পড়াশুনা বা জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয় খরচ ব্যবস্থাপনা।

আসসালামু আলাইকুম ড্রিম আইটিসিটি আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আজকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করব। আর সেটি হচ্ছে কিভাবে আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে পারি। বর্তমানে সারাবিশ্ব অনলাইনের ওপর নির্ভর যোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই এখন যদি শুধু একাডেমিক পড়ার সঙ্গে লেগে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে খুব ভাল একটা পজিশন এ যাওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে।

পড়াশুনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয় খরচ ব্যবস্থাপনা।

তাই আমাদেরকে একাডেমিক বা অফলাইনে পাশাপাশি অনলাইনে ব্যাপক মনোযোগী হতে হবে। কেননা এখন অফলাইন চাকরি ছেড়ে অনলাইনে চাকরির ব্যাপক পরিমাণে অর্থোপার্জন হচ্ছে। যার মাধ্যমে ছোট থেকে শুরু করে একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। আজকে আমি আপনাদেরকে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম দেখিয়ে দেব যেগুলো ফলো করলে আপনিও মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটাও পড়াশোনা অব্যাহত রেখে।

পেজ সূচিপত্রঃ পড়াশুনা বা জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয় খরচ ব্যবস্থাপনা

শিক্ষা জীবন কেমন হওয়া উচিত

পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য আমাদের সবার প্রথমে জানা উচিত যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা টা কেমন হওয়া উচিত। প্রথমেই বলে নিচ্ছি যে আমি কোন পন্ডিত নই এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত আমার মতে শিক্ষাব্যবস্থা যেমন হওয়া উচিৎ তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। শিক্ষাব্যবস্থা ভালো পেশাজীবী তৈরি করার পাশাপাশি একজন সুনাগরিক তৈরি করবে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক যে টপিকগুলো আমার মতে শিক্ষা ব্যবস্থায় থাকা উচিত তা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
  1. লিঙ্গ বৈষম্য থাকবে না
  2. শুদ্ধ মাতৃভাষায় ওর ইংরেজিতে খুব ছোট বয়স থেকে কথা বলতে শেখানো হবে
  3. প্রশ্ন করার অনুমতি এবং স্বাধীনতা থাকতে হবে।
  4. ক্রিটিক্যাল যে বিষয় গুলো আছে সেগুলো বুঝার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।
  5. ব্যবহারিক কাজকর্ম এবং জীবনমুখী বিষয়গুলো শেখানো হবে
  6. আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সবার উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা ভাবনা থাকতে হবে।
  7. দর্শন ও নৈতিকতা শেখানো হবে।

কোন স্কিল ছাড়াই অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয় খরচ ব্যবস্থাপনা

তুমি যদি বাংলায় কথা বলতে পারো। তাহলেই আর বেশি কিছু লাগবে না। আমাদের দেশে অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে যেগুলোতে সপ্তাহের মাসে কয়েকটি করে পরীক্ষা হয়ে থাকে। তুমি সেই কোচিং সেন্টারগুলোতে যোগাযোগ করতে পারো। এবং তাদেরকে গিয়ে বলতে পারো যে তুমি তাদের কোচিং সেন্টারের পরীক্ষার গার্ড হতে পারবে।এছাড়াও অনেক কল সেন্টার রয়েছে যেগুলোতে কাস্টমার  সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে পারবে।

স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা জ্ঞান বৃদ্ধি করে অর্থ উপার্জন

প্রতিবছর ফাইনাল এক্সাম হওয়ার পরে আমাদের একটা ছুটি থাকে। আপনার কাছে যদি 6 থেকে এক বছরের মতো সময় থাকে। তাহলে আপনি আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পায় স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারে। কিভাবে ধরুন আপনার ফটোগ্রাফি ভালো লাগে তাহলে এই সময়টা আপনি ফটোগ্রাফি শিখুন। 


এছাড়াও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন প্রেজেন্টেশন তৈরি শিখতে পারেন কার্টুন আঁকা শিখতে পারেন। এছাড়াও রান্নার কাজ শিখতে পারেন। 

এই কাজগুলো স্বীকার করে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলোকে আপনার এই কাজগুলোকে শেয়ার করো। একসময় দেখবেন অনেকেই আপনার এই কাজগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখার মাধ্যমে আপনাকে নক দিচ্ছে। তখন সেই কাজ করে আপনি একটা হ্যান্ডসাম পরিমাণ অর্থ জেনারেট করতে পারবেন।

পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশনি করে আয় বা অর্থ উপার্জন

পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে টিউশনি করান। আর টিউশনি করানো যে একটি সর্বোত্তম উপায় তা সঙ্গে আমরা সবাই অবগত। টিউশনি করার কয়েকটি বেনিফিট রয়েছে। টিউশনি করানোর মাধ্যমে আপনি প্রথমত অর্থোপার্জন করতে পারছেন। দ্বিতীয়তঃ আপনার জ্ঞান অর্জন বৃদ্ধি হচ্ছে। 

ধরুন আপনি প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা অবসর সময় কাটান। এই তিন থেকে চার ঘণ্টা আপনি যদি টিউশনি করাতে পারেন তো মাছ খেলে একটা হ্যান্ডসাম পরিমাণ ইনকাম আপনি করতে পারেন।

এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে টিউশনি করাতে হবে বুঝলাম কিন্তু স্টুডেন্ট পাব কোথায়। আমি বলি স্টুডেন্ট এর অভাব নেই বর্তমান সময়ে। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছেন সেই প্রতিষ্ঠানেই আপনার জুনিয়র দের কে পড়াতে পারেন। এছাড়াও আপনার কাছে যদি সামান্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার সামর্থ্য থাকে তাহলে পোস্টার লাগানোর মাধ্যমে আপনি স্টুডেন্ট পেতে পারেন।

জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং-Freelancing করে অর্থ উপার্জন

অনলাইন ইনকাম খুব জনপ্রিয় একটি শব্দ। অনলাইন ইনকামের কথা শুনলে সবার প্রথমে যেই ধারণাটি আমাদের মাথায় আসে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। আর সত্যি বলতে ধারণাটি কিন্তু একদম সঠিক। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অনলাইনে ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ এমনকি আমাদের বাংলাদেশেও অনেকেই প্রতিমাসে ঘরে বসেই লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছেন। 

ফ্রিল্যান্সিং আসলে জিনিসটা কি ফ্রিল্যান্সিং সাধারণত চাকরির মত। বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে যেসব বড় বড় কোম্পানি রয়েছে সেই কোম্পানিগুলোর কাজকর্ম অনলাইনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের নাগরিক দিয়ে করানোর সার্বিক যে প্রক্রিয়াটি এটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে যেগুলো খুব স্বল্প খরচে খুব ডিমান্ডেবল ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে দিচ্ছেন। এমনই একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অর্ডিনারি আইটি। 

আপনি যদি একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন এবং আপনার কাজের কোয়ালিটি ভাল হতে পারে তাহলে আপনি এটি করার মাধ্যমে হ্যান্ডসাম পরিমাণ একটি অর্থ জেনারেট করতে পারেন। তাও আবার ইউএস (US) ডলারে। ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা জায়গা হচ্ছে, যেগুলো আপনাকে অন্যান্য দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দেবে সেগুলো হচ্ছে, Upwork, Fiverr, Freelancer এর মত কিছু মাধ্যম।

ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অর্থ উপার্জন

প্রযুক্তির এই বিশ্বে আপনি চাইলে অনেক মাধ্যম অবলম্বন করে উপায় করতে পারেন। অনেক অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং ইনস্টিটিউট রয়েছে যাদের একজন ভাল মানের ওয়েব ডেভেলপার প্রয়োজন। আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার মাধ্যমে একজন সফলতাগুলো করা হয় অর্থোপার্জন করতে পারেন। বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে যারা খুব ভালোভাবে web-development শিখায়। ঝংকার মাহবুব ভাইয়া। যার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে তিনি খুব ভালো এবং সহজভাবে web-development শেখান।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়

এছাড়াও আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন। আর এই মাধ্যমটি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার একটা হিউজ পরিমান সময় লাগতে পারে ডেভলপমেন্ট শিখতে।

এছাড়াও অনলাইনে অনেক কোর্স পাওয়া যায় যেগুলো পারচেস করার মাধ্যমে আপনি ওয়েব ডেভলপমেন্ট শিখে ইনকাম করতে পারেন।

পড়াশুনার পাশাপাশি ব্লগিং-Blogging করে অর্থ উপার্জন

আপনি যদি অন্যের অধীনে কাজ করা পছন্দ না করেন তাহলে পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থোপার্জনের একটি ভাল মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্লগিং কি। ব্লগিং অর্থ হচ্ছে যে আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকবে সেই ওয়েবসাইটে আপনি লেখালেখি করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করবেন। ব্লগিং এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করার দুইটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে।

  1. গুগলের ব্লগার (Google Blogger)
  2. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)

এই দুইটি বিষয়ে যেটার তে আপনার জ্ঞান অভিজ্ঞতা বেশি রয়েছে সেটা নিয়ে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আমার মতামত যদি জানতে চান তাহলে আমি বলব গুগলের ব্লগার দিয়ে ব্লগিং শুরু করাটা উত্তম। কারণ এটি খুব অল্প খরচে তৈরী করা সম্ভব।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে কিভাবে ব্লগিং করার মাধ্যমে আমি টাকা ইনকাম। আপনি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেখানে বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল লিখতে পারেন। এবং আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের এড দেখিয়ে বা এসএমএস মার্কেটিং করে আপনি সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।

আর্টিকেল বা পোস্ট লিখে অর্থ উপার্জন

ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় টপিকঃ হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। জি আপনি ঠিকই শুনেছেন আর্টিকেল রাইটিং। আর্টিকেল রাইটিং করে আপনি প্রতিমাসে খুব কম করে হলেও 15 থেকে 20 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। এখন আপনাদের মাথায় ধারণা আসতে পারে আর্টিকেল জিনিস টা আবার কি। খুব সহজভাবে এবং খুব সংক্ষেপে বোঝাতে গেলে আপনি এখন যে পোস্ট টা পড়ছেন এটি হচ্ছে একটি আর্টিকেল। 

এরকম আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে একটা হ্যান্ডসাম পরিমাণ অর্থ জেনারেট করতে পারেন। আর্টিকেল লিখবেন কিভাবে কোন টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখলে মানুষজন সেটাকে বেশি গ্রহণ করবে এ বিষয়টা সবার মাথাতেই আমাদের ঘুরপাক খায় যখন এটা আমাদের চিন্তা আসে আর্টিকেল জিনিসটা কি। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নাই কারণ আমাদের এদেশে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আর্টিকেল রাইটিং কোর্স করাচ্ছেন। 

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্রতিমাসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের ১৫টি উপায় 

এছাড়াও আপনি ইউটিউবে অনেক ফ্রি কোর্স পেয়ে যাবেন আর্টিকেল রাইটিং এর উপর। আর্টিকেল রাইটিং যদি আপনার শিখতে চান তাহলে আমার ব্যক্তিগত রিকমেন্ট হচ্ছে আপনি অডিনারি আইটি থেকে আর্টিকেল রাইটিং কোর্সটা করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার ইচ্ছামত যদি ভাল কোন প্রতিষ্ঠান পান তাহলে সেখান থেকে আর্টিকেল রাইটিং কোর্স টা করে নিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে একটি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। প্রশ্ন হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং করেতো অর্থোপার্জন করা যায় আর্টিকেল রাইটিং কোথায় করব কিভাবে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন হবে। 

একটু আগে আমরা যে আলোচনাটা করলাম যে ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন এই ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আমরা আর্টিকেল রাইটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারি। এছাড়াও আমাদের দেশে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আর্টিকেল রাইটার তে হেয়ার করছে। জি হ্যাঁ আপনি বেসরকারি চাকরির মতোই আর্টিকেল রাইটিং করেও কোন কোম্পানিতে জব করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- Affiliate Marketing করে অর্থ উপার্জন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং ব্যবস্থা যেখানে আপনি কোন বড় কোম্পানির প্রোডাক্টের প্রমোশন করে একটি হ্যান্ডসাম অর্থ জেনারেট করতে পারবেন।

সংক্ষেপে যদি বলি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন। প্রথমত অনলাইন ভিত্তিক যে শপিংমলগুলো রয়েছে সে ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খুলুন। যেখান থেকে আপনি আপনার এফিলিয়েট লিংক পেয়ে যাবেন। লিংকটি পাওয়ার পরে আপনি সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো কে আপনার এফিলিয়েট লিংক দ্বারা বিক্রি করবেন এবং যেই কোম্পানি যেই পরিমাণ কমিশন দিচ্ছে সেই পরিমান আফিলিয়েট কমিশন আপনার একাউন্টে অটোমেটিক ঢুকে যাবে। আর সেখান থেকে আপনি মাসে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

এখন আপনার প্রশ্ন যাচ্ছে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আমি ভালো অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স সাইট কোথায় খুজে পাব। নিচে আমি আপনাকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলে দিচ্ছি। আর হ্যাঁ সঙ্গে বাংলাদেশের একটা-দুইটা ওয়েবসাইট বলে বলে দিবো নিশ্চয়ই।

ইন্টারন্যাশনাল ই-কমার্স ওয়েবসাইট

  • আমাজন (Amazon)
  • আলিবাবা (Alibaba)
  • আলীএক্সপ্রেস (AliExpress)
  • থিমফরেস্ট (Theme forest)

বাংলাদেশে ই-কমার্স সাইট

  • দারাজ (Daraz)
  • আজকের ডিল (Ajkerdeal.com)

পড়াশুনার পাশাপাশি ইউটিউবিং-YouTube  করে সঞ্চয় খরচ ব্যবস্থাপনা 

আপনাদের মধ্যে যারা লেখালেখি এবং ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য অনলাইনে ইনকামের ইউটিউব বেস্ট। আপনি রেগুলার ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে একটি হ্যান্ডসাম পরিমাণ অর্থ জেনারেট করতে পারেন। বলতে পারেন যে আপনি ইউটিউবে কিভাবে ভিডিও তৈরি করবেন। কিছু হয়েছে তবে ভিডিও তৈরি করবেন তার সম্পূর্ণ গাইড লাইন আপনি ইউটিউব থেকে পেয়ে যাবেন। 

আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে দৈনিক আয় ১০০০.০০ টাকা ইনকামের ৪ উপায়

কেননা ইউটিউব হচ্ছে বিশ্বের জনপ্রিয় লার্নিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে এমন কোন জিনিস নাই যেটা আপনি পাবেন না বর্তমান সময়ে। সো আপনি যদি ইউটিউব করে ইনকাম করতে চান তাহলে ঝটপট একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেন। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখবেন যে বিষয়ে আপনি পারদর্শী এবং যে বিষয়টা আপনি মানুষকে ভালোভাবে থাপন করতে পারবেন সেই বিষয়টি নিয়েই তার ওপর একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন। 

কেননা অযথা টপিক নিয়ে টেক চ্যানেল খুলে আপনি সেখান থেকে ভাল ফলাফল আশা করতে পারবেন না। এছাড়াও আপনার চ্যালেঞ্জ এখন ভাল মত গ্রহ করবে প্রতিদিন ভালো ভিউয়ার্স আসবে। এক সময় আপনি আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। আর মনিটাইজেশন পাওয়ার পরে আপনি আপনার চ্যানেলে গুগলের অ্যাড এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা কোন কোম্পানি বা কোন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করে এক্সট্রা ইনকাম করতে পারেন।

জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি স্পন্সরশিপ-Sponsorship করে সঞ্চয় খরচ ব্যবস্থাপনা

স্পনসর্শিপ এমন একটা ইনকাম পদ্ধতি বা আর্নিং প্রসেস যেখানে একটি কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট বা তাদের নিজেদের অ্যাপস বা নিজেদের ওয়েবসাইটকে প্রমোট করার জন্য অনেক হায়ার করে থাকেন। আপনি যদি একজন ভাল স্পন্সর হন আর এই স্পন্সরশীপের কাজটিকে ভালোভাবে বুঝে শুনে করতে জানেন তাহলে আপনি এই কাজটি করার মাধ্যমে ভালো একটা ইনকাম আশা করতে পারেন।

কিভাবে শুরু করবেন কোথায় থেকে শুরু করবেন কি উপায় অবলম্বন করবেন

আপনি যেভাবে টাকা ইনকাম করতে চান না কেন কেউ এসে আপনাকে ইনকাম করিয়ে দেবে না বা বস্তা বস্তা টাকা দিয়ে যাবে না। তাই আপনাকে বিভিন্ন জিনিস বিভিন্নভাবে খুঁজে বের করতে হবে। অনেকেই আছে যারা শুধু ফ্রী এডভাইস দিতেই ভালোবাসে কিন্তু কোন উপকারে আসে না। তাই এসব ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের বিচার বিশ্লেষণ করে এবং রিচার্জ করার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আর সবচেয়ে এবং ইফেক্টিভ কোথায় পানি হচ্ছে যে লেগে থাকতে হবে। একটা জিনিস যদি এইভাবে না হয় সেই জিনিসটাকে অন্যরকম ভাবে করার চেষ্টা করুন দেখবেন সফলতা আসবেই।

পড়াশোনার পাশাপাশি বাগান চর্চার পাশাপাশি স্টুডেন্ট লাইফ থেকে ইনকাম করতে হলে।আপনাকে যে জ্ঞানের পন্ডিত হইতে হবে তার কোন কথা নেই। আপনাকে শুধু একটু আপনার চোখ কান খোলা রাখতে হবে এবং আশেপাশে দেখতে হবে যে বড় ভাইরা বা আপনার সমবয়সী যারা আছে তারা কিভাবে টাকা ইনকাম করছে তাদের প্রসেসিং গুলো দেখেন তারা কি কি উপায় অবলম্বন করছে সেগুলো দেখেন সেখান থেকে ধারণা নেন এবং শুরু করে দিন। তাহলেই আপনার অর্থ উপার্জনের রাস্তা খুলে যাবে এবং আপনিও প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং নিজেকে স্বাবলম্বী ভাবতে পারবেন।😊

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url