সহজে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - নতুন ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট ফরাসি ভাষা থেকে আসা শব্দ যা পুরো বিশ্বে সুপরিচিত। আপনি কি আপনার ই পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন। কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছেন না কোন পাসপোর্ট বানাবেন বা কিভাবে দালাল ছাড়াই পাসপোর্ট করার নিয়ম খুঁজে পাবেন। প্রতিটি মানুষের জন্যই ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ জেনে রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের জন্য আপনার ই পাসপোর্ট থাকা জরুরী। ই পাসপোর্ট ২০২৩ প্রতিটি নাগরিকের অধিকারও বটে।
তাই আজকে আমরা এই পুরো আর্টিকেল জুড়ে আলোচনা করব কিভাবে সঠিক নিয়মে অফিশিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম, ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে। সহজেই ই পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং নতুন ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩তা সম্পর্কে বিস্তারিত। ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম, নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম, ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ বিস্তারিত জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেজ সূচীপত্রঃ সহজে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - নতুন ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩। ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ নতুন। ই পাসপোর্ট কি? ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
বাংলাদেশ প্রতিনিয়তই উন্নত থেকে উন্নততর হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বহাল রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য আমরা যে পাসপোর্ট ব্যবহার করি সেই পাসপোর্ট কেউ উন্নত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সর্বপ্রথম ই পাসপোর্ট চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে সেই সময় এই পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব না হলেও ২০২০ সালের ২২ শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই পাসপোর্ট চালু করার কর্মসূচি হাতে নেন। এরই ধারাবাহিকতায় পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে সমস্ত তথ্যাদি সঠিকভাবে জানা সম্ভব হচ্ছে।
বর্তমানে আমরা যে পাসপোর্টটি ব্যবহার করি তা মূলত এম আর পি. বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। ই পাসপোর্ট কমবেশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর মতই হয়ে থাকে কিন্তু এর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী এ বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে,
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
এই বিশেষ পাসপোর্টে সিম কার্ডের মত একটি ছোট আকারের চিপ লাগানো থাকে। এই চিপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মাইক্রোপ্রসেসর এবং অ্যান্টেনা প্রযুক্তি। ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ অনুযায়ী এই চিপের ভেতর পাসপোর্টধারীকে সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন বিষয় ইনক্লুড করা থাকবে। যেমনঃ
- পাসপোর্টধারীর বিভিন্ন ধরনের ছবি
- চোখের আইরিশের স্ক্যান
- হাতের প্রত্যেকটি আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ
আর এই বিশেষ চিপের তথ্যগুলো যাচাই করার জন্য থাকছে পাবলিক কি ইনফ্যাক্ট্রাকচার (PKI) প্রযুক্তির ব্যবহার। যার ফলে ই পাসপোর্ট এর তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। সমগ্র দক্ষিণ এশার মধ্যে বাংলাদেশেই সর্বপ্রথম এই অত্যাধুনিক ই পাসপোর্ট ইস্যু করা শুরু হয়েছে।
পাসপোর্ট এর প্রকারভেদ। পাসপোর্ট তথ্য
বর্তমান বিশ্ব উন্নত বিশ্বে রূপ নিচ্ছে। প্রত্যেকটি জিনিসের মত কালের বিবর্তনে পাসপোর্টেও নানারকম পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এর মূল কনসেপ্টটা একই রয়েছে। পাসপোর্ট হচ্ছে একটি ছোট আকারের বই যাতে আপনার তথ্য আপনার দেশের তথ্য এবং আপনার বিদেশ ভ্রমণের সমস্ত তথ্য খুব সুন্দর ভাবে ইনক্লুড করা থাকে।
পাসপোর্ট তিন প্রকার হয়ে থাকে। যথাঃ
- হাতে লেখা পাসপোর্ট
- এম আর পি তথা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট
- ই পাসপোর্ট
হাতে লেখা পাসপোর্ট
সেই পুরনো দিনের পাসপোর্ট কে মূলত হাতে লেখা পাসপোর্ট বলা হয়। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো হাতে লেখা পাসপোর্ট এর প্রচলন রয়েছে এবং তারা এ পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অফ পাসপোর্ট অধিদপ্তর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে এই ধরনের কোন পাসপোর্ট অর্থাৎ হাতে লেখা পাসপোর্ট ইস্যু করে নি। এর আপডেট ভার্সন হিসেবে এর পরে বাংলাদেশে এমআরপি তথা 'মেশিন রিলেবল পাসপোর্ট' চালু করা হয়।
আরো পরুনঃ পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৩
এমআরপি (MRP) তথা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (Machine Readable Passport)
হাতে লেখা পাসপোর্ট এর আপডেটেড ভার্সন হচ্ছে এমআরপি পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট কে সাধারণ চোখ দিয়ে পড়া সম্ভব নয়, এই পাসপোর্ট কে মেশিন বা যন্ত্র দ্বারা সনাক্ত করা যায়। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট এমন একটি পাসপোর্ট যাতে আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য জলছাপের মাধ্যমে ছবির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়।
আর সেই সঙ্গে এই পাসপোর্টে এ থাকে একটি মেশিন রিডেবল জোন (MRZ) যার মাধ্যমে পাসপোর্ট ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত তথ্য সনাক্ত করা যায়। MRZ এই লাইনে লুকায়িত সকল তথ্যগুলো একটি বিশেষ ধরনের মেশিনের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায় যার মাধ্যমে বা জার ফলে ভ্রমণকারী সমস্ত ডকুমেন্ট নিরাপত্তা থাকে। এবং লাইন দ্রুততম সময় পড়া যায় যার ফলে সময় সংকলন হয় এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকরণ অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে যায়। এমআরপি পাসপোর্ট মূলত কম্পিউটারে মুদ্রিত হয়।
ই - পাসপোর্ট এর সুবিধা। ই-পাসপোর্টে থাকবে যেসব সুবিধা-
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট চালু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন । ই পাসপোর্ট হচ্ছে সকল পাসপোর্ট এর আধুনিক রূপ। সেহেতু ই পাসপোর্ট এর সকল পাসপোর্ট সুবিধাও থাকবে সর্বাধিক। আসুন জেনে নি কি কি সুবিধা থাকছে ই পাসপোর্টে।
- ই - পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকবে ১০ বছর যার ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে প্রবাসীরা।
- ই পাসপোর্ট এমন একটি পাসপোর্ট ব্যবস্থা যাতে মেশিন রিডাবল চিপ লাগানো থাকবে যার ফলে পাসপোর্টধারীর সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
- ই পাসপোর্ট সুবিধার মধ্যে থাকবে এর ডাটা পেজে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি থাকবে। পাসপোর্টধারীর প্রত্যেকটি আঙ্গুলের বায়োমেট্রিক ছাপ এবং চোখের আইরিশো থাকবে। আর এর জন্য দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে।
- ই পাসপোর্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বা ভিসা চেকের জন্য আপনাকে দাড়িয়ে থাকতে হবে না। ই গেট ব্যবহার করার মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই আপনি দ্রুততার সঙ্গে ইমিগ্রেশন কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
- এতে রয়েছে ৩৮ ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাই কোনভাবেই পাসপোর্টধারীর সাথে পাসপোর্ট এর তথ্যাবলী না মিললে লাল বাতি জ্বলে উঠবে এবং বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।
আর এর পুরো প্রক্রিয়াটি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ICAO) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত হবে।
ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম
- ই পাসপোর্ট আবেদনের প্রিন্ট কপি
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন
- শিক্ষাগত সনদ বা সার্টিফিকেট
- এপয়েন্টমেন্ট এর পেন কপি
- আগের যদি কোন পাসপোর্ট থাকে তাহলে সেটার ফটোকপি
- পেশাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
- বাবা মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড থাকলে তার ফটোকপি
- পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ
- জিডি কপি
- বৈবাহিক সনদ
- Go বা NOC
- নাগরিক সনদ কাউন্সিলর কর্তৃক প্রধানকৃত
সূত্রঃ মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত ২০২৪ - ড্রিম আইটিসি
ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন। ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩। সহজেই পাসপোর্ট করার নিয়ম। অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার পূর্বে আপনাকে দেখে নিতে হবে যে আপনি যে এলাকার বসবাস করছেন সেই এলাকার জন্য ই পাসপোর্ট সেবা চালু আছে কিনা। মানে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩অনুযায়ী আপনি আপনার এলাকা থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন কি না। এজন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। সহজেই পাসপোর্ট করার নিয়ম বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ নিয়ম সমূহ-
১. শুরুতেই www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে যেখানে নিচের মত পেজ দেখতে পারবেন।
২. এরপর আপনাকে সরাসরি "Apply Online"এ প্রেস করতে হবে। এখানে আপনার কাছ থেকে বেশ কিছু প্রশ্নের আনসার নেওয়া হবে যেমন আপনি কোথায় থাকেন আপনার, ডিস্ট্রিক্ট নে্ আপনার থানা এসব অপশন গুলো পূরণ করুন এবং সরাসরি কন্টিনিউ করলে আপনি পরবর্তী ইন্টারপ্রেসে চলে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার উপায় জেনে নিন
বলে রাখি এখানে আপনি যদি সাপোর্টেড এরিয়ার মধ্যে না থাকেন অর্থাৎ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ মোতাবেক আপনি সাপোর্টেড এরিয়া ভেতরকারী নাগরিক না হন তাহলে আপনাকে পরবর্তী ইন্টারফেসর নিয়ে যাওয়া হবে না। এক্ষেত্রে সরাসরি আপনাকে এমআরপি পাসপোর্ট এর জন্য এপ্লাই করতে হবে।
৩. এই ধাপে আপনি আপনার একটি ভালিড ইমেইল এড্রেস প্রদান করবেন। তাহলে আপনি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ বা সহজে পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ অনুযায়ী আপনার পাসপোর্ট এর জন্য এপ্লাই করার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন বলে বিবেচিত হবেন।
এবারে আসবে আপনার দ্বিতীয় ধাপ যেখানে আপনি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ এর জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। এই অনলাইন আবেদন ফরমটি পূরণ করার সময় আপনাকে বেশ কিছু জিনিস বা নিয়ম মেনে চলতে হবে। আপনার বোঝার সুবিধার জন্য আমরা সহজেই ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ এর সমস্ত নিয়ম গুলো আপনাকে এখানে বুঝিয়ে দেব।
তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন পাসপোর্ট করার সময় বা এই আবেদন ফরমটি পূরণ করার সময় আপনার সমস্ত ইনফরমেশন যেন সঠিক থাকে। কেননা আপনি যদি ভুল কোন ইনফরমেশন দেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে এই ভুল কারেকশনের জন্য অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। তাই খুব সতর্কতার সাথে আপনার ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ এর আবেদন ফরমটি ফিলাপ করতে হবে।
অনলাইনে এপ্লাই করার জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি। ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ। ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
১. অনলাইন এপ্লাই করার জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরির ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ইমেইল এড্রেস পাসওয়ার্ড আপনার নাম সহ আরো কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় এখানে এমপ্লয়মেন্ট করতে হবে। পাসওয়ার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেন আপনার পাসওয়ার্ডটি সর্বনিম্ন ৬ ক্যারেক্টারের হয় এবং সেখানে কমপক্ষে ছোট বড় মিলিয়ে পাসওয়ার্ডটি মজবুত করার চেষ্টা করবেন। যেমনঃ Ali1254@#4
উল্লেখিত নিয়ম না মানলে আপনার ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ অনুযায়ী এটি গণ্য বলে বিবেচিত হবেনা ফলে আপনি পাসপোর্টও করতে পারবেন না
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আপনার নামের মধ্যে যদি কোথাও ডট থাকে তাহলে সেই ডট কিন্তু নাম বসানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না এতে ফর্মে নাম ভ্যালিড বলে বিবেচিত নাও হতে পারে।
২. এভাবে আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বারটি এখানে দিতে হবে এবং নিচের ক্যাপচারটি পূরণ করতে হবে এরপর ক্রিয়েট অপশনে ক্লিক করুন
৩. এরপর প্রথম ধাপে আপনি যে ইমেইল ব্যবহার করেছেন সেই ইমেইলটিকে ভেরিফাই করার জন্য আপনার মেল একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখান থেকে নির্দিষ্ট অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার ইমেল কে ভেরিফাইড করে নিতে হবে।
৪. এই ধাপে এসে মেল ভেরিফাই করা হয়ে গেলে আপনি পূর্ববর্তী পেজ এ ফিরে যান। সেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন আপনাকে সাইন ইন অপশন দেখাচ্ছে। এখানে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ডটি বসান দিয়ে ক্যাপচা ফিলাপ করে আপনি আপনার একাউন্টে সাইন ইন করে ফেলুন।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩। সহজেই পাসপোর্ট করার নিয়ম। দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম। পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩।
এবার আপনি আপনার পাসপোর্ট এর জন্য এপ্লাই করার জন্য প্রস্তুত। পাসপোর্ট অ্যাপ্লাই করার এই ধাপে এসে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ফিলাপ করতে হবে এবং আরো আনুষঙ্গিক কিছু ফর্মালিটিস আছে যেগুলো মেন্টেন করতে হবে। আবারো বলি পাসপোর্ট ফরমটি পূরণ করার সময় খুব সতর্ক শহীদ পূরণ করবেন না হলে পরবর্তীতে অনেক ভোগান্তিতে পরতে পারেন।
১. ফরম ফিলাপ এর সময় নিজস্ব তথ্য প্রদান করতে হবে যেমনঃ আপনার প্রফেশন কি, আপনার ধর্ম কি, আপনি কোথায় থাকেন অর্থাৎ আপনার জন্মস্থান। সকল তথ্য ফিলাপ হয়ে গেলে আপনি সেভ এন্ড কন্টিনিউ করলে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাওয়া হবে
২. এবার আপনার কাছে জানা হবে আপনার পূর্ববর্তী কোন পাসপোর্ট আছে কিনা? আপনার যদি এর আগেও কোন পাসপোর্ট থাকে তাহলে সেই পাসপোর্ট এর কিছু তথ্য এখানে ফিলাপ করতে হবে।
৩. এরপর আপনাকে আপনার ঠিকানা সমূহ বসাতে হবে। আপনার প্রেজেন্ট এড্রেস কোনটি আপনার পার্মানেন্ট এড্রেস কোনটি সে সমস্ত কিছু এই অংশে আপনাকে মেনশন করতে হবে।
৪. পরের অংশটি আসবে আপনার অভিভাবকের জন্য অর্থাৎ পিতা-মাতা ইনফরমেশন সম্পর্কিত। এরপরে আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের তথ্যগুলো এখানে আপনাকে ফিলাপ করতে হবে।
৫. এই ধাপে অংশটি হচ্ছে ইমারজেন্সি কন্টাক্ট। অর্থাৎ কোনো কারণে যদি আপনার পাসপোর্টটি হারিয়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কোন ব্যক্তির মাধ্যমে আপনি সেই পাসপোর্টে আবার ফিরে পাবেন বা কার সঙ্গে যোগাযোগ করবে সেই ব্যক্তির তথ্যগুলো এখানে আপনাকে পূরণ করতে হবে। অবশ্য এখানে একজন বিশ্বস্ত মানুষকে মেনশন করাটাই ভালো বলে আমি মনে করি।
৬. এই ধাপে আপনাকে বলে দিতে হবে আপনি কি ধরনের পাসপোর্ট নিতে চাচ্ছেন বা কত পেজ হবে কত বছর মেয়াদের জন্য আপনি পাসপোর্ট নিবেন সেই সমস্ত তথ্যগুলো এই পাসপোর্ট অপশনে উল্লেখ করতে হবে।
৭. এবার আপনাকে বলে দিতে হবে আপনি ডেলিভারিটি কিভাবে নিতে চাচ্ছেন অর্থাৎ আপনি কি রেগুলার ডেলিভারি নিতে চাচ্ছেন না express delivery নিতে চাচ্ছেন সেটা আপনাকে পূরণ করে দিতে হবে এবং সেভ এন্ড কন্টিনিউ করলে মোটামুটি আপনার অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সম্পন্ন হয়েছে বলে আপনি ধরে নিতে পারেন।
৮. এই শেষ অংশে সে আপনি আপনার যাবতীয় ইনফরমেশন গুলো দেখতে পাবেন এবং ভালোভাবে পড়ার পর যদি মনে হয় যে কোথাও ভুল হয়েছে তাহলে আপনাকে এই অংশেই সেই ভুলটা কারেকশন করে নিতে হবে। আর এই অংশে যদি আপনি ভুলগুলো কারেকশন করেন না নিতে পারেন তাহলে এই ভুলগুলো আর আপনি ঠিক করতে পারবেন না আবার আপনাকে ভুল সংশোধনের জন্য এপ্লাই করতে হবে। সমস্ত তথ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে কনফার্ম এন্ড প্রোসিড টু পেমেন্ট অপশন এ ক্লিক করুন।
পাসপোর্ট ফি পরিশোধ। পাসপোর্টে টাকা জমা দেওয়া। পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩। e passport check online application from
উপরের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে এখন পাসপোর্ট ফি প্রদান করার জন্য অপশন দেওয়া হবে। এই টাকা পরিশোধ করার জন্য এখানে আপনি অনলাইন এবং অফলাইন মেথড ব্যবহার করতে পারেন। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে অফলাইন মেথড টি চালু রয়েছে। তাই কন্টিনিউ করলে আপনাকে পেমেন্ট অপশনে নিয়ে যাবে। এরপর আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত বা নির্দিষ্ট শিডিউলটি বেছে নিতে হবে বা তৈরি করতে হবে। এজন্য সিডিউল অ্যাপয়েন্টমেন্ট অপশন এ ক্লিক করলে আপনার নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করতে বলবে।
এটা মূলত আপনার পাসপোর্ট অফিস ে কাগজপত্র জমা দেওয়ার শিডিউল। এই অপশনটি ফিলাপ করার পর আপনি যে কাগজটি পাবেন সেটা হাই রেজুলেশনে প্রিন্ট করে নিজের কাছে সংরক্ষণ কর রাখুন। এবং আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাটি আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। অফলাইনে ফরম ফিলাপ করার জন্য কোন অপশন দেওয়া থাকে না তাই নিচের দিকে প্রিন্ট এপ্লিকেশন ফর্ম থেকে আপনি একটি ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিবেন।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ অনুযায়ী সেখানে আপনাকে আপনার বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র যেমন ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি, অথবা বৈবাহিক বা নিকানামাহ ফটোকপি অন্যান্য বিভিন্ন তথ্যাদি সংযুক্ত করতে হবে অথবা উল্লেখ করাই থাকবে। আর এই সমস্ত কাগজগুলো নির্দিষ্ট সময় এবং সিডিউলের ডেট অনুযায়ী আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। ব্যাস আর কিছুদিনের মধ্যে আপনি আপনার পাসপোর্টটি পেয়ে যাবেন।
এটা মূলত একটি অনলাইন পদ্ধতি হওয়ায় এখানে কোন রকমের দালাল বা প্রতারণার কোন সম্ভাবনা নেই। আপনি যদি এই ফর্মটি ফিলাপ করতে না পারেন তাহলে একজন অভিজ্ঞ মানুষ দিয়ে এই ফর্মটি ফিলাপ করে নিবেন এতে আপনার কোন অতিরিক্ত টাকা প্রদান করার প্রয়োজন হবে না। দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম হলো অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ বা সহজেই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২।
যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি এই টাকা পরিশোধ করতে পারেন
- ওয়ান ব্যাংক
- প্রিমিয়ার ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- এবং ঢাকা ব্যাংক
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৩। পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত ২০২৩। ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২৩।পাসপোর্ট নবায়ন ফি কত টাকা
আপনি যদি নতুন ই পাসপোর্ট করতে চান অথবা পুরাতন পাসপোর্টটিকে রিনিউ করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই জানা উচিত পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে 2022 সম্পর্কে। এই অংশে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব যে বাংলাদেশে থেকে বিভিন্ন মেয়াদের এবং কত পৃষ্ঠা সংখ্যার পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে তার মেয়াদ কতদিন থাকবে এবং বাড়তি কোন টাকা লাগবে কিনা।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে বা বলতে পারেন ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে।
ই পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন ফ্রি হচ্ছে ৪০২৫ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ আপনি ১৩৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। এখানে বলে রাখা উচিত যদি আপনি নিজে বাসায় বসে অনলাইনে আবেদন করতে না পারেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করতে গেলে আপনাকে অতিরিক্ত ২০০ টাকা বা ২৫০ টাকার মতো চার্জ তাদেরকে প্রদান করতে হবে।
পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং ডেলিভারির ধরন অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৩ এর ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
৫ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট ফি। ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২৩
ডেলিভারি | ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতা ই পাসপোর্ট ফি | ৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতা ই পাসপোর্ট ফি |
---|---|---|
রেগুলার | ৪০২৫ টাকা | ৬৩২৫ টাকা |
এক্সপ্রেস/জরুরী | ৬৩২৫ টাকা | ৮৬২৫ টাকা |
সুপার এক্সপ্রেস | ৮৬২৫ টাকা | ১২০৭৫ টাকা |
১০ বছর মেয়াদে এ পাসপোর্ট ফি। পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত ২০২২
ডেলিভারি | ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতা ই পাসপোর্ট ফি | ১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতা ই পাসপোর্ট ফি |
---|---|---|
রেগুলার | ৫৭৫০ টাকা | ৮০৫০ টাকা |
এক্সপ্রেস/জরুরী | ৮০৫০ টাকা | ১০৩৫০ টাকা |
সুপার এক্সপ্রেস | ১০৩৫০ টাকা | ১৩৮০ টাকা |
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৩। পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা ২০২৩। ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩। অনলাইনে পাসপোর্ট যাচাই। online passport check
প্রযুক্তি নির্ভর এই দেশে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে জানতে পারবেন আপনার পাসপোর্টটি হয়েছে কিনা বা তার বর্তমান অবস্থা কি। এজন্য আপনাকে শুরুতেই epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর অনলাইনে এপ্লাই করার মাধ্যমে "চেক স্ট্যাটাসে" যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি অথবা অ্যাপ্লিকেশন আইডির সাথে আপনার জন্ম সাল দিয়ে নিচে যে ক্যাপচাটি থাকবে সেটা ফিলাপ করে আপনি আপনার নতুন পাসপোর্ট সহজেই চেক করতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি ঘরে বসেই এখন জানতে পারছেন আপনার পাসপোর্টটি রেডি হয়েছে কিনা বা পুলিশ ভেরিফিকেশন আছে কিনা বা কোন ক্লিয়ারেন্স আছে কিনা সম্পূর্ণ তথ্য ঘরে বসেই জেনে যাচ্ছেন। ঘরে বসে আপনি অনলাইনে মাধ্যমে আপনার নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২২ অনুযায়ী সকল তথ্য চেক করে দেখতে পারেন
অতি জরুরী ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২৩। ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩
এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ই পাসপোর্ট খুব জরুরী হয়ে পড়ে। এরকম অবস্থায় মাত্র ২ কর্মজীবস এর মধ্যেই আপনি আপনার পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য অতি জরুরী বা সুপার এক্সপ্রেস পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারেন। ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ এ অতি জরুরী এই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস আপনাদেরকে জেনে রাখা উচিত
- বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আপনি অতি জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি বিদেশ থেকে বাংলাদেশ মিশনে এ আবেদন করেন তাহলে এটা কার্যকর হবে না।
- বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বসে অতি জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করলেও এই পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে।
- অতি জরুরী ই পাসপোর্ট এর আবেদন করার নিয়ম মোতাবেক আপনার অতি জরুরী পাসপোর্ট আবেদনের পূর্বে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে।
- পূর্বে যাদের এমআরপি পাসপোর্ট ছিল তাদের ক্ষেত্রে অতি জরুরী ই পাসপোর্ট সেবাটি কার্যকর। যারা নতুন তারা অতি জরুরী ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কিভাবে করতে হয়।অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম। e - passport check online । e - passport police verification। ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩
ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কথাটা শুনলে অনেকেই রয়েছেন আমাদের মধ্যে যে অনেক ভয় পেয়ে যাবেন পুলিশ ভেরিফিকেশন আসলে জিনিসটা কি। তবে বলে রাখি চিন্তা বা ঘাবড়ানোর কোন কিছুই নাই আমি খুব সহজভাবে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেব যে পুলিশ ভেরিফিকেশন কি, কিভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে থাকে বা কিভাবে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে থাকে। এই পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কি কোন অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হয় বা আপনার কাগজপত্র যদি ঠিক না থাকে তাহলে কি কাগজপত্র ঠিক করার জন্য পুলিশদেরকে টাকা প্রদান করতে হয় বা কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কোন কিছু লাগবে কিনা পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য এই সমস্ত কিছু আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন মূলত আপনার পাসপোর্ট আবেদন করার কিছু দিনের পর পুলিশ ভেরিফিকেশন যায়। আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আপনি যে স্থায়ী ঠিকানায় বসবাস করেন সেই স্থায়ী ঠিকানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে যেকোন একজন ব্যক্তি আপনার বাসায় যাবেন এবং আপনার সঠিকতা যাচাই করবেন। বিশেষ এখানে কিন্তু আপনার নিজের বাড়িতে পুলিশ যাবে। আবারো বলে রাখি ভয়ের কোন বিষয় নেই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আমার বড় বোনের একটি ঘটনা এবং এই পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়টি তুলে ধরব। আমার বড় বোন চাকরির জন্য চট্টগ্রামে থাকে এবং আমাদের নিজস্ব এবং স্থায়ী বাসা হচ্ছে রাজশাহী শহর। থানা বা পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে আজকে আমাদের বাসাতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য যেকোনো সময় একজন ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসার আসবেন এবং আমাদেরকে আগে থেকে জানানো হয়েছিল আমরা যেন আমাদের বিলের কাগজ ফটোকপি করে রেডি করে রাখি।
তাদের কথামতো আমি সকালে গিয়েই আমাদের বাড়ির বিলের কাগজ ফটোকপি করে নিয়ে আসি এবং তাদের ফোন কলের অপেক্ষা করি। এরপর কিছু সময় পরে একজন পুলিশ অফিসার আমাদেরকে ফোন দেন এবং আমাদেরকে বলেন যে আমাদের বাসা মানে এক্সাক্ট লোকেশন তারা খুঁজে পাচ্ছে না। এরপর সেই পুলিশ অফিসারটি আমাদেরকে জানান যে তিনি এক্সাক্টলি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং আমাদেরকে সেখানে আসতে বলেন। তার কথা অনুযায়ী আমি লোকেশনটি ভালোভাবে জেনে সে পুলিশ অফিসার কাছে যাই। এখানে বলে রাখি পুলিশ অফিসার কিন্তু সিভিল ড্রেস এ ছিলেন।
তিনি আমাকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করলেন এর মধ্যে ছিল আমার বোনের নাম কি, তিনি কোথায় পড়াশোনা করেন, আমার বাবা কি করে, আরো কিছু আনুষঙ্গিক কমন প্রশ্ন। এরপর তিনি আমার কাছ থেকে বিলের ফটোকপি টা নিয়ে চলে গেলন। এটাই ছিল মূলত ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন সিস্টেম। তার কিছুদিনের মধ্যেই আমার আপু তার পাসপোর্টটি নিজ হাতে পেয়ে যান।
এই পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় আমাদেরকে কোন অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয় নি। আর যেহেতু ই পাসপোর্ট করার সময় আমাদের সকল ডকুমেন্ট সঠিক ছিল অর্থাৎ আমাদের তথ্যের কোন ভুল ছিল না সেহেতু আমাদের কোন অতিরিক্ত কাগজপত্র এড করতে হয়নি কিংবা টাকা দিতে হয়নি সবকিছুই লিগাল পদ্ধতিতে হয়েছে।
তাই ইপাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ এর সকল বিধিবিধান সঠিকভাবে মেনে আপনিও অতিরিক্ত অর্ধ প্রদান ছাড়াই আপনার মূল্যবান পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন এবং ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন ও খুব সহজেই করতে পারেন।
শেষ কথাঃ সহজে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - নতুন ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩
পাসপোর্ট আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান কাগজ। বর্তমান পৃথিবীর নিয়ম অনুযায়ী আপনি পৃথিবীর যেকোনো দেশে ভ্রমণের জন্য বা চিকিৎসার জন্য বা লেখাপড়ার জন্য যদি যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট থাকা জরুরি। আপনি যদি এই পাসপোর্ট ছাড়া কোন দেশে ঢুকতে চান তাহলে কোনক্রমেই সেই দেশে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না।
আশা করি আজকের এই পুরো পোস্টটি পড়ে আপনি খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩, কিভাবে পাসপোর্ট করতে হয়, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই যাদের এই পোস্টটি প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন তাদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং পোস্ট সম্পর্কিত কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে জানান। আপনার সর্বাঙ্গ মঙ্গল কামনা করছি।😊
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url