কম বেশি সবাই জানি।ডায়াবেটিসে রক্তের  সুগার লেভেল এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া অথবা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশি ব্যথা এবং শরীর দুর্বল অনুভব হয়।যার ফলে অল্প কাজে বা পরিশ্রম এর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় এবং রোগী হাঁপিয়ে পরে।

বিষণ্ণতায়ঃ ডিপ্রেশন অথবা বিষণ্ণতার প্রধান কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ।একজন মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে তার প্রভাব শরীরের উপরেও পড়ে।মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় মানুষ কাজ করতে পারেনা এবং অলসতায় ভোগে।অলসতা মানুষের শরীরকে দুর্বল করে তোলে।মানসিক চাপ আমাদের ইমিউন সিস্টেমেও প্রভাব ফেলে।

বিষণ্ণতায়ঃ ডিপ্রেশন অথবা বিষণ্ণতার প্রধান কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ।একজন মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে তার প্রভাব শরীরের উপরেও পড়ে।মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় মানুষ কাজ করতে পারেনা এবং অলসতায় ভোগে। মানসিক চাপ আমাদের ইমিউন সিস্টেমেও প্রভাব ফেলে।

শারীরিক শ্রমঃ যেমন অলসতা মানুষের শরীরকে দুর্বল করে তোলে ঠিক প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কাজ করার ফলেও বা পরিশ্রম করার ফলে মানুষের শরীর দুর্বল হতে পারে।পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিনের অভাবের পাশাপাশি মানুষ যদি তার সমার্থে বাইরে অধিক শ্রম দিয়ে ফেলে এতে করে শরীর দুর্বল হয়।

কম খাওয়াঃ আমরা অনেকেই আছি যারা শরীরের গঠন ঠিক রাখার জন্য খাদ্যের পরিমাণ টা কমিয়ে ফেলি।এবং শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি থেকে বঞ্চিত রাখি।এর ফলে আমরা শারীরিক দুর্বল প্রায়ই অনুভব করে থাকি। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। আমরা যদি ডায়েট বা শরীরের গঠন ঠিক রাখার জন্য খাদ্য পরিমাণমত খেতে চাই তাহলে আমাদেরকে আমাদের খাদ্যের তালিকার মধ্যে সুষম জাতীয় খাদ্য যুক্ত করতে হবে।  

আরো পড়ুনঃ যেসব কারণে খালি পেটে থানকুনি পাতার রস খাবেন

পানিশূন্যতাঃ মানব দেহ প্রায় ৬০% পানি দ্বারা গঠিত।তাই পানিশূন্যতার কারণে শরীরে রক্তের পরিমাণ একেবারে কমে যায়।আর শরীরে রক্তের পরিমাণ কমানোর অর্থই হচ্ছে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে।তাই দৈনিক এক জন মানুষের ৬ থেকে  ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত বিশেষজ্ঞদের মতে।শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

শরীর দূর্বলের লহ্মণ কি? হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয়। কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়

শরীর দূর্বল হওয়ার অনেক গুলো লক্ষণ আছে। বিভিন্ন কারনেই আমরা শারীরিক দূর্বলতা অনুভব করতে পারি,কেননা মানব শরীরে রোগব্যাধি বিভিন্ন মাধ্যমে বাসা বাধতে পারে।অনেক সময় দুর্বলতার কারন অনেক বড় রোগের লহ্মন হয়ে দাড়াতে পারে,তাই শরীর দূর্বলের লহ্মণ সম্পর্কে আমাদের সঠীক ধারনা রাখা অতি গুরুতবপূর্ন।শরীর দূর্বলের লহ্মণ গুলো যা সবার মধ্যে প্রায় দেখা যায় তা হলো;

অল্পতেই অসুস্থ্যতাঃ অনেক মানুষ আছে যারা অল্পতেই অসুস্থ্য হয়ে পরেন,এর মুলত প্রধান কারণ হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ হ্মমতা কমে যাওয়া। ইমিঊন অবস্থা বা প্রতিরোধ হ্মমতার ঠিক না থাকার জন্যও আপনার শরীর দুর্বল হতে পারে কেননা, আপনার রোগ প্রতিরোধ হ্মমতা কম হওয়ার মানে হলো যে আপনার ইমিউন সিস্টেমে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কম সক্ষম।  ইমিউন সিস্টেমের রোগাক্রান্ত মানুষরা অন্য সু্স্থ্য মানুষদের তুলনায় প্রায়ই এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য অসুস্থ হতে পারেন।

ক্লান্তিবোধঃ অনেক সম্ভাব্য কারণের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিবোদ্ধ সৃষ্টি হতে পারে এবং ক্লান্তিবোধ হচ্ছে শরীর দূর্বল লহ্মন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত একটি  লহ্মন যা প্রায় সকলের হ্মেত্রেই দেখা যায়।ক্লান্তিবোধের কারন,যেমন অন্তর্নিহিত চিকিৎসা অবস্থা, পুষ্টির ঘাটতি, ঘুমের ব্যাঘাত, ক্যাফেইন গ্রহণ।  আপনি যদি অব্যক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন, তাহলে কারণ খুঁজে বের করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লান্তির কারনে আপনি মাথা ব্যাথা,হাত-পা ব্যাথা,চোখ খুলতে চোখের পাতা ভারী অনুভব হওয়া এবং অতিরিক্ত ঘুম আসার মতো অবস্থা লহ্ম্য করতে পারেন।

হ্মুধা হ্রাসঃ শরীর দুর্বল হওয়ার অনেকগুলো লক্ষণ এর মধ্যে ক্ষুধা কমে যাওয়া বা ক্ষুধা হ্রাস একটি অন্যতম লক্ষণ।দুর্বল শরীর এর কারনে অনেক সময় খাবারের প্রতি অরুচি এবং বমি বমি ভাব আসে।পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ না করলে শরীরের দুর্বল হতে থাকে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। যেমন মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা,হঠাৎ চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত 

মাংশপেশি ব্যাথাঃ মাংসপেশির ব্যথা‌ কমবেশি অনেকেই অনুভব করে থাকেন। এটি মূলত হয়ে থাকে শরীর দুর্বল এর কারনে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং পুষ্টির অভাব থাকলে শরীরের মাংসপেশিগুলোতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এটি বিশেষ করে বড় বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি লক্ষণীয়। 

ডাইজেশন সম্যসাঃ ডাইজেশন এর সমস্যা অথবা খাদ্য হজমে ব্যাঘাত।লিভারে বিভিন্ন কারণে বা বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলো প্রবেশ করলে বিভিন্ন লিভারজনিত সমস্যা যেমন;আলসার,গ্যাস,পেট ফোলা,ডায়রিয়া হওয়ার ইত্যাদি ঘনঘন হতে থাকলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেছে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া মানুষ শরীর দুর্বল হয়ে পড়া।

স্লো হিলিংঃ স্লো হিলিং অথবা ক্ষত নিরাময় হতে নির্দিষ্ট সময়ে বেশি সময় নেয়া।শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ক্ষত নিরাময়ে বেশি সময় নেয় এটিও হচ্ছে শরীর দুর্বলের লক্ষণ।

কোন ভিটামিন দূর্বলতা দূর হয়? শরীর দুর্বল হলে স্যালাইন।কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়। 

যদি বলেন কোন ভিটামিন খেলে দূর্বলতা দূর হয়? তাহলে এর ঊত্তর হবে ভিটামিন বি। বেশিরভাগ গবেষণা দেখা গেছে যে,ভিটামিন বি হল শক্তির জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ভিটামিন। বি ভিটামিনের শক্তি বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্যগুলি প্রায়ই বিভিন্ন শক্তি পানীয় এবং পরিপূরকগুলিতে পাওয়া যায়। ভিটামিন আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে শরীর দূর্বলতা থেকে রহ্মা করে এবং বিশেষ করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং সতর্কতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বেশিরভাগ গবেষণা ইঙ্গিত করে যে ভিটামিন বি শক্তির জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ভিটামিন। একটি খারাপ খাবার, অ্যালকোহল বা মানসিক চাপ আমাদের শরীরের বি ভিটামিনের প্রাকৃতিক স্তরের ক্ষতি করতে পারে। তাই বি ভিটামিনের মাত্রা শরীরে কমে গেলে শরীর দূর্বল হতে শুরু করে। কিন্ত আপনি খাদ্যের মাধ্যমে আপনার বি ভিটামিনের মাত্রা বাড়াতে পারেন, তবে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন যাতে সর্বোত্তম মাত্রায় উপস্থিত থাকে তা নিশ্চিত করতে সম্পূরক গ্রহণ করা ঊচিত।

নিম্নলিখিত ভিটামিনগুলি বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলিতে সহায়তা করে এবং পুষ্টিকে শক্তিতে রূপান্তর করেঃ

  •  B1 (থায়ামিন) 
  •  B2 (রাইবোফ্লাভিন)
  •  B5 (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড)

প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারে অ্যামিনো অ্যাসিড বিপাক করার জন্য যে ভিটামিনের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে রয়েছেঃ

  •  B6 (পাইরিডক্সিন)

B9 (ফোলেট): B9 বা ফলিক অ্যাসিড হল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় সম্পূরক যা শক্তির মাত্রা বাড়াতে এবং শরীরের দূর্বলতা কাটাতে সাহায্য করতে পারে। এটি অনাগত ভ্রূণের সঠিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যাদের ফোলেটের ঘাটতি রয়েছে তাদের রক্তশূন্যতা হতে পারে যা ক্লান্তি ও শরীর দুর্বলতার লহ্মন ।

অন্যান্য বি ভিটামিন গ্রুপ অন্তর্ভুক্তঃ 

B7 (বায়োটিন); কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি বিপাকের জন্য অপরিহার্য একটি ভিটামিন যা আপনাকে সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করে।

B12 (cobalamin): হয়তো যে নিরামিষভোজী এবং নিরামিষাশীদের প্রায়ই তাদের খাদ্যতালিকায় এই ভিটামিন যোগ করা ঊচিত।তাছারা ভিটামিন B12 লাল রক্ত ​​কণিকা তৈরি করে এবং প্রোটিন ও চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তর করে।

সূত্রঃ(মেডিসিন নেট)

শরীর দূর্বলের প্রতিকার বা ঔষধ কি?-শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায় কি? শরীর দূর্বলতার ঔষধ। 

শরীর দূর্বলের প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রক্তস্বল্পতা।সুতরাং আমাদেরকে এমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করতে হবে অথবা আমাদের খাদ্য তালিকায় এমন ধরনের খাদ্য যুক্ত করতে হবে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে যেমন কচু শাক,পালং শাক,বিটরুট এর বিভিন্ন শাক সবজি।

আরো পড়ুনঃ আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - আমাশয় হলে করণীয় ও মুক্তির উপায়

তাছাড়া শরীর দুর্বল এর প্রধান অংশ কি হচ্ছে ভিটামিন। যে সকল ভিটামিন শরীরকে সুস্থ্য এবং শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে যেমন ভিটামিন বি' ভিটামিন ১২ ভিটামিন ৯ বা ফলিক এসিড যুক্ত খাদ্য অথবা ঔষধ আকারের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন গ্রহণ করতে পারেন।

অসুস্থ্যতার কারণে শরীর কেন দূর্বল হয়?

অসুস্থতার কারণে মানুষের শরীরের বিপাক ক্রিয়া বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ হয়। ক্যালোরি অধিক খরচ এবং খাদ্যের প্রতি অনীহা-অরুচি তৈরি হওয়ার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। যার ফলে শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় পুষ্টির হার কমে যায়। তাছাড়া অসুস্থতার কারণে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে শরীর দুর্বল হতে পারে। অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে যা শরীরকে দুর্বল করে ফেলে । দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থতায় থাকলে পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে,যার কারণে শরীর দূর্বল হয় ।

শরীর দূর্বল হলে কি খাওয়া উচিত! শরীর দুর্বল হলে কি ঔষধ খেতে হবে

কলা ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের একটি স্বাস্থ্যকর উৎস। অনেক ধরনের এবং আকার বিদ্যমান।  তাদের রঙ সাধারণত সবুজ থেকে হলুদ পর্যন্ত হয়, তবে কিছু জাত লাল হয়। কলাতে আছে;ক্যালোরি: ৮৯%,পানি ৭৫%,প্রোটিন ১.১ গ্রাম ,শর্করা ২২.১৮ গ্রাম,চিনি ১২.২ গ্রাম,ফাইবার ৬.২ গ্রাম এবং চর্বি ০.৩ গ্রাম।

কলাঃ ভিটামিনের ঊৎস হিসেবে কলা একটি গুরুতবপূর্ন ফল।

বাদাম ও বীজঃ বাদাম এবং বীজ,ক্লান্তি দূর করতে এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাদাম এবং বীজ সেরা খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম যা শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়। আপনার খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ থাকলে আপনি স্বাস্থ্যকর পুষ্টি এবং শক্তি পাবেন যা শরীরকে দূর্বল হওয়ার হতে রহ্মা করবে। বাদাম, ব্রাজিল বাদাম, কাজু, হ্যাজেলনাট, পেকান, আখরোট, সূর্যমুখী বীজ এবং কুমড়ার বীজ খাদ্য তালিকায় থাকা ঊচিত। 

বিভিন্ন ভিটামিনঃ সর্বোত্তম ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিডের জন্য আপনার ডায়েটে মটরশুটি, পালং শাক এবং অ্যাভোকাডো জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।তাছারা আপনি যদি আপনার খাবার থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি উপাদান না পান তবে আপনি প্রতিদিন ভিটামিন গ্রহণের কথা বিবেচনা করতে পারেন। একজন পুষ্টিবিদ বা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে আপনি একটি পুষ্টিকর পরিপূরক পদ্ধতি শুরু করতে পারেন।

কফিঃ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে, কফি ইতিবাচক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে।উদাহরণস্বরূপ,কিছু গবেষণাগুলতে দেখা গেছে যে কফি আল্জ্হেইমার এবং পারকিনসনের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি ২৬-৩৪% কমাতে সাহায্য করতে পারে ।১৮ টি গবেষণার পর্যালোচনায় আরও জানানো হয়েছে যে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন প্রতি কাপ কফি পান করলে তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৭% পর্যন্ত কমে যায়। কফির উদ্দীপক ক্যাফেইন শক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় স্বল্পমেয়াদী বৃদ্ধির জন্যও রিপোর্ট করা হয়েছে,যা অনেক মানুষ যখন ক্লান্ত বোধ করে তখন তার উপর নির্ভর করে।  অর্থাৎ,নিয়মিত কফি পান করলে আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে। 

পানিঃ শরীরের সর্বোত্তম কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য। যদিও পানি ক্যালোরির আকারে শক্তি সরবরাহ করে না, তবে এটি শরীরে শক্তিশালী প্রক্রিয়াগুলিকে সহজতর করতে সহায়তা করে, যা নিজেই একটি শক্তি বৃদ্ধি করে। সারা দিন পানিতে চুমুক দিন এবং এক গ্লাস পানির জন্য সোডা, কফি এবং অন্যান্য পানীয় অদলবদল করার চেষ্টা করুন। এই  অভ্যাসটির পরিবর্তন একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

শেষকথাঃদুর্বলতা কাটাতে চান? শরীর দুর্বল এর লক্ষন - শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়

সবাই চায় সুস্থ শরীর নিয়ে বাঁচতে। শরীর সুস্থ্য থাকা মানেই জীবন সুন্দর। শরীর দুর্বলতা মোটেও কোন ছোট বিষয় নয়।শরীর দুর্বল থাকলে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েন। তাই সকলে নিজের এবং প্রিয় মানুষদের যত্ন নিন এবং ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি ভালো লাগে আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকুন। 😊 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url